- নয়া দিগন্ত অনলাইন
- ২৩ অক্টোবর ২০২২, ১৮:৪৪
রবিচন্দ্রন অশ্বিনের মারা শট লং অফের ওপর দিয়ে উড়ে যেতেই হাঁটু গেড়ে বসে পড়লেন তিনি। উইকেটের মধ্যে মারলেন একটি ঘুসি। খুলে ফেললেন হেলমেট। ততক্ষণে ডাগআউট থেকে ছুটে এসে তাকে জড়িয়ে ধরেছেন সূর্যকুমার যাদব। ছাড়তেই চাইছেন না। চাইবেনই বা কেন? হেরে যাওয়া ম্যাচ একা হাতে জিতিয়ে দিয়েছেন বিরাট কোহলি। তিনি দেখিয়ে দিলেন- ‘চ্যাম্পিয়ন’রা এভাবেই ফিরে আসে বারবার।
রোববার অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্নে হয়তো সঙ্গী হিসেবে হার্দিক পান্ডিয়াকে পেয়েছিলেন কোহলি। কিন্তু মেলবোর্নের ৯০ হাজারের বেশি দর্শক আর টেলিভিশনের পর্দায় চোখ রাখা ভারতীয় সমর্থকেরা জানেন, কোহলি ছাড়া এই ম্যাচ জেতা সম্ভব ছিল না। সেটা হয়তো কোহলি নিজেও জানেন। আর তাই ম্যাচ জিতে আবেগ ধরে রাখতে পারলেন না। কেঁদে ফেললেন তিনি।
ভারতীয় ইনিংসের ১৯তম ওভারে হারিস রউফের শেষ দুই বলে কোহলি দু’টি ছক্কা মারার পরে আর নিজের আসনে বসে থাকতে পারেননি রোহিত শর্মা। ছটফট করছিলেন। ম্যাচ জেতার পরে মাঠে ছুটে এসে কোহলিকে কোলে তুলে নেন রোহিত। তাকে ছাড়তেই চাইছিলেন না। তিনি জানেন, কোহলি না থাকলে তার অধিনায়কত্বে বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে এই জয় সম্ভব হত না। শুধু রোহিত নন, অশ্বিন, হার্দিক, শামিদের আলিঙ্গন থেকে বের হতে পারছিলেন না কোহলি।
কোহলি নিজেও আবেগে ভাসছিলেন। বার বার আকাশের দিকে তাকাচ্ছিলেন। মাঝে মধ্যে হাঁফ ছাড়তে দেখা যাচ্ছিল। সত্যিই তো, মেলবোর্নের মাঠে ইনিংসের শুরুতে যেভাবে তিনি দু’রান, তিন রান নিয়েছেন তাতে ক্লান্তি আসা স্বাভাবিক। কিন্তু ক্লান্তির থেকেও অনেক বেশি স্বস্তি দেখা যাচ্ছিল কোহলির মুখে। হাসছিলেন। কারণ, কয়েক মাস আগে পর্যন্ত লাগাতার সমালোচনা হচ্ছিল তাকে ঘিরে। তার একের পর এক জবাব দিচ্ছেন কোহলি। এশিয়া কাপে শতরান যদি তার প্রথম জবাব হয়, তাহলে এটি হবে তার দ্বিতীয় জবাব। কোহলির মতো চ্যাম্পিয়নরা এভাবেই সমালোচকদের মুখ বন্ধ করে দেন।