আইন আছে, শাসন কোথায়?

Daily Nayadiganta

সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক আন্তর্জাতিক এক গবেষণা সংস্থার প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে- ‘আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ পিছিয়ে পড়েছে।’ আসলে আইনের শাসন শুধু বিচারক আর আইনজীবীদের সাথেই সম্পৃক্ত নয়। এর সাথে সম্পৃক্ত জনগণের ন্যায়বিচার, শান্তি, সম্মান আর সমঅধিকার পাওয়ার মৌলিক ভিত্তি। এই দেশকে একটি নিয়মতান্ত্রিক সুশৃঙ্খল রাষ্ট্ররূপে দেখার যে অপার আকাক্সক্ষা মানুষের, তার সাথে সুশাসনের প্রতিফলন ঘটলেই কেবল মানুষের অবিচ্ছেদ্য অধিকার নিশ্চিত হতে পারে। প্রতিবেদনে আমাদের দেশের পিছিয়ে পড়ার যে তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে, তার সারবস্তু হচ্ছে এটাই যে, দেশের মানুষ তার অধিকার থেকে কেবলই বঞ্চিত হয়ে পড়ছে। এর পরিণতি হচ্ছে নাগরিকদের নিগৃহীত আর নিঃসহায় হয়ে পড়া। সেই সাথে কিছু বৈপরীত্যও লক্ষ করা যায়। যেমনÑ সাধারণ মানুষের যখন এই হাল, তখন কিন্তু ‘অসাধারণ’ কিছু ব্যক্তির অন্যায় প্রাপ্তি বৃদ্ধি পেয়ে চলেছে। যেখানে আইন তার সরলরেখায় চলতে গিয়ে বাধাগ্রস্ত হয়, সেখানে তখন সব ‘অসাধারণ’রা তা থেকে সুযোগ গ্রহণ করে থাকে। আইনের শাসন অকার্যকর হলে এসব মানুষের অন্ধকারে পথ চলা খুব সহজ আর নিরাপদ হয়।

যাই হোক, সেই প্রতিবেদন থেকে জেনে নেয়া যেতে পারেÑ আসলে এ দেশ আইন প্রয়োগের ক্ষেত্রে কোন স্তরে ছিল আর তার অবনতি হয়েছে কতটুকু। সে প্রতিবেদন উদ্ধৃত করে বিভিন্ন সংবাদপত্রে যেসব তথ্য প্রকাশিত হয়েছে তার সারসংক্ষেপ তুলে ধরার চেষ্টা করা হচ্ছে। সেখানে বলা হয়েছে, গত এক বছরে বাংলাদেশ আইনের শাসনের সূচকে আরো কয়েক ধাপ নিচে নেমে গেছে। এদিক দিয়ে বিশ্বের ১২৮ দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১১৫তম। আন্তর্জাতিক সংস্থা দ্য ওয়ার্ল্ড জাস্টিস প্রজেক্ট প্রতি বছর এমন প্রতিবেদন প্রকাশ করে আসছে। বৈশ্বিক আইনের শাসন সূচকে গত বছরের প্রতিবেদনে বাংলাদেশ ১২৬টি দেশের মধ্যে ১১২তম অবস্থানে ছিল। ক্ষমতার সীমাবদ্ধতা, দুর্নীতির অনুপস্থিতি, উন্মুক্ত সরকার, মৌলিক অধিকার নিয়ন্ত্রণমূলক ক্ষমতা প্রয়োগ, নাগরিকদের প্রাপ্তি ন্যায়বিচার এবং ফৌজদারি বিচারের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অবস্থার অবনতি ঘটেছে। সবচেয়ে খারাপ অবস্থা মৌলিক অধিকারের দিক থেকে। অথচ বাংলাদেশের সংবিধানে মানুষের মৌলিক অধিকারের ব্যাপারটি বিশেষ গুরুত্ব পেয়েছে। প্রতিবেদনে যেসব ব্যত্যয়ের কথা বলা হয়েছে, সে সম্পর্কে আলোচনার আগে একটি বিষয় উল্লেখ করা যেতে পারে। তা হলো, প্রশাসনের সামগ্রিক দুর্বলতার দিকটি বস্তুত সামনে চলে এসেছে। সাধারণভাবে সরকারি প্রশাসন অবশ্যই এমন করে পরিচালিত হবে যাতে দেশে একটি জনবান্ধব পরিবেশ সৃষ্টি হয়। এ জন্য যত বিধিবিধান সিদ্ধান্ত কার্যক্রম অনুশীলন করা প্রয়োজন, সেটা নিশ্চিত করা প্রশাসনের প্রধান লক্ষ্য হওয়া উচিত। এসব দায়িত্ব পালন করার ব্যাপারে প্রজাতন্ত্রের নির্বাহীদের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার তো থাকবেই, সেই সাথে নীতিনির্ধারণ ও সামগ্রিক তত্ত্বাবধানের নিশ্চয়তা বিধান করতে হবে রাজনৈতিক নির্বাহীদের। আর এ ক্ষেত্রে সব বিষয় জবাবদিহিতার আওতায় নিয়ে আসা জরুরি। তা ছাড়া এই ধারণা পোষণ করা যাবে না যে, দায়িত্ব পালনের ব্যাপারে আমরা নির্ভুল ও মানোত্তীর্ণ। শাসনযন্ত্র পরিচালনার ক্ষেত্রে মূল নীতি হতে হবে স্বচ্ছ ও গতিশীল।

কিন্তু এসব বিষয় এখন যথাযথভাবে অনুসরণ না করায় পরিস্থিতির অবনতি ঘটছে। সেই বিষয়ই আলোচ্য প্রতিবেদনটিতে উঠে এসেছে। অবশ্য এর আগে বাংলাদেশ যে ১১২তম অবস্থানে ছিল, সেটাও সন্তুষ্টির বিষয় নয়। আগেও বাংলাদেশ আসলে তলানিতেই পড়ে রয়েছিল। শাসন শব্দটির আগে একটি ‘সু’ অক্ষর সংযুক্ত থাকে। অর্থাৎ সুশাসন আর আইনের শাসন পরস্পর সম্পর্কযুক্ত, একটির অভাব ঘটলে অপরটির অবনতি অবশ্যম্ভাবী। এমন পরিস্থিতিতে যারা বা যে দল রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্বে থাকে, তাদের যোগ্যতা, আন্তরিকতা ও নীতিনিষ্ঠার সাথে কর্তব্য পালন নিয়ে প্রশ্ন ওঠা স্বাভাবিক। তাছাড়া আইনের শাসন আর সুশাসনের বিষয়ে প্রতিশ্রুতি, সেই রাজনৈতিক প্রশাসনের থাকবে বলে আশা করা যায়, যাদের ক্ষমতা গ্রহণের পদ্ধতি হয়ে থাকে আইনের বিধান অনুসারে। অর্থাৎ সরকার নির্বাচিত হওয়ার পথটি হবে স্বীকৃত গণতান্ত্রিক পদ্ধতি, যা সংবিধানে সন্নিবেশিত রয়েছে। সে আলোকে যাবতীয় ব্যবস্থা সম্পন্ন হলে, যারা এভাবে ক্ষমতা লাভ করবেন তাদের পক্ষেই সুশাসনের যত বৈশিষ্ট্য রয়েছে তা বাস্তবায়ন করা সম্ভব। সুশাসনের অন্যতম বৈশিষ্ট্য হচ্ছে; জবাবদিহিতা। আইনের শাসনের যে অবনতি ঘটেছে, তা হলো- মূলত প্রশাসনের কাজের সাফল্য ও ব্যর্থতা নিয়ে কোথাও কোনো জিজ্ঞাসাবাদ নেই। জবাবদিহিতার এই ব্যবস্থাটা হতে পারত আসলে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান, জাতীয় সংসদের মাধ্যমে। এ কারণেই সেটা হচ্ছে না যে, এর গঠন প্রক্রিয়ায় নানা অনিয়ম ঘটেছে। খোদ সংসদ নিয়েই সেখানে প্রশ্ন রয়েছে, যার প্রতি মানুষের কোনো আস্থা নেই। তারা কিভাবে সরকারের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করবে?

যে প্রতিবেদন নিয়ে এখানে আলোচনা হচ্ছে সেখানে আইনের শাসনের যে ব্যতিক্রমী ক্ষেত্রগুলো তুলে ধরা হয়েছে তার ভেতর সবচেয়ে শোচনীয় অবস্থায় রয়েছে এ দেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি। এ নিয়ে বহু কথা বলার থাকলেও বিশেষত সাম্প্রতিককালের দুটো ঘটনার বিষয় উল্লেখ করা যেতে পারে, যা এই শোচনীয় অবস্থার উদাহরণ। মানুষের জানমালের নিরাপত্তা ও সম্মানের বিষয়গুলো মানবাধিকারের অপরিহার্য অংশ। সমাজ রাষ্ট্র ও প্রশাসনেরই এসব নিরাপত্তা নিশ্চিত করার কথা। সম্প্রতি দু’জন সাংবাদিকের দুর্দশার কথা উল্লেখ করার মতো। এর করুণ বর্ণনা দেশের বিভিন্ন জাতীয় সংবাদপত্র ও সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে।

এ থেকে বোঝা যায়, সমাজে মানুষ এখন কতটা অসহায়। সাংবাদিক নির্যাতনের এই বিষয়টি সবাইকে স্তম্ভিত করেছে, এমনকি দেশের উচ্চ আদালত তাতে সংক্ষুব্ধ হয়েছেন। যাই হোক, কুড়িগ্রামের সাংবাদিক নির্যাতিত হওয়ার বিষয়টি সংক্ষেপে উল্লেখ করছি। সাংবাদিক আরিফুল ইসলামকে সম্প্রতি মধ্যরাতে তার বাড়ি থেকে ধরে এনে নির্মমভাবে প্রহার করা হয়। সেই সাথে মধ্যরাতেই ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে তাকে কারাদণ্ড দিয়ে জেলে পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু প্রশাসনের এমন ঔদ্ধত্যপূর্ণ কার্যক্রম আইন-কানুন ও নীতি-প্রথার পরিপন্থী। মধ্যরাতে কারো বাড়িতে এমন অভিযান পরিচালনা কোনো সভ্য দেশের আইনে কল্পনা করা যায় না যা কি না মানবাধিকারের সর্বজনীন নীতির চরম লঙ্ঘন। কুড়িগ্রামের জেলা প্রশাসক ও তার দুই সহযোগী ক্ষমতার অপব্যবহার করে এমন অপকর্ম করেছেন। সেই সাংবাদিকের অপরাধ ছিল, তিনি জেলা প্রশাসনের অন্যায় অনিয়ম নিয়ে সংবাদ প্রকাশ করেছিলেন। এমন সরকারি কর্মকর্তারা নিজেদের ক্ষমতার একচ্ছত্র অধিকারী এবং সব আইন কানুনের ঊর্ধ্বে বলে বিবেচনা করে থাকেন। এই বিবেচনা থেকে এসব সরকারি কর্মকর্তা যথাচ্চার করাতে সাহস পেয়েছে। এভাবে উদ্ধত আচরণের আরো হেতু হচ্ছে, আমাদের প্রশাসনে জবাবদিহিতার সংস্কৃতি উবে গেছে। সুশাসনের অপরিহার্য দিক হচ্ছে প্রশাসনের স্বচ্ছতা, দায়বদ্ধতা এবং জবাবদিহিতা। সেসব এখন নেই বলে পরিস্থিতি প্রমাণ করেছে। দ্বিতীয় ঘটনাটি হলো, ঢাকার এক ফটোসাংবাদিককে কে বা কারা গুম করেছে। এই নিবন্ধ লেখা পর্যন্ত তার কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি। তার উৎকণ্ঠিত স্বজনরা বহু খোঁজাখুঁজি করে কোনো সন্ধান পাননি। বাংলাদেশে গুমের এমন ঘটনা বস্তুত নতুন নয়। জলজ্যান্ত বহু মানুষ কেমন করে গুম হয়ে গেলেন? কারা কোথায় এসব মানুষকে ধরে নিয়ে যায়, তা নিয়ে প্রশাসন নীরব। আধুনিককালে ‘রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ’ হিসেবে পরিগণিত হয়ে থাকে জাতীয় গণমাধ্যম। সংবাদমাধ্যমকে এমন গুরুত্ব দেয়া হয় এই কারণে যে, এসব সংবাদকর্মী সমাজ ও রাষ্ট্রের যাবতীয় অনিয়ম অসঙ্গতি লোকচক্ষুর সামনে নিয়ে আসেন। যাতে রাষ্ট্রের অপর তিন অঙ্গ এসব ত্রুটি-বিচ্যুতির যথাবিহিত সমাধান করে সমাজ ও মানুষের কল্যাণ করতে পারে। এই ভূমিকা যাতে ঠিকমতো পালন করতে পারে সে জন্য সাংবাদিকদের ভয়ভীতি ও চাপের ঊর্ধ্বে রাখা এবং নিরাপত্তা বিধান করা হলে প্রকৃতপক্ষে সমাজ ও রাষ্ট্রই উপকৃত হবে। কিন্তু পরিতাপের বিষয় হচ্ছে, এ দেশে সংবাদকর্মীদের পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে নানা ঝুঁকির মধ্যে পড়তে হচ্ছে।

প্রশাসন দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে কতটা দক্ষ পটু এবং চৌকস সেটা যাচাইয়ের জন্য প্রয়োজন স্বচ্ছতার। তাহলেই জনগণ জানতে পারবে, শাসনব্যবস্থা কতটা কার্যকরভাবে সুশাসন ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় কাজ করছে। কিন্তু এমন উন্মুক্ততার ঘাটতি থাকার বিষয়ও প্রতিবেদনে উঠে এসেছে। গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের নাগরিকদের জানা তার বিশেষ অধিকারের অন্তর্ভুক্ত। কিন্তু এর চর্চা আজ আর নেই। ফলে প্রশাসন অনেক কিছু রাখঢাক করে রাখে। বাংলাদেশের প্রশাসন কর্তৃত্ববাদী হয়ে ওঠার অভিযোগ এ কারণেই। তাই তাদের বহু ব্যর্থতা বা অযোগ্যতা দৃশ্যমান হয়ে ওঠে না। নাগরিকদের সেবাদানের যে সাধারণ নীতি তা কতটা কার্যকর, বোঝার উপায় নেই। সুশাসনের একটি অতি আবশ্যক বিষয় হচ্ছে, পরিস্থিতি সম্পর্কে অবহিত থাকা। কিন্তু স্বচ্ছতার অভাবে অনেক কিছুই জানার বাইরে থেকে যায়। আর সুশাসনের বৈশিষ্ট্য হচ্ছে সেখানে তথ্যের মুক্তপ্রবাহ থাকতে হয়। যেখানে এর অভাব ঘটবে সেখানে বহু সমস্যা উপসর্গ হিসেবে দেখা দেবে।

আইনের শাসনের অবনতির জন্য প্রথমেই যাদের দায়ী করা যেতে পারে, তাদের মধ্যে অন্যতম হচ্ছে প্রশাসন। তাদের দায়িত্ব হচ্ছে রাষ্ট্রযন্ত্রকে ঠিক পথে পরিচালিত করে তাকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যাকে বলা যেতে পারে সুশাসন জারি রাখা। এভাবে চলার শর্ত হবে আইন নীতি বিধিবিধানকে অক্ষরে অক্ষরে অনুসরণ করা। কোনোভাবে অনুরাগ-বিরাগের প্রশ্রয় দেয়া চলবে না। দল-মত নির্বিশেষে সবার প্রতি পক্ষপাতহীন আচরণ করা দায়িত্ব। এসব মোটামুটি আইনের শাসনের অধোগতিকে সামাল দিতে পারে। আর এই আলোকে যদি পরিস্থিতি বিবেচনা করা হয় তবে দেখা যাবে, দেশের চলমান প্রশাসনিক ব্যবস্থা তা করছে না বলেই যত সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে। কুড়িগ্রামের ঘটনার কথা এখানে পুনরুল্লেখ করলে এটা বোঝা সহজ হবে যে, প্রশাসন আইনের বাইরে গিয়ে এখন কতটা স্বেচ্ছাচারী হয়ে উঠছে। সব কিছুর সীমারেখা রয়েছে, সেটা অতিক্রম করলেই গোল বাঁধা স্বাভাবিক। আর এখন এমন বহু ঘটনাই উদাহরণ হিসেবে উল্লেখ করা যায়। প্রশাসনের যে পক্ষপাতহীনতার কথাটি বলা হয়েছে, সেটা যে অপরিহার্য, তা কি আসলেই আমরা উপলব্ধি করতে পেরেছি? এমন বহু উদাহরণ রয়েছে যে, দেশের প্রশাসনিক কর্তৃপক্ষ তাদের একই মতাবলম্বী এবং অনুরাগীদের প্রতি এতটাই মোহাচ্ছন্ন যে, এরা সমাজে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারী হলেও এবং বহু ক্ষেত্রে আইন নিজ হাতে তুলে নিলেও তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থাই গ্রহণ করা হয় না। সাধারণ প্রশাসনের পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বিভিন্ন বাহিনীর দায়িত্ব পালন যথাযথ পর্যায়ে না থাকার ফলে প্রতিনিয়ত আইনের শাসনে ব্যাঘাত ঘটছে। সমাজের শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখা এবং আইন অমান্যকারী দুরাচারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রধান দায়িত্ব। কিন্তু দেশে বিরাজমান অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে এটা বলা যাবে না যে, এসব বাহিনী দুষ্টের দমন করে যাচ্ছে। এ সব কারণেই আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশ ক্রমে পিছিয়ে পড়ছে।

ndigantababor@gmail.com