- ২৪ ডেস্ক
নানা অভিযোগের ভিত্তিতে অন্তর্বর্তী সরকারের সিদ্ধান্তে আওয়ামী লীগের রাজনীতি নিষিদ্ধ থাকলেও আসন্ন নির্বাচন নিয়ে জাতিসংঘ এখনো ‘অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচনের’ পক্ষে রয়েছে বলে জানিয়েছেন জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়ক গোয়েন লুইস। তবে ‘অন্তর্ভুক্তিমূলক’-এর সংজ্ঞা ব্যাখ্যা করতে গিয়ে তিনি পরিষ্কারভাবে বলেন, জাতিসংঘের কাছে এর মানে কোনো নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দল নয়, বরং সমাজের সব স্তরের মানুষের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা।
জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়ক গোয়েন লুইস
বুধবার (৪ জুন) জাতীয় প্রেসক্লাবে কূটনৈতিক বিটের সাংবাদিকদের সংগঠন ডিক্যাব আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
এক প্রশ্নের উত্তরে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার বিষয়ে সরাসরি মন্তব্য এড়িয়ে গিয়ে গোয়েন লুইস বলেন, এই বিষয়ে আমি কোনো রাজনৈতিক দল নিয়ে কথা বলছি না। এটি সরকারের সিদ্ধান্ত। জাতিসংঘ কোনো দলের পক্ষে নয়, আমাদের অবস্থান নিরপেক্ষ।
তিনি ব্যাখ্যা করে বলেন, জাতিসংঘ ‘অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচন’ বলতে বোঝায়—একটি নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় নারীদের, নৃগোষ্ঠীদের, বিভিন্ন ধর্ম ও সম্প্রদায়ের মানুষদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করা। অর্থাৎ, সমাজের প্রতিটি স্তরের মানুষ যেন ভোট দিতে পারে, সেই পরিবেশ নিশ্চিত করাকে আমরা অন্তর্ভুক্তিমূলক বলি।
তবে গোয়েন লুইস স্বীকার করেন যে, পরিস্থিতি বিবেচনা করেই সরকার কিছু সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এটি একটি রাজনৈতিক বিষয়, যা সরকারের এখতিয়ার।
অনুষ্ঠানে আরও এক গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণায় গোয়েন লুইস বলেন, চলমান রাজনৈতিক ও মানবাধিকার সংস্কার প্রক্রিয়ায় জাতিসংঘ বাংলাদেশের পাশে রয়েছে। এই প্রক্রিয়াকে সহায়তা দিতে ঢাকায় জাতিসংঘ মানবাধিকার অফিস খোলার সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়েছে। এ সংক্রান্ত একটি সমঝোতা স্মারক চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে।
তিনি বলেন, এ উদ্যোগের মাধ্যমে মানবাধিকার সংক্রান্ত পর্যবেক্ষণ ও সহায়তা আরও কার্যকরভাবে দেওয়া সম্ভব হবে।
অনুষ্ঠানে এক প্রশ্নের জবাবে গোয়েন লুইস বলেন, বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে করিডর (আঞ্চলিক বাণিজ্য ও ট্রানজিট) ইস্যুতে জাতিসংঘের কোনো আলোচনা হয়নি।