উত্তরা পূর্ব থানায় খোঁজ নিয়ে জানা যায়, আজ দুপুর ১২টা পর্যন্ত মোট ৩০ জনকে আটক করা হয়েছে। পুলিশের দাবি, আটক ব্যক্তিরা দলবদ্ধ হয়ে বিএনপির মহাসমাবেশে যাচ্ছিলেন। বিশৃঙ্খলার আশঙ্কা থাকায় তাঁদের আটক করা হয়েছে। আর আটক ব্যক্তিদের দাবি, পুলিশ কোনো কারণ ছাড়াই তাঁদের আটক করেছে। মুঠোফোন ঘেঁটে বিএনপি–সংক্রান্ত কোনো ছবি বা বার্তা পেলেই তাঁদের আটক করা হয়েছে।
ঢাকা-ময়মনসিংহ ও ঢাকা-আশুলিয়া সড়ক এসে যুক্ত হয়েছে আবদুল্লাহপুর মোড়ে। এর মধ্যে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক ধরে গাজীপুর, নরসিংদী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, বৃহত্তর ময়মনসিংহের বিভিন্ন জেলাসহ আশপাশের এলাকা থেকে ঢাকায় প্রবেশ করেন মানুষ। ঢাকা-আশুলিয়া সড়ক হয়ে টাঙ্গাইল, মানিকগঞ্জ, সিরাজগঞ্জসহ রাজশাহী বিভাগের একাধিক জেলার লোকজন রাজধানীতে প্রবেশ করেন। এখানে দুটি সড়ক ঘিরেই বসেছে পুলিশের তল্লাশিচৌকি।
রেমন মাহমুদ ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘এখানে আমার ব্যক্তিগত স্বাধীনতা পুরোপুরি নষ্ট হয়েছে। তল্লাশির নামে আমার ব্যক্তিগত জিনিসটিতেও (মুঠোফোন) তারা হাত দিয়েছে। কবে না কবের বিএনপির একটি ছবির সূত্র ধরে আমাকে আটক করে নিয়ে যাচ্ছে।’
গাজীপুরের চন্দ্রা থেকে একটি বাসে বিএনপির মহাসমাবেশে যাচ্ছিলেন মিলন, ফেরদৌস ও জাহিদুল নামের তিনজন। পুলিশ বাসে উঠে তাঁদের মুঠোফোন তল্লাশি করে। এরপর তাঁদের বাস থেকে নামিয়ে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। মিলন বলেন, ‘আমরা বিএনপির সমাবেশে যাচ্ছিলাম। পুলিশ আমাদের সঙ্গে কিছুই পায়নি। তবু শুধু সমাবেশে যাওয়ার কারণে আমাদের আটক করেছে।’
এসব অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে তল্লাশিচৌকিতে থাকা কোনো পুলিশ সদস্য মন্তব্য করতে রাজি হননি। পরে উত্তরা পূর্ব থানায় গিয়ে কথা হয় ওসি মো. নাসির উদ্দিনের সঙ্গে। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা এখন পর্যন্ত ৩০ জনকে আটক করেছি। মূলত তাঁরা (আটক ব্যক্তিরা) একসঙ্গে সমাবেশে যাচ্ছিলেন। এতে গ্যাঞ্জামের আশঙ্কা ছিল। তাই আইনশৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখতে তাঁদের আটক করে থানায় আনা হয়েছে।’ তবে মুঠোফোন ঘেঁটে তাঁদের আটকের বিষয়টি তিনি অস্বীকার করেছেন।