প্রতিডোজ পড়বে ৮ ডলার, প্রতিদিন আসবে ৫ লাখ ডোজ
- কাওসার আজম
- ০৬ জুলাই ২০২১
রাশিয়ায় তৈরি ‘স্পুটনিক-ভি’-এর দু’কোটি ডোজ করোনাভাইরাসের টিকা সরকারকে এনে দেয়ার প্রস্তাব দিয়েছেন গণস্বাস্থ্যকেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী।
তিনি মঙ্গলবার রাতে নয়া দিগন্তকে বলেন, প্রায় ১৫ থেকে ২০ দিন আগে প্রথমে এ ব্যাপারে পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে এবং পরে প্রধানমন্ত্রী বরাবর লিখিত প্রস্তাব দিয়েছি। দু’কোটি বা আরো ৫০ লাখ ডোজ টিকা আমরা দিতে পারব। এতে প্রতি ডোজের দাম পড়বে আট ডলার করে।
তিনি বলেন, যে দিন অর্ডাও দেয়া হবে, এর সাত থেকে ১০ দিনের মধ্যে প্রতিদিন পাঁচ লাখ ডোজ টিকা বাংলাদেশের পৌঁছে দেবে।
জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, সরকারকে বলেছি, আপনাদের সোভিয়েত সরকারের (রাশিয়া) সাথে নিকোশিয়েট করে তো লাভ হবে না। সোভিয়েতের কাছে তো ভ্যাকসিন নাই। উদাহরণ দেই। ভারতের ভ্যাকসিন হলো সেরাম ইনস্টিটিউটের। ভারত তাদের তৈরি ভ্যাকসিন ব্যবহার করতে পারবে। কিন্তু তারা তো দিতে পারবে না। কারণ রাশিয়া তো আগের মতো কমিউনিজমে নাই। তারা প্রাইভেটাইজেশনে ঢুকছে। তাদের একটা অর্গানাইজেশন আছে, সেটা হলো-রাশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ইনভেস্টমেন্ট ফান্ড। তারা সব এক্সপোর্ট ইমপোর্ট করে। তাই যা কিছু করতে হয় রাশিয়ান কোম্পানির সাথেই করতে হবে। রাশিয়ান কোম্পানির লোকাল সোল এজেন্ট হলো গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র।
তিনি বলেন, রাশিয়ান কোম্পানি সাথে আমাদের কথা হয়েছে। তাদের পক্ষ থেকেই বাংলাদেশ সরকারকে দু’কোটি ভ্যাকসিনের মধ্যে প্রথমে এক কোটি আট ডলারে (প্রতি ডোজ) বাংলাদেশ সরকারকে অফার করেছি। প্রথমমে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. আব্দুল মোমেনের সাথে কথা বলেছি, পরে প্রধানমন্ত্রীর সেক্রেটারির মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীকেও জানিয়েছি।
গণস্বাস্থ্যের এই প্রতিষ্ঠাতা বলেন, আট ডলার তো খুবই কম আন্তর্জাতিক বাজারে। সবজায়গায় ১০ থেকে ২০ ডলারে বিক্রি হচ্ছে। তারা দু’বছর আগে আমাকে এই বিষয়টি অফার করেছিল। এখন আবারো যোগাযোগ করেছে। যে দিন অর্ডাও দেয়া হবে, এর সাত থেকে ১০ দিনের মধ্যে একটা বড় অংশ টিকা বাংলাদেশের পৌঁছে যাবে।
তিনি বলেন, আট ডলারেই আমরা দেয়ার প্রস্তাব দিয়েছি সরকারকে। তবে প্রধানমন্ত্রী যদি এ বিষয়ে বসেন, তাহলে আরো একটু কমানো যেতে পারে। তিনি যদি আমাদের মাধ্যমে রিকয়েস্ট করেন, অল্প একটু কমতে পারে। যে দিন অর্ডার দেবে, সাত দিনের মধ্যে শিপমেন্ট করবে। প্রতি দিন পাঁচ লাখ ডোজ পাঠাবে। আমাদের স্টক করে রাখতে হবে না। এটা হলে, পরের এক কোটিও আমাদের দেবে। তাদের কন্ডিশন হলো, টাইমটা শর্ট ছিল। সেই টাইমটা পার হয়ে গেছে প্রায়। তবুও আমরা বলেছি (রাশিয়াকে) আরো একটু সময় দাও।
কতদিনের মধ্যে হতে পারে-এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, খুব দ্রুতই দেবে। তাদের তো স্টকেই আছে। তাদের সাথে আলাপ করে যেটা বুঝেছি। দু’কোটি না, আরো ৫০ লাখও যোগার হতে পারে। তারা বাংলাদেশের প্রডাকশনেও সাহায্য করতে পারে। কিন্তু, এতে তো বাংলাদেশ সরকারের উৎসাহ-আগ্রহ থাকতে হবে। সরকার যদি আমাদের অথরাইজড্ করে, আমরা নিকোশিয়েট করে এটা করে দিতে পারবো আশা করি।