অর্থপাচার মামলায় পাপিয়ার ৪ বছরের কারাদণ্ড, খালাস পেলেন স্বামী

অর্থপাচার মামলায় যুব মহিলা লীগের বহিষ্কৃত নেত্রী শামীমা নূর পাপিয়াকে চার বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। একইসঙ্গে তাকে ৫ লাখ টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

conviction shamima nur papiaযুব মহিলা লীগের বহিষ্কৃত নেত্রী শামীমা নূর পাপিয়া

রোববার (২১ মে) ঢাকার ৮ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মঞ্জুরুল হোসেন এ রায় ঘোষণা করেন। তবে পাপিয়ার স্বামী মফিজুর রহমান ওরফে সুমন চৌধুরী, এবং তার তিন সহযোগী সাব্বির খন্দকার, শেখ তায়িবা নূর ও জুবায়ের আলমের অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় আদালত তাদেরকে খালাস দিয়েছে।

আদালতের বেঞ্চ সহকারী ফজলুর রহমান জানান, রায়ের পর পাপিয়ার জামিন বাতিল করে তার বিরুদ্ধে সাজাসহ গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে পাপিয়া রোববার আদালতে উপস্থিত না হয়ে সময় চেয়েছিলেন। কিন্তু আদালত সেই আবেদন নামঞ্জুর করেন।

পাপিয়ার আইনজীবী শাখাওয়াত উল্লাহ ভূঁইয়া বলেন, আমরা উচ্চ আদালতের কাছে যাবো তিনি জানান, এর আগে অস্ত্র মামলায় ২০ বছরের সাজা হলেও উচ্চ আদালত থেকে জামিনে মুক্ত হন পাপিয়া।

২০২০ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি ঢাকার শাহজালাল বিমানবন্দর থেকে পাপিয়া ও তার স্বামীকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব। তাদের কাছ থেকে ৭টি পাসপোর্ট, বিদেশি মুদ্রা, নগদ টাকা, জাল নোট, ডেবিট কার্ড জব্দ করা হয়। পরবর্তীতে ফার্মগেটের ফ্ল্যাটে অভিযান চালিয়ে অস্ত্র, মাদক, বিপুল পরিমাণ নগদ টাকা ও বিদেশি মদ উদ্ধার করা হয়।

র‌্যাবের ভাষ্য অনুযায়ী, পাপিয়া গুলশানের ওয়েস্টিন হোটেলে বিল পরিশোধ করতেন তার অসামাজিক কার্যকলাপ থেকে অর্জিত অর্থ দিয়ে, যার পরিমাণ ছিল কোটি টাকারও বেশি। এরপর তার বিরুদ্ধে অস্ত্র, মাদক, বিশেষ ক্ষমতা আইন ও অর্থপাচার সংক্রান্ত একাধিক মামলা হয়।

২০২১ সালের ২৭ ডিসেম্বর সিআইডি পরিদর্শক ইব্রাহীম হোসেন অর্থপাচারের মামলায় পাপিয়াসহ পাঁচজনকে অভিযুক্ত করে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। ২০২২ সালের ২১ আগস্ট অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরু হয়। এ মামলায় ২৭ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আজ রায় ঘোষণা করা হয়।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here