চার দিন বিরতি দিয়ে ২৪ ডিসেম্বর রোববার আবারও সারা দেশে সকাল-সন্ধ্যা অবরোধ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি। একই সঙ্গে ২১, ২২ ও ২৩ ডিসেম্বর সারা দেশে ভোট বর্জনের আহ্বান জানিয়ে প্রচারপত্র বিতরণসহ গণসংযোগের কর্মসূচি দিয়েছে দলটি।
আজ বুধবার বিকেলে ভার্চ্যুয়াল সংবাদ সম্মেলনে দলটির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এই কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
রিজভী বলেন, ‘অবৈধ’ আওয়ামী লীগ সরকারের পদত্যাগ ও নির্বাচনকালীন নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থার পুনঃপ্রতিষ্ঠার দাবিতে নির্বাচন বর্জন ও অসহযোগ আন্দোলনের পক্ষে ২১, ২২ ও ২৩ ডিসেম্বর এই গণসংযোগ কর্মসূচি হবে। একই দাবিতে ২৪ ডিসেম্বর রোববার সকাল-সন্ধ্যা অবরোধ হবে।
এর আগে বিএনপির সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলনের শরিক লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) সভাপতি অলি আহমদও পৃথকভাবে একই কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
এলডিপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে অলি আহমদ বলেন, বর্তমান দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে যে সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে, এটা শুধু এককভাবে রাজনৈতিক দলগুলোর সমস্যা নয়, সমগ্র দেশ ও জাতির সমস্যা। সুতরাং সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে এই সমস্যার মোকাবিলা করতে হবে। অন্যথায় এ ধরনের অন্যায়-অবিচার সমাজকে গৃহযুদ্ধ বা রক্তপাতের দিকে ঠেলে দেবে।
ক্ষমতাসীনদের সমালোচনা করে অলি আহমদ বলেন, বর্তমান পদ্ধতিতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে জনগণ ভোটের অধিকার হারিয়ে ফেলবে। এতে দেশ ও জনগণ উপকৃত হবে না। বরং এই হঠকারী ভাগাভাগির নির্বাচনের কারণে দেশ ও জনগণ এক গভীর সংকটে পড়বে।
গত ২৮ অক্টোবর ঢাকায় মহাসমাবেশ পণ্ড হওয়ার ঘটনার প্রতিবাদে ২৯ অক্টোবর সারা দেশে সকাল-সন্ধ্যা হরতাল দেয় বিএনপি। এরপর দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ শীর্ষ পর্যায়ের অনেক নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর সরকারের পদত্যাগ, নির্দলীয় সরকারের অধীন নির্বাচন এবং দলের গ্রেপ্তার নেতা-কর্মীদের মুক্তি ও হয়রানি বন্ধের দাবিতে এক-দুই দিন পরপর কখনো অবরোধ, কখনো হরতালের মতো কর্মসূচি দিয়ে যাচ্ছে দলটি। বিএনপির সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলনে থাকা আরও কয়েকটি রাজনৈতিক দলও একই ধরনের কর্মসূচি পালন করে আসছে।