আফগানিস্তানের বিপক্ষে হেরে যে বড় কষ্ট পাচ্ছেন তা পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানেই স্বীকার করেছিলেন পাকিস্তান দলের অধিনায়ক বাবর আজম। তার অভিব্যক্তিও বলে দিচ্ছিল অনেক কিছু। এবার জানা গেল হারের পর ড্রেসিং রুমে কেঁদেছেন বাবর। এমনটাই দাবি করেছেন পাকিস্তানের সাবেক ক্রিকেটার মোহাম্মদ ইউসুফ।
অথচ বিশ্বকাপে শুরুটা ভালোই ছিল বাবরদের। প্রথম দুই ম্যাচেই জয়। যদিও জয়গুলো সহজে আসেনি। তখন থেকেই এ নিয়ে অনেক আলোচনা-সমালোচনা হয়েছে। তাদের পারফরম্যান্সে সন্তুষ্ট হতে পারেননি সাবেক খেলোয়াড় হতে শুরু করে ভক্তরাও। এরপর তো টানা তিন ম্যাচে হেরে এখন গ্রুপ পর্ব থেকেই বিদায়ের শঙ্কায় তারা।
পাকিস্তানের সামা টিভির একটি শোতে ইউসুফ বলেছেন, ‘আমি সংবাদ সম্মেলনে দেখেছি এবং আমি অন্য সময়েও এটি লক্ষ্য করেছি যে, বাবর বেশ বিব্রত ছিল। আমি শুনেছি, আফগানদের কাছে ওই হারের পর বাবর কেঁদেছে। আসলে এখানে বাবরের একার কোনো দোষ নেই। পুরো টিম এবং ম্যানেজমেন্ট এর সঙ্গে জড়িত। আমরা বাবরের এই কঠিন সময়ে ওর পাশেই আছি। সমগ্র দেশের মানুষও ওর পাশে রয়েছে।’
একই সঙ্গে বিশ্বকাপ শেষে পাকিস্তান দলের অধিনায়কত্ব থেকে বাবরকে সরিয়ে দেওয়ার গুঞ্জনও চাউর। দলের ভেতরের একটি সূত্র মারফত বার্তা সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, ‘এই মুহূর্তে বিশ্বকাপে পাকিস্তান একটা মিরাকেল করে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করতে পারলেই, বাবরের অধিনায়কত্ব বেঁচে যেতে পারে। হয়তো শুধু লাল বলের ক্রিকেটে অধিনায়ক হিসাবে রাখা হতে পারে তাকে।’
অবশ্য বিশ্বকাপে সেমি-ফাইনাল খেলার স্বপ্ন এখনও শেষ হয়ে যায়নি পাকিস্তানের। এখনও চারটি ম্যাচ রয়েছে তাদের। দক্ষিণ আফ্রিকা, বাংলাদেশ, নিউজিল্যান্ড ও ইংল্যান্ডের সঙ্গে খেলবে দলটি। এই চার ম্যাচে জয় পেলে শেষ চারে জায়গা করে নিতে পারবে তারা। তবে এক ম্যাচ হারলেই কঠিন হয়ে উঠবে সমীকরণ। তাই সব মিলিয়ে বেশ বিব্রতকর এক পরিস্থিতিতে রয়েছেন বাবর।
Daily Star