- ২৪ ডেস্ক
রংপুরে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ হত্যার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ২৬ জন পলাতক আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। একই মামলায় গ্রেপ্তার থাকা চার আসামিকে ‘শ্যোন অ্যারেস্ট’ দেখানোর আদেশও দেওয়া হয়েছে।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল
সোমবার (৩০ জুন) রাষ্ট্রপক্ষের চিফ প্রসিকিউটরের শুনানি শেষে ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি নজরুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেল এ আদেশ দেন।
প্যানেলের অন্য দুই সদস্য হলেন অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. মঞ্জুরুল বাছিদ এবং জেলা ও দায়রা জজ নূর মোহাম্মদ শাহরিয়ার কবীর।
আদালত পুলিশ মহাপরিদর্শককে (আইজিপি) আসামিদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে ট্রাইব্যুনালে হাজির করার নির্দেশ দিয়েছেন।
এর আগে সকালে প্রসিকিউশন ট্রাইব্যুনালে আনুষ্ঠানিক অভিযোগপত্র (ফরমাল চার্জ) দাখিল করে। প্রসিকিউটর গাজী এম এইচ তামিম জানান, মামলাটি ট্রাইব্যুনাল-২-এ জমা দেওয়া হয়।
গত ২৬ জুন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা ৩০ জন আসামির বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ এনে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়। ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর বরাবর জমা দেওয়া ওই প্রতিবেদনে ছাত্র আন্দোলন দমনে পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ডের অভিযোগ তুলে ধরা হয়।
২০২৪ সালের ১৬ জুলাই বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে পার্ক মোড়ে গুলিবিদ্ধ হন ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী ও কোটা সংস্কার আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক আবু সাঈদ। নিরস্ত্র অবস্থায় সাঈদের ওপর গুলিবর্ষণের ভিডিও ছড়িয়ে পড়লে দেশব্যাপী প্রতিবাদের ঝড় ওঠে।
ঘটনার পর রাজধানীসহ বিভিন্ন শহরে বিক্ষোভ শুরু হয়। আবু সাঈদের হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে আরও তীব্র হয়ে ওঠে কোটা সংস্কার আন্দোলন। এরই ধারাবাহিকতায় ছাত্র-জনতার চাপের মুখে ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশত্যাগে বাধ্য হন।
ট্রাইব্যুনাল বলেছে, এ ধরনের অপরাধ শুধুমাত্র ব্যক্তি নয়, মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ। সাঈদের হত্যাকাণ্ড ছিল রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং ছাত্র আন্দোলন দমনের কৌশলগত অংশ।