বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) হুঁশিয়ার করে বলেছে, করোনার নতুন ধরন ‘ওমিক্রন’ বিশ্বকে অত্যন্ত উচ্চ ঝুঁকিতে রেখেছে। আজ সোমবার ওমিক্রন নিয়ে প্রকাশিত এক সংক্ষিপ্ত নিবন্ধে ডব্লিউএইচও এ সতর্কবার্তা দিয়েছে। খবর এএফপির।
তবে এর আগে গতকাল রোববার সংস্থার বিবৃতিতে ওমিক্রন মোকাবিলায় ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা জারি না করে বিজ্ঞানসম্মত উপায় মেনে চলার পরামর্শ দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। শনাক্ত হওয়া নতুন ধরনটিকে ‘উদ্বেগজনক’ বলে আখ্যায়িত করেছে সংস্থাটি।
সম্প্রতি আফ্রিকা অঞ্চলে শনাক্ত হয় করোনার নতুন ধরন বি.১.১.৫২৯। গত শুক্রবার ধরনটিকে ‘উদ্বেগজনক’ বলে ঘোষণা করে ডব্লিউএইচও। এর নাম দেওয়া হয়েছে ওমিক্রন। ধারণা করা হচ্ছে, ডেলটাসহ করোনার আগের সব ধরনের চেয়ে এটি অনেক বেশি সংক্রামক। ডব্লিউএইচওর আশঙ্কা, নতুন এ ধরন বিশ্বের জন্য বড় ঝুঁকি তৈরি করতে পারে।
আজ সংস্থার সংক্ষিপ্ত নিবন্ধে বলা হয়, ওমিক্রনের কারণে যদি কোভিড-১৯–এর আরেকটি বড় ঢেউ আসে, তাহলে তার পরিণাম মারাত্মক হবে।
তবে ওমিক্রন ঠিক কতটা সংক্রামক বা কতটা বিপজ্জনক, তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি বলে উল্লেখ করেছে ডব্লিউএইচও। এখন পর্যন্ত ওমিক্রন ধরনে আক্রান্ত হয়ে কারোর মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি বলেও উল্লেখ করা হয়েছে প্রতিবেদনে।
ডব্লিউএইচও বলছে, ওমিক্রন নিয়ে গবেষণা শেষ করতে কয়েক সপ্তাহ লেগে যেতে পারে। নতুন এ ধরনটি কতটা সংক্রামক, কতটা মারাত্মক কিংবা এ ধরনটির বিরুদ্ধে এখনকার কোভিড টিকা, পরীক্ষার পদ্ধতি, চিকিৎসার পদ্ধতি—কতটা কার্যকর, তা নিয়ে গবেষণা চলছে।
সংস্থার এক বিবৃতিতে বলা হয় যে আলামতগুলো উপস্থাপিত হয়েছে, তার ভিত্তিতে বলা যায় কোভিড-১৯ রোগতাত্ত্বিক গবেষণায় উল্লেখজনক পরিবর্তন আনতে হবে।
এদিকে গতকাল রোববার সংস্থার বিবৃতিতে বলা হয়, ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা দিয়ে কোভিড–১৯–এর বিস্তার সামান্য কমানো গেলেও তা জীবন ও জীবিকাকে অত্যন্ত জটিল করে তোলে। এসব বিধিনিষেধ অহেতুক আক্রমণাত্মকভাবে আরোপ করা উচিত নয়। এগুলো বিজ্ঞানসম্মত হতে হবে। ডব্লিউএইচওর আঞ্চলিক মহাপরিচালক মাতশিদিসো মোয়েতি বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে করোনার ওমিক্রন ধরন শনাক্ত হওয়ার পর আফ্রিকাকে লক্ষ্য করে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হচ্ছে। এ ধরনের নিষেধাজ্ঞা আন্তর্জাতিক সংহতির ওপর আঘাত। করোনার ওমিক্রন ধরন কতটা ভয়ংকর, তা নির্ধারণে জোর প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা। বিশেষ করে এখনকার টিকাগুলো করোনার নতুন ধরনের বিরুদ্ধে কাজ করবে কি না, তা জানার চেষ্টা করছেন তাঁরা। যদিও দক্ষিণ আফ্রিকার এক চিকিৎসক বলেছেন, তাঁর রোগীদের মধ্যে যারা ওমিক্রনে আক্রান্ত হয়েছেন, তাঁদের উপসর্গ মৃদু।