শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক সহকারী সেক্রেটারি ডোনাল্ড লু বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র দেশের আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্য, ক্ষমতাসীন দল এবং বিরোধী রাজনৈতিক দলের সদস্যদের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে।
দ্য ডেইলি স্টার-এর সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে ডোনাল লু বলেন, এ নীতির আওতায় ভিসা নিষেধাজ্ঞা যাদের দেওয়া হবে, তাদের নাম যুক্তরাষ্ট্র প্রকাশ করবে না কারণ কাউকে ভিসা না দেওয়াসহ যেকোনো ভিসা রেকর্ড মার্কিন আইন অনুযায়ী গোপনীয় তথ্য।
‘আমি এটুকু বলতে পারি যে এ নীতি ঘোষণা করার পর থেকে সার্বিক ঘটনা খুব কাছ থেকে আমরা দেখেছি। সাক্ষ্য-প্রমাণ সতর্কতার সঙ্গে পর্যালোচনা করার পর আমরা আইন প্রয়োগকারী সংস্থা, ক্ষমতাসীন দল ও বিরোধী রাজনৈতিক দলের সদস্যদের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছি,’ দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন ডোনাল্ড লু।
এ নীতি অনুযায়ী যাদের ভিসা নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে, তাদের পরিবারের সদস্যরাও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের জন্য অযোগ্য বলে বিবেচিত হতে পারেন বলে জানান তিনি।
ডোনাল্ড লু বলেন, ‘এ নীতি কেবল নির্বাচনের দিনের জন্য নয়, বরং সম্পূর্ণ গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়ার জন্য প্রযোজ্য। আমরা নির্বাচনের সঠিক তারিখ জানি না, তবে এটা স্পষ্ট যে নির্বাচনী প্রক্রিয়া পুরোদমে চলছে।’
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাম্প্রতিক মতবিনিময়ের প্রসঙ্গে ডোনাল্ড লু যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের মধ্যে শক্তিশালী ও বহুমুখী দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ওপর জোর দেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের উন্নয়ন যাত্রায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে, বিগত ৫১ বছরে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ সহায়তা প্রদান করেছে।
তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশের বর্তমান ডেঙ্গুসংকট মোকাবিলায় যুক্তরাষ্ট্র সক্রিয়ভাবে সহায়তা করছে। বাংলাদেশে বৃহত্তম বিদেশি বিনিয়োগকারী যুক্তরাষ্ট্র। দুই দেশের নিরাপত্তা অংশীদারিত্ব শক্তিশালী ও দীর্ঘস্থায়ী। বাংলাদেশ বিশ্বের বৃহত্তম শরণার্থী জনসংখ্যাকে জায়গা দিয়েছে এবং এখন পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্র রোহিঙ্গা শরণার্থী সংকটে সবচেয়ে বড় দাতা।’
ডোনাল্ড লু শান্তিপূর্ণ উপায়ে পরিচালিত অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য বাংলাদেশি জনগণের আকাঙ্ক্ষার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক আরও গভীর করতে মার্কিন প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন।