৬ জুলাই ২০২৩
নিজস্ব প্রতিনিধি
আদালতের অনুমতি ছাড়া বিদেশে অবস্থান করার অভিযোগে নোবেল বিজয়ী ও গ্রামীণ কমিউনিকেশনের চেয়ারম্যান ড. মুহাম্মদ ইউনূসের জামিন বাতিলের আবেদন করেছে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদফতর।
বৃহস্পতিবার (৬ই জুলাই) ঢাকার শ্রম আদালতের বিচারক বেগম শেখ মেরিনা সুলতানার আদালতে এ আবেদন করেন অ্যাডভোকেট খুরশিদ আলম খান।
গত ৬ই জুন একই আদালত ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ চারজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছে। অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে মামলাটির বিচার কার্যক্রম আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়। এখন শুনানী গ্রহনের পরই রায় দিতে পারবে এই আদালত।
মামলায় অভিযুক্ত অন্য ৩জন হলেন- কোম্পানিটির এমডি মো. আশরাফুল হাসান, পরিচালক নুরজাহান বেগম ও মো. শাহজাহান। ২০২১ সালের ৯ই সেপ্টেম্বর কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদফতরের শ্রম পরিদর্শক আরিফুজ্জামান ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতে এই মামলা করেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়, গ্রামীণ টেলিকম পরিদর্শনে দেখা গেছে, যে ১০১ জন কর্মী-কর্মচারীকে স্থায়ী করার কথা ছিলো, তাদের তা করা হয়নি। তাদের জন্য কোনো অংশগ্রহণ তহবিল ও কল্যাণ তহবিল গঠন করা হয়নি এবং কোম্পানির লাভের পাঁচ শতাংশও আইন মেনে শ্রমিকদের দেওয়া হয়নি।
অভিযোগের ভিত্তিতে, শ্রম আইনের ৪, ৭, ৮, ১১৭ ও ২৩৪ ধারায় একটি ফৌজদারি মামলা দায়ের হয়। গত ১২ অক্টোবর শ্রম আদালত চার অভিযুক্ত ব্যক্তিকে জামিন দেন। পরে ৭ ডিসেম্বর মামলা বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেন অধ্যাপক ইউনূস।
গত বছরের ১৭ই আগস্ট হাইকোর্ট মামলা বাতিলের আবেদন খারিজ করে দেন। পরে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিল করেন অধ্যাপক ইউনূস। লিভ টু আপিলেও হেরে যান তিনি। হাইকোর্ট বিভাগ এবং আপিল বিভাগ সরকারের পক্ষে রায় দেয়। এতে মামলাটির বিচার কার্যক্রম নিম্ন আদালতে চালিয়ে নিতে সরকারের আর কোন বাধা থাকেনি। এখন সেই পথেই হাঁটছে সরকার।