আমিরাতে ক্ষমা পাওয়া ২৩ বাংলাদেশি দেশে ফিরেছেন

দেশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে সংহতি জানিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতে বিক্ষোভ করে দণ্ডপ্রাপ্ত ৫৭ বাংলাদেশির ২৩ জন দেশে ফিরেছেন। তাদের বহনকারী প্রথম ফ্লাইটটি শনিবার সন্ধ্যা ৭টায় শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। এসময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক সারজিস আলম ও হাসনাত আব্দুল্লাহসহ শিক্ষার্থীরা তাদেরকে ফুল দিয়ে বরণ করে নেন। রাত ১০ টায় অন্য একটি ফ্লাইটে চট্টগ্রাম আন্তজার্তিক বিমানবন্দরে নামেন কয়েকজন কর্মী।
২০শে জুলাই আরব আমিরাতের আইন ভেঙ্গে বাংলাদেশে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সমর্থনে আমিরাতের বেশ কয়েকটি রাস্তায় বিক্ষোভ করেন তারা।  ওই সময় তারা বাংলাদেশ সরকারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন স্লোগান দেন। এরপর ৫৭ জন বাংলাদেশিকে গ্রেপ্তার করে দেশটির আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। বিচারের পর তাদের মধ্যে কারও ১০ বছর, কারও ১১ বছর এমনকি কারও কারও যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়।
৮ই আগস্ট ড. ইউনূসের নেতৃত্বে বাংলাদেশে অন্তর্র্বতীকালীন সরকার গঠিত হয়। ড. ইউনূস সংযুক্ত আরব আমিরাতের আমিরকে ফোনে বিষয়টি জানান। গত ৩রা সেপ্টেম্বর দণ্ডিত ৫৭ প্রবাসী বাংলাদেশিকে ক্ষমা করেন দেশটির প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ান। সেদিন প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘সংযুক্ত আরব আমিরাতের ফেডারেল আদালতে এর আগে দোষী সাব্যস্ত হওয়া ৫৭ বাংলাদেশিকে সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রেসিডেন্ট ক্ষমা করেছেন।

শিগগিরই তাদের বাংলাদেশে পাঠানো হবে। বাংলাদেশিদের ক্ষমা করায় এক চিঠিতে আমিরাত সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রফেসর ইউনূস।

manabzamin