অবরোধ সমর্থনে ঢাকায় মিছিল, আসতে পারে নতুন কর্মসূচি

অব

অবরোধের সমর্থনে রোববার রাতে বিএনপির মশাল মিছিল 

সরকারের পদত্যাগ ও নিরপেক্ষ সরকারসহ এক দফা দাবিতে চলমান অবরোধ কর্মসূচিতে রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে বিক্ষোভ মিছিল করেছে বিএনপি। রোববার আন্দোলনের দ্বিতীয় দফায় দেশব্যাপী ৪৮ ঘণ্টার অবরোধের প্রথম দিনে দলটির নেতাকর্মীরা এ কর্মসূচি পালন করেন। অবরোধের শেষ দিন আগামীকাল সোমবার ঘোষণা হতে পারে নতুন কর্মসূচি। আগামী বুধ ও বৃহস্পতিবার আবারও ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ কর্মসূচির ডাক আসতে পারে বলে জানা গেছে।

অবরোধের সমর্থনে মিছিল করেছে জামায়াতে ইসলামী, গণতন্ত্র মঞ্চ, ১২-দলীয় জোট, জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট, এলডিপি, গণঅধিকার পরিষদ (নুর), এবি পাটি, গণঅধিকার পরিষদ (রাজা)। ঢাকার বাইরে অবরোধ সমর্থনে মিছিল ও পিকেটিং হয়েছে। বিএনপির ডাকা অবরোধ কর্মসূচিকে সমর্থন জানিয়েছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। তবে তাদের কাউকে মাঠে দেখা যায়নি।

দুপুরে বিএনপির স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সহ-সম্পাদক আব্দুল কাদির ভূঁইয়া জুয়েলের নেতৃত্বে অবরোধের সমর্থনে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা মালিবাগ মোড় থেকে সবুজবাগ পর্যন্ত মিছিল করেছে।

একই সময়ে স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ-সভাপতি ফখরুল ইসলাম রবিনের নেতৃত্বে মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেট এলাকায় মিছিল হয়েছে। মোহাম্মদপুর শেরে বাংলা নগর ও আদাবর থানার উদ্যোগে এ মিছিল হয়। সকালে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য এবং ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণের নেতৃত্বে কুর্মিটোলা হাসপাতালের সামনে ঢাকা-গাজীপুর সড়কে মিছিল হয়। এ সময় টায়ারে আগুন জ্বালানো হয়। অবরোধের সমর্থনে সকালে বনশ্রী এলাকায় মিছিল করে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল। মিছিলে সংগঠনের সহ-সভাপতি নাছির উদ্দীন নাছির, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সাত্তার পিয়াস ও রেহেনা আক্তার শিরিনসহ সংগঠনের কেন্দ্রীয়, ঢাকা মহানগর পূর্ব, ঢাকা কলেজ, খিলগাঁও, সবুজবাগ, মুগদা ও খিলগাঁও মডেল কলেজ ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা অংশ নেন। উত্তরা হাউজ বিল্ডিং মমতাজ মহলের সামনে ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক রাসেল বাবুর নেতৃত্বে একটি মিছিল হয়। অবরোধের সমর্থনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯টি গেটে তালা ঝুলিয়ে দেয় বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদল। এ সময় প্রতিটি গেটে ‘দেশ রক্ষার অবরোধ সফল হোক’ লেখাসংবলিত একটি করে ব্যানার টাঙিয়ে দেন নেতাকর্মীরা।

সন্ধ্যায় স্বেচ্ছাসেবক দল ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি এএ জহির উদ্দিন তুহিন ও সাধারণ সম্পাদক সাদ মোর্শেদ পাপ্পা শিকদারের নেতৃত্বে একটি মশাল মিছিল হয়। মিছিলটি ফকিরাপুল কালভার্ট রোডের সামনে থেকে শুরু হয়ে ফকিরাপুল পানির ট্যাংকি হয়ে পল্টন মোড়ে এসে শেষ হয়।
রাজধানীর সুবাস্তু টাওয়ারের সামনে বাড্ডা থানা বিএনপি, মিরপুর ১ নম্বর গোল চত্বর সামনে মিরপুর থানা বিএনপি, পল্লবী ইস্টার্ন হাউজিংয়ে থানা বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা, মোহাম্মদপুর বেড়িবাঁধে আদাবর থানা বিএনপি, কাকলীতে বনানী থানা বিএনপি, আব্দুল্লাহপুরে তুরাগ থানা বিএনপি, বনশ্রীতে রামপুরা থানা বিএনপি এবং গুলশান লিংক রোডে তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানা বিএনপির উদ্যোগে বিক্ষোভ মিছিল হয়।
মহানগর দক্ষিণের সূত্রাপুর, গেন্ডারিয়া, কোতোয়ালী, বংশাল, হাজারীবাগ, মতিঝিল, ওয়ারী, কদমতলী, শ্যামপুর, যাত্রাবাড়ী, ডেমরা, খিলগাঁও, লালবাগ থানাসহ সকল থানায় অবরোধের সমর্থনে মিছিল বের করেন নেতাকর্মীরা।

জামায়াতে ইসলাম 

অবরোধের সমর্থনে রাজধানীর কমলাপুর সড়কে জামায়াতে ইসলামীর মজলিসে শুরা সদস্য অ্যাডভোকেট ড. হেলাল উদ্দিনের নেতৃত্বে মিছিল হয়। গেন্ডারিয়া রেলস্টেশনের রেললাইনে অবরোধের সমর্থনে বের হওয়া মিছিলে নেতৃত্ব দেন মজলিসে শুরা সদস্য দেলাওয়ার হোসেন। রায়েরবাগে মিছিলে নেতৃত্ব দেন জামায়াতের মজলিসে শুরা সদস্য মু. কামাল হোসাইন। ডেমরায় অবরোধের সমর্থনে বের হওয়া মিছিলের নেতৃত্ব দেন মজলিসে শুরা সদস্য মোকাররম হোসাইন খান। রামপুরা-স্টাফ কোয়ার্টার এলাকায় মিছিলের নেতৃত্ব দেন মজলিসে শুরা সদস্য শামসুর রহমান। গ্রীনরোডে বের হওয়া মিছিলের নেতৃত্ব দেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আবদুল মান্নান। জামায়াতে ইসলামীর কর্মপরিষদ সদস্য মুহাম্মদ রেজাউল করিমের নেতৃত্বে রাজধানীর উত্তরায় মিছিল হয়। জামায়াতের মজলিসে শুরা সদস্য মাহফুজুর রহমানের নেতৃত্বে মিরপুরে স্টেডিয়াম এলাকায়, ভাটারা এলাকায় মিছিলে জামায়াতের ঢাকা মহানগর উত্তরের সহকারী সেক্রেটারি নাজিম উদ্দিন মোল্লা নেতৃত্ব দেন। কাফরুলে মিছিলের নেতৃত্ব দেন জামায়াতের মজলিসে শুরার ডা. মো. ফখরুদ্দীন মানিক। মগবাজার রেলগেটে মিছিলের নেতৃত্ব দেন মহানগর উত্তরের প্রচার-মিডিয়া সম্পাদক আতাউর রহমান সরকার। মিরপুরের পূরবী বাসস্ট্যান্ডের সামনে মিছিলে নেতৃত্ব দেন বাংলাদেশ যুব কল্যাণ পরিষদের ঢাকা মহানগরী সেক্রেটারি নাসির উদ্দীন।

সমকাল