ন্যূনতম মজুরির দাবিতে শ্রমিক আন্দোলনের নামে কোনো তৈরি পোশাক কারখানা ভাঙচুর করা হলে সংশ্লিষ্ট কারখানা কর্তৃপক্ষকে শ্রমিক ও শিল্পের স্বার্থে কারখানা বন্ধ করে দেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছে তৈরি পোশাক কারখানা মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ।
মঙ্গলবার রাজধানীর উত্তরায় বিজিএমইএ কমপ্লেক্সে উদ্ভূত শ্রম পরিস্থিতি বিষয়ে বয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ ঘোষণা দেন বিজিএমইএর সভাপতি ফারুক হাসান। এ সময় এফবিসিসিআইর সাবেক সভাপতি এ কে আজাদ, বিজিএমইএর সাবেক সভাপতি আনোয়ার-উল আলম চৌধুরী, বর্তমান কমিটির সহ-সভাপতি শহিদ উল্লাহ আজিম এবং এস এম মান্নান কচিসহ পোশাক খাতের মালিকরা উপস্থিত ছিলেন।
বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, নভেম্বরে পোশাক শ্রমিকদের ন্যূনতম নতুন মজুরি চূড়ান্ত করা হবে। যা আগামী ডিসেম্বর থেকে কার্যকর হবে। কিন্তু এখন অহেতুক আন্দোলনের নামে কারখানায় হামলা বা ভাঙচুর করা হচ্ছে। দেশের চলমান পরিস্থিতিতে শ্রমিকদেরকে বিভ্রান্ত করার জন্য বহিরাগতরা উস্কানি দিচ্ছে। অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনায় এরই মধ্যে দুজন শ্রমিক প্রাণ হারিয়েছেন। এমন পরিস্থিতিতে শ্রমিক ও কারখানা নিরাপত্তার স্বার্থে কারখানার মালিকরা শ্রম আইনের ১৩ এর ১ ধারায় কারখানা বন্ধ করতে পারবেন। কারখানা বন্ধ থাকাকালীন সময়ে শ্রমিকরা কোনো ধরনের বেতন-ভাতা পাবেন না।
শ্রমিক অসন্তোষের বিষয়ে সাংবাদিকের এক প্রশ্ন জবাবে ফারুক হাসান বলেন, মজুরি নিয়ে সরকার আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে যে সিদ্ধান্ত দেবে মালিকরা তার বাস্তবায়ন করবে। কিন্তু এই বিষয়টিকে কেন্দ্র করে প্রতিমুহূর্তে শিল্পাঞ্চলগুলোর পরিস্থিতি পরিবর্তন হচ্ছে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় এবং শিল্পের সুরক্ষার স্বার্থে কারখানা বন্ধের সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হবেন মালিকরা।
আনোয়ার-উল আলম চৌধুরী বলেন, কারখানার শ্রমিকটা কিন্তু আন্দোলন করছেন না। আন্দোলন করছে বহিরাগতরা। এটি রাজনৈতিক ফায়দা নেওয়ার তরিকাও হতে পারে। সবার উচিত পোশাক খাতকে রক্ষা করা। কারণ এর নির্ভর করছে দেশের অর্থনীতি ও ভবিষ্যত।
এ সময় শ্রমিকরা যাতে এই আন্দোলনে সম্পৃক্ত না হয় সেই আহ্বান জানান তিনি।
samakal