সাম্প্রতিক কালে আমরা দেখছি, আমলাতন্ত্র ও সরকার অনেকটা একাকার হয়ে গেছে। এ থেকে পরিত্রাণ পাওয়া সম্ভব কি?
আকবর আলি খান: সম্ভব; যদি জওহরলাল নেহরুর মতো কেউ দেশের নেতৃত্বে আসেন। ও রকম রাজনৈতিক নেতাই এ সংকট থেকে দেশকে মুক্ত করতে পারেন। আর নয়তো অসম্ভব।
আকবর আলি খান: এরপর যাঁরা আসবেন, একই রকম আমরা দেখব। তাঁরা ভাববেন, যদি আমার চাচা দলাদলি করে সচিব হতে পারেন, আমি হব না কেন? তিনি যদি পাঁচটি খারাপ কাজ করে পার পেতে পারেন, আমি সাতটা করব। আমার ছেলে এসে নয়টা করবে। এভাবে বাড়তে থাকবে। এ সরকারের পর আরেক সরকার এলে একই ঘটনা ঘটবে। আমাদের সময়ও সেটি ঘটেছে।
মানুষ ভোট দিয়ে সরকার পরিবর্তন করতে পারবেন—এমন সম্ভাবনা দেখেন কি?
আকবর আলি খান: এমন সম্ভাবনা ১০ থেকে ১৫ বছরের মধ্যে নেই। তবে বাংলাদেশের জনসংখ্যার গরিষ্ঠ অংশ হচ্ছে তরুণেরা। বর্তমান নেতৃত্ব হচ্ছে পুরোনো। এদের কবল থেকে বের হয়ে তরুণ নেতৃত্ব গড়তে পারলে এখানে গণতন্ত্রের ভবিষ্যৎ আছে। নয়তো যেভাবে চলছে, সেভাবে চলবে। তবে আমি আশা করতে পারি, তরুণ শক্তি জেগে উঠবে। এরা কারা আমি জানি না। তবে তাদের ওপর আমার আস্থা আছে।
আকবর আলি খান: তখন একটি সংঘাত হবে। এরপর যদি কিছু মানুষ সুস্থ চিন্তা নিয়ে এগিয়ে আসেন এবং তাঁরা যদি সফল হন, তাহলে ইতিবাচক কিছু ঘটবে। নয়তো আমি কোনো সম্ভাবনা দেখি না। বিএনপির জায়গায় আওয়ামী লীগ, আওয়ামী লীগের জায়গায় বিএনপি এলে একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটবে।
এমন মূল্যায়ন তো আওয়ামী লীগকেই সুবিধা দেবে?
আকবর আলি খান: সুবিধা দিলেও আওয়ামী লীগ তো রাজনীতির জন্য ভালো কাজ করছে না। কাজেই এ সুবিধা দিয়ে দেশের কল্যাণ হবে না। আরও যেটি হচ্ছে, এ মূল্যায়নের কারণে বহু মানুষ ভোটই দিতে যাবে না। তার যদি পছন্দ না থাকে, তাহলে মারধরের শিকার হতে কেন তারা ভোট দিতে যাবে।
আকবর আলি খান: আমি বর্তমান পরিস্থিতিকে তুলনা করব আইয়ুব খানের উন্নয়নের দশকের সঙ্গে। তখন আইয়ুব খানের হাতে সব ধরনের ক্ষমতা চলে এল। তাঁর পতন না হলে হয়তো সত্তরের নির্বাচনই হতো না। বাংলাদেশেও এমনটা হতে পারে। আগামী ১০ বছরের আগে–পরে হয়তো শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থাকবেন না। এরপর তাঁর পরিবার ও আওয়ামী লীগের মধ্যে সংকট দেখা দিতে পারে। সে সময় তরুণ শক্তি মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে পারে। তখন দ্রুত কোনো পরিবর্তন আসতে পারে। অথবা আর কিছু না হোক অন্তত কিছুটা হলেও আমরা গণতন্ত্রের পথে এগিয়ে যেতে পারি।
এখানে বিএনপির কোনো সম্ভাবনা দেখেন?
আকবর আলি খান: আমাকে কেউ একজন বললেন যে তারেক রহমান নাকি এখনই ক্ষমতায় আসতে চান না। শেখ হাসিনা চলে যাওয়ার পর তিনি স্বয়ংক্রিয়ভাবে ক্ষমতায় আসতে চান। আর আওয়ামী লীগের নেতাদের মধ্যেও দুশ্চিন্তা, কখন কী হয়। একজন মানুষের ওপর সবকিছু নির্ভর করে আছেন তাঁরা। তাঁর নির্দেশ ছাড়া কিছুই হয় না।
আকবর আলি খান: খালেদা জিয়ার প্রথম সরকারের সময় সাইফুর রহমান, মান্নান ভূঁইয়ার মতো কিছু লোক ছিল। তাঁদের কথাবার্তা তিনি শুনতেন। দ্বিতীয় আমলে তো একেবারেই সেটি ছিল না। এমনকি তারেক জিয়াকে রিসিভ করতে সাইফুর রহমান বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে দাঁড়িয়ে থাকতেন। বিশ্বব্যাংকে থাকাকালে সেসব ছবি দেখতাম, খুব খারাপ লাগত। সাইফুর রহমানকেও এমনটা করতে হচ্ছে, নয়তো তাঁকেও বের করে দেবে। এখন বিষয়টি আরও চূড়ান্ত রূপ নিয়েছে।
কিন্তু শেখ হাসিনা তো তাঁর কোনো বিকল্প তৈরি করেননি।
আকবর আলি খান: এটি করলে সুবিধাও আছে, আবার অসুবিধাও আছে। এখন যদি কাউকে তুলে আনতে যান, তাহলে তো সমস্যা সৃষ্টি হবে।
আকবর আলি খান: এখন পর্যন্ত পাইনি। আসলে ওরা মনে হয় আমার এসব কিছু পড়েও না।
আমরা বদরুদ্দীন উমরকে এমন প্রশ্ন করেছিলাম। তিনি জবাব দিয়েছিলেন, ওরা সাহস পায় না। আপনাকে হয়তো আবার সমীহও করে।
আকবর আলি খান: হতে পারে। তবে একবার আইনজীবী শাহদীন মালিক আমাকে বললেন, আপনার বিরুদ্ধে মানহানির মামলা হচ্ছে। কারণ, আমি একটি অনুষ্ঠানে বলেছিলাম, বাংলাদেশের যে আদালত, সেটি একটি ‘জুয়াখেলার আসর’। যাদের পয়সা আছে, তারা এখানে জিতে যায়; যাদের নেই, তারা হেরে যায়। ‘জুয়া খেলার আসর’ কথাটি বলেছিলাম আমেরিকার এক লেখকের বই থেকে উদ্ধৃত করে। কিন্তু এতে নাকি জজরা খেপে গিয়েছেন। এক আইনজীবীকে মানহানির মামলা করতেও বলেছেন। শাহদীন বললেন, আপনি দু–এক দিনের মধ্যেই এটি জানতে পারবেন; যদিও সেটি আর হয়নি। ওদের কেউ হয়তো কোটেশনের বিষয়টি ধরিয়ে দিয়েছিল। মানে, এটি আমার কথা ছিল না। এ ধরনের কথা যখন আমি বলি, সাধারণত কোটেশন ব্যবহার করি। যেমন অবাক বাংলাদেশ-এ বিচারব্যবস্থার ওপর অনেক শক্ত কথা লিখেছি। বঙ্গবন্ধুর কোটেশন দিয়েই শুরু করেছি, যাতে ঝামেলায় পড়তে না হয়। বঙ্গবন্ধু বলেছেন, বাংলাদেশে বিচার পাওয়ার কোনো উপায় নেই। এখানে সত্য কথা দিয়ে সত্যকে প্রতিষ্ঠা করা যায় না। মিথ্যা কথা দিয়ে সত্য প্রতিষ্ঠা করা যায়। একবার একজন জজ আমার সঙ্গে দেখা করে বলেন, ‘আপনার এই বই পড়ে তো আমার ঘুম চলে গেছে। আমি কাদের ফাঁসি দিচ্ছি আসলে? কাদের বাঁচিয়ে দিচ্ছি? এখানে তো বেশির ভাগই হলো মিথ্যা। এখানে জজগিরি করা অসম্ভব।’ এ হচ্ছে অবস্থা। বিশেষ করে ফৌজদারি আদালতে যেসব ফাঁসির দণ্ড হচ্ছে, কতটুকু পর্যন্ত সাক্ষ্য ভ্যালিড, তা নিয়ে সন্দেহ আছে। পুলিশ এখানে যা করে, পৃথিবীর আর কোথাও এমনটি হয় বলে মনে হয় না। সত্য-মিথ্যা যা কিছু বানিয়ে মামলা করে দিচ্ছে, তদন্ত প্রতিবেদন দিচ্ছে।
আকবর আলি খান: এখন কেউ আসেন না। যোগাযোগও করেন না। ২০০৮-০৯ সাল পর্যন্ত করতেন। আমি তো অবসরে গিয়েছি ২০০১ সালে। ২১ বছর হয়ে গেছে। এখন যাঁরা আছেন, তাঁরা তখন অনেক জুনিয়র ছিলেন। কিছু সিনিয়র আমলার সঙ্গে যোগাযোগ ছিল। তাঁরা সবাই এখন অবসরে। সরকারের কারও সঙ্গে আমার কোনো যোগাযোগ নেই।
এখনকার তরুণদের সঙ্গে আপনার যোগাযোগ কেমন—যাঁরা রাজনীতি করছেন, এমন?
আকবর আলি খান: না, তেমন নেই। অনেকে দেখা করতে চায়। হয়নি। তবে ডাকসু নির্বাচন করা নুরুল হকের দলের একজন এসে আমাকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়ে যেতে চেয়েছিল। আমি যাইনি। কারণ, আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম, আমি যদি রাজনীতি করি, তাহলে সরাসরি রাজনীতিই করব। সেটি যদি না করি, তাহলে আমার লেখালেখি দিয়েই যা করার করব। তা ছাড়া শারীরিকভাবে সক্ষম হলে হয়তো চিন্তা করতাম।
আকবর আলি খান: এরপর আমি বাংলাদেশের ইতিহাস নিয়ে বাংলায় ভালো একটি বই লিখতে চাই। আগেরটা তো অনুবাদ হয়েছে। তবে সেখানে তথ্যই বেশি প্রাধান্য পেয়েছে। ইতিহাসের ঘটনাবলিকে ভালোভাবে বিশ্লেষণ করা হয়নি। তাই অনেকে বিষয়গুলো বুঝতে পারেন না। যেমন ধরেন, বাংলাদেশ বলতে কী বুঝি? যদি বলা হয়, যেখানে মানুষ বাংলা ভাষায় কথা বলে। তাহলে তো পশ্চিমবঙ্গ, ত্রিপুরা ও আসামের কিছু অংশকেও ধরতে হয়। আবার বাঙালিকে কেউ এথনিক গোষ্ঠী বলে। সেটি ধরা হলেও পশ্চিমবঙ্গের বাঙালি আর বাংলাদেশের বাঙালির মধ্যে অনেক তফাত আছে। বলা হয়ে থাকে, বাংলা ছিল, দেশ ছিল না। বাংলার সঙ্গে দেশ যুক্ত হয়েছে মুক্তিযুদ্ধের কিছুদিন আগে। বাংলাদেশ ধারণাটি দ্বাদশ শতাব্দীতে রাষ্ট্রকূট রাজার লিখিত দলিলে স্পষ্টভাবে আছে। তিনি বাংলাদেশে অভিযান পরিচালনা করেছিলেন। যেখানে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ একটি দেশ, যেটি সারা বছর পানিতে ভরা থাকে। সেখানে জলাভূমিময় বাংলাদেশের বিস্তারিত বর্ণনা আছে, মানে এটি ওয়েট ল্যান্ড ছিল। আমরা যদি তিব্বতে যাই, ‘বাংলা’ শব্দের উৎপত্তি তিব্বতি ভাষা ‘বনস্’ শব্দ থেকে, যার অর্থ হচ্ছে ওয়েট ল্যান্ড বা জলাভূমি। বনস্ থেকেই বঙ্গ। আবার বলা হয়, ‘বঙ্গ’ আর ‘আল’ শব্দ যোগ করে বাংলা হয়েছে। ‘আল’ শব্দটি কোত্থেকে এল, একমাত্র ওয়েট ল্যান্ডেই আল হয়। অন্য জায়গায় আল হয় না। ওয়েট ল্যান্ডের যে বৈশিষ্ট্য, সেটি বাংলাদেশের সঙ্গেই মেলে।
এখন বাংলাদেশের যে ভূখণ্ড, সেটি প্রাকৃতিকভাবে কতটা গঠিত?
আকবর আলি খান: শতভাগ না হলেও বেশির ভাগই প্রাকৃতিকভাবে গঠিত, কারণ এটি হলো ওয়েট ল্যান্ড। পশ্চিমবঙ্গের ওয়েট ল্যান্ড আমাদেরই ধারাবাহিকতা। সেটি পার হয়ে বর্ধমানের দিকে গেলে একেবারেই ভিন্ন। আর ওই সব ওয়েট ল্যান্ডে বাইরের লোকজনও এসে স্থায়ী হয়েছে। ফলে পশ্চিমবঙ্গ বা বর্ধমানের এসব এলাকায় একটি গ্রে জোন আছে। আমাদের এলাকা হচ্ছে একেবারে পিওর ওয়েট ল্যান্ড। বাংলাদেশের বৈশিষ্ট্য হচ্ছে, এখানকার গ্রামীণ সংগঠন অত্যন্ত দুর্বল। গ্রাম আছে কিন্তু উত্তর ভারতে বা দক্ষিণাত্যে যে অর্থে গ্রাম আছে, সে অর্থে আমাদের এখানে গ্রাম নেই। গ্রাম না থাকায় এখানকার লোকজন যা খুশি করেছে। যেমন হিন্দু আমলে এখানে বৌদ্ধরা ছিল। হিন্দুদের মধ্যে তন্ত্র বেশি ছিল। লোকজন যে যেমন ইচ্ছা ধর্ম পালন করছে। শেষে এসে এরা মুসলিমও হয়েছে। এখানে যেহেতু নিম্নবর্গের হিন্দুরাই ছিল, তারাই মুসলিম হয়েছে। তবে উচ্চবর্ণের হিন্দুরাও মুসলিম হয়েছে। কারণ এখানকার উচ্চবর্ণরা ছিল পশ্চিমবঙ্গের উচ্চবর্ণের তুলনায় নিম্নবর্ণ। এখানকার ব্রাহ্মণদের হাতে রাঢ় বাংলার ব্রাহ্মণরা ভাত খায় না। কারণ তারা ‘অপবিত্র’। সে জন্য ভারতের অন্যান্য জায়গায় উঁচু ও নিচু বর্ণের মধ্যে যে দ্বন্দ্ব ছিল, তেমনটা এখানে ছিল না। নতুন বইয়ে এসব নিয়ে আলোচনা থাকবে।
আকবর আলি খান: সেটিও লিখব পাশাপাশি। আমি চাই, মারা যাওয়ার পর সেটি প্রকাশিত হবে। প্রথম খণ্ডে বহু লোক নিয়ে খারাপ কথা লিখেছি (হেসে)। এখন আত্মজীবনীতে খারাপ কথাবার্তা কিছু না লিখলে ইন্টারেস্টিং (চমকপ্রদ) হয় না। অনেক ইন্টারেস্টিং ঘটনা জানারও অধিকার আছে মানুষের।
জীবনানন্দ ও বনলতা সেন নিয়ে আপনার বইটা তো বেশ আলোচিত হয়েছে।
আকবর আলি খান: এটি আসলে রং ট্র্যাক থেকে রাইট ওয়েতে এসেছি। আমি প্রথমেই বনলতাকে পতিতা বলে দেখেছিলাম, আমার হাতে তখন প্রমাণ ছিল না। কিন্তু জীবনানন্দের ডায়েরি প্রকাশের পর আমার মনে কোনো সন্দেহ রইল না যে তিনি কী বলতে চেয়েছেন। ডায়েরি না পড়ার কারণে অনেক কিছু বলেছি, যেগুলো বলা ঠিক হয়নি। অনেকে আমাকে দোষ দিতে পারে, কিন্তু এর জন্য তো আমার ব্যাখ্যা বদলে যাবে না। এর জন্য আমাকে গালি দিক। কিন্তু আমার মনে হয়, ‘বনলতা সেন’ কবিতার যে ব্যাখ্যা আমি দিয়েছি, তা একেবারে সঠিক। এভাবে তো কেউ পড়েওনি, চিন্তাও করেনি। ‘বনলতা সেন’ কবিতায় জীবনানন্দের জীবনদর্শনকে পাওয়া যায়। কেউ সেটা অতটা গুরুত্ব দেয়নি।
আকবর আলি খান: আমার কাছে কেউ প্রতিক্রিয়া পাঠায় না। তবে এ বই নিয়ে একটি মজার ঘটনা আছে। এটি যখন প্রকাশিত হয়, তখন আমি অর্থসচিব। ভাবলাম, এটির প্রচার করাটা উচিত হবে না। তবে ছোট একটি প্রকাশনা অনুষ্ঠান করলাম। তখন অর্থমন্ত্রী ছিলেন শাহ এ এম এস কিবরিয়া, তাঁকে দাওয়াত দিলাম। তিনি এসেছিলেন। বইটির দুইটা কপি রাশেদ খান মেনন ও হায়দার আকবর খান রনোকে দিয়েছিলাম। পরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা হলে রনো তাঁকে বলেন, এ রকম একটি ভালো বই হয়েছে। তখন গণভবন থেকে আমাকে ফোন করা হয়। বইটি পাঠালাম। শেখ হাসিনা বইটির প্রশংসা করলেন। তখন আওয়ামী লীগের কোনো কোনো এমপি অনেকগুলো করে কপি কেনা শুরু করলেন। এতে বইটির বেশ প্রচার হয়েছিল।
আমলাতন্ত্রে থেকেও আপনি যে নিবিড়ভাবে পড়াশোনা-গবেষণা করে গেছেন, কীভাবে পারলেন?
আকবর আলি খান: আমলাতন্ত্র তো সিরিয়াসলি করতে গেলে পাগল হয়ে যেতে হবে। কে আপনার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে, আপনি কাকে কীভাবে ল্যাং মারবেন—এসব নিয়েই ব্যস্ত থাকতে হয়। এসব নিয়ে থাকলে আমলাতন্ত্রে কিছু করা সম্ভব হয় না। বেশির ভাগ আমলার মধ্যেই আপনি এটি পাবেন। এর থেকে বাঁচার জন্য আপনার নিজের মধ্যে কোনো হবি বা শখ থাকতে হবে। নিজেকে রক্ষার জন্য আমলাদের এ ছাড়া উপায় নেই। তো পড়াশোনাই ছিল আমার হবি।
আকবর আলি খান: আপনাদেরও ধন্যবাদ।