আওয়ামী লীগে যোগ দেওয়া সদ্য সাবেক বিএনপি নেতা ঝালকাঠি-১ (রাজাপুর-কাঁঠালিয়া) আসনের নৌকার প্রার্থী শাহজাহান ওমর (বীরউত্তম) বলেছেন, ‘আমু ভাই আমাকে বিএনপিতে পাঠিয়েছিলেন, আবার তিনিই আওয়ামী লীগে ফিরিয়ে এনেছেন। অস্তাগফুরুল্লাহ, আর জীবনে আওয়ামী লীগ ছেড়ে যাব না।’
নির্বাচনি এলাকা রাজাপুর-কাঁঠালিয়ার সর্বশেষ পরিস্থিতি জানাতে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। তবে এসব প্রসঙ্গ এড়িয়ে ব্যারিস্টার ওমর বলেছেন, কীভাবে বিএনপিতে গেলেন এবং আওয়ামী লীগে ফেরত আসার কাহিনি বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, স্বাধীনতা যুদ্ধের পর ‘৭৪ সালে একটি মামলায় জড়িয়ে কারাগারে যাওয়ার পর তিনি সেনাবাহিনী থেকে চাকরিচ্যুত হয়ে বিপদগ্রস্ত হন। তখনকার সময়ে বরিশাল আওয়ামী লীগের এক ছাত্রনেতা নুরুল ইসলাম মঞ্জুর (প্রয়াত) সঙ্গে তার ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল। তখনকার মন্ত্রী আবদুর রব সেরনিয়াবাত (পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট শহিদ), তার ছেলে বর্তমানে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ এবং আমির হোসেন আমু তাকে সাহায্য করেছিলেন। হাসানাত আবদুল্লাহ কয়েকবার তাকে কারাগারে দেখতে গেছেন। তিনি বলেন, সাবেক রাষ্ট্রপতি ও বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান সেনাবাহিনীতে তার শিক্ষক ছিলেন। সেই পরিচয় সূত্রে বিএনপিতে গিয়েছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে আমু বলেন, ‘জনগণ সম্পৃক্ত না থাকলে সেই আন্দোলন কখনো সফল হয় না। আওয়ামী লীগ হরতাল ডেকে ঘরে বসে থাকলেও সেই হরতাল পালিত হতো। এখন বিএনপির হরতাল-অবরোধে সবকিছুই স্বাভাবিক থাকে। এর কারণ জনগণ তাদের সঙ্গে নেই।’