আওয়ামী লীগের পতনের জন্য চূড়ান্ত আঘাত হানতে হবে: রিজভী

 আমার দেশ
২২ জুন ২০২৩

জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম আয়োজিত শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪৩তম শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে মিলাদ ও দোয়া মাহফিল

জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম আয়োজিত শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪৩তম শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে মিলাদ ও দোয়া মাহফিল

নিজস্ব প্রতিনিধি

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন অবৈধ সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন কখনোই সম্ভব নয়। একটি চুড়ান্ত আন্দোলনের প্রস্তুতি নিতে হবে। চূড়ান্ত আঘাত হানতে হবে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের জন্য।

বৃহস্পতিবার (২২শে জুন) দুপুরে ঢাকা বারে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম (ঢাকা বার) আয়োজিত বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪৩তম শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে মিলাদ ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

তিনি বলেন, এদেশের সকল জনগণ- কৃষক শ্রমিক ছাত্র পেশাজীবীরা রাজপথে নামছে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের জন্য। শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘বিদেশীদের কথায় আপনি মাথা নত করবেন না’। যখন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে জনগণ রাস্তায় নামবে তখন আপনি আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী দিয়ে তাদেরকে রুখে দেবেন। যদি কেউ সুষ্ঠু নির্বাচনের কথা বলে, নির্দলীয়-নিরপেক্ষ সরকারের কথা বলে, রাতের ভোট দিনে করতে বলে, তাহলে আপনি তাদের কাছে মাথা নত করবেন না। আপনি জনগণের ক্ষমতা লুট করেছেন। তাদের অধিকার লুট করেছেন। আর এই বিষয়ে কেউ কথা বললে আপনি তাদের কাছে মাথা নত করবেন না।

রিজভী বলেন, বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। সত্য কথা প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। কিছুদিন আগে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন ‘আমাদের নেত্রী কথা দিয়েছেন সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করবেন।’ কিন্তু শেখ হাসিনার অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন কখনোই হবে না। ওবায়দুল কাদের কি ভুলে গেছেন ২০১৮ সালের নির্বাচনের কথা? সেই নির্বাচনের আগে ওবায়দুল কাদের বলেছিলেন, ‘আমাদের নেত্রী সুষ্ঠু নির্বাচন করবেন’। ওই নির্বাচন আমরা দেখেছি, ওই নির্বাচনকে বলা হয় মিডনাইট নির্বাচন।

বিএনপির এই মুখপাত্র বলেন, ২০১৪ সালের নির্বাচনের আগে তিনি বলেছিলেন আমাদের নেত্রী সুষ্ঠু নির্বাচন করবেন। আমরা দেখেছি সেই নির্বাচনে তারা একচেটিয়া নির্বাচন করেছে। অনেক বড় বড় দল সে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেনি। তারপরও বললেন আমরা একটা মধ্যবর্তী নির্বাচন করব। তারপরে পাঁচ বছর চলে গেল। তারপরে ২০১৮ সালে মধ্যরাতে নির্বাচন করলো।

তিনি বলেন, ১৯৮৬ সালে শেখ হাসিনা বলেছিলেন- যারা এরশাদের অধীনে নির্বাচনে যাবে তারা জাতীয় বেইমান। ২৪ ঘণ্টা যেতে না যেতেই তিনি জাতীয় বেইমান হলেন। এরশাদের সাথে সাথে নির্বাচনে গেলেন। জনগণের প্রতি শেখ হাসিনার অঙ্গীকারের কোনো নিশ্চয়তা নেই। এটা দেশবাসী দেখেছে। অপরদিকে জিয়াউর রহমানের কথা ও কাজ দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার কথা ও কাজ সঠিক প্রমাণিত হয়েছে। এটাও দেশবাসী দেখেছে। যারা দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার পক্ষে তারা ন্যায়ের পক্ষে-সত্যের পক্ষে, এদেশের স্বাধীনতার পক্ষে-সার্বভৌমত্বের পক্ষে।

রিজভী আরো বলেন, আজ সবাই একমত শেখ হাসিনার অধীনে অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন হবে না। শেখ হাসিনা প্রমাণ করেছেন তার অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন হয় না। তার অধীনে দিনের ভোট রাতে হয়। সেইজন্য আমাদেরকে প্রস্তুতি নিতে হবে। একটি চূড়ান্ত আঘাত হানতে হবে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের জন্য, সেটির জন্য আইনজীবীদের বিশাল ভূমিকা পালন করতে হবে।

মিলাদ মাহফিলে সভাপতিত্ব করেন বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক আইনজীবী নেতা অ্যাডভোকেট মাসুদ আহমেদ তালুকদার।