অপরাধ ও এর বিচার

Daily Nayadiganta


অপরাধ বিষয়ে আমাদের দেশে মূল যে আইন সেটি দণ্ডবিধি নামে অভিহিত। এটি একটি সাধারণ আইন। দণ্ডবিধিতে অপরাধের যে সংজ্ঞা দেয়া হয়েছে তাতে বলা হয়েছে- অপরাধ বলতে এই বিধিবলে দণ্ডনীয় কোনো বিষয় বুঝাবে। দণ্ডবিধিতে প্রতিটি অপরাধের সুনির্দিষ্ট সংজ্ঞা রয়েছে। একজন ব্যক্তি দণ্ডবিধিতে বর্ণিত কোনো অপরাধ সংঘটন করলে ফৌজদারি কার্যবিধিতে বর্ণিত বিধান অনুযায়ী অপরাধ সংশ্লেষে তদন্ত ও বিচারকার্য সমাধা করা হয়। দণ্ডবিধি ব্যতীত অপর কতিপয় আইনেও অপরাধের সাজার বিধান রয়েছে। এসব আইনকে বিশেষ আইন বলা হয় যেমন- অস্ত্র আইন, যৌতুক নিরোধ আইন, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন প্রভৃতি। দণ্ডবিধিতে বর্ণিত অপরাধের ফৌজদারি কার্যবিধির ভাষ্য অনুযায়ী তিন ধরনের শ্রেণী বিভাজন রয়েছে। এগুলো হলো- আমলযোগ্য ও আমল অযোগ্য; জামিনযোগ্য ও জামিন অযোগ্য এবং আপসযোগ্য ও আপস অযোগ্য। এ শ্রেণী বিভাজনটি বিশেষ আইনের অধীন কৃত অপরাধের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য; তবে বিশেষ আইনের অধীন অধিকাংশ অপরাধ আমলযোগ্য, জামিন অযোগ্য ও আপস অযোগ্য।

আমলযোগ্য অপরাধ বলতে এমন অপরাধ বুঝায় যে অপরাধের ক্ষেত্রে একজন পুলিশ কর্মকর্তার ফৌজদারি কার্যবিধির দ্বিতীয় তফসিল অথবা আপাতত: বলবৎ কোনো আইন অনুযায়ী গ্রেফতারি পরোয়ানা ব্যতিরেকে আটক করতে পারে। অপর দিকে আমল অযোগ্য অপরাধ বলতে এমন অপরাধকে বুঝায় যে অপরাধের ক্ষেত্রে একজন পুলিশ কর্মকর্তা গ্রেফতারি পরোয়ানা ব্যতিরেকে আটক করতে পারে না। জামিনযোগ্য অপরাধ বলতে এমন অপরাধকে বুঝায় যে অপরাধটিকে ফৌজদারি কার্যবিধির দ্বিতীয় তফসিলে জামিনযোগ্য হিসেবে দেখানো হয়েছে অথবা আপাতত বলবৎ অপর কোনো আইনে যে অপরাধটিকে জামিনযোগ্য করা হয়েছে। উল্লিখিত অপরাধ ব্যতীত অপর সব অপরাধ জামিন অযোগ্য। দণ্ডবিধির ভাষ্য অনুযায়ী কিছু অপরাধ আপস অযোগ্য আবার কিছু অপরাধ যে ব্যক্তির বিরুদ্ধে অপরাধ সঙ্ঘটিত হয়েছে সে ব্যক্তি কর্তৃক আপসযোগ্য আবার এমন কিছু অপরাধ রয়েছে যেগুলো আদালতের অনুমতি সাপেক্ষে আপসযোগ্য।

দণ্ডবিধির মতো ফৌজদারি কার্যবিধিতেও অপরাধের সংজ্ঞা দেয়া হয়েছে। ফৌজদারি কার্যবিধিতে অপরাধ বলতে কোনো কাজ অথবা ভ্রান্তি বুঝায় যা আপাতত বলবৎ কোনো আইনে শাস্তিযোগ্য করা হয়েছে। জেনারেল ক্লজেজ অ্যাক্ট নামক একটি আইন রয়েছে। এ আইনটির নামের অদ্যাবধি বাংলা অনুবাদ না করায় আইনটির ইংরেজি নামকরণ জেনারেল ক্লজেজ অ্যাক্ট সর্বত্র বাংলায় এ নামে উচ্চারিত হচ্ছে। জেনারেল ক্লজেজ অ্যাক্ট এ যেসব বিষয়ের সংজ্ঞা দেয়া হয়েছে অথবা যেসব বিষয়ের ব্যাখ্যা দেয়া হয়েছে তা দেশের সর্বোচ্চ আইন সংবিধান এবং অপরাপর আইনের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। এ বিষয়ে সংবিধানে উল্লেখ রয়েছে- ১৯৯৭ সালের জেনারেল ক্লজেজ অ্যাক্ট সংসদের কোনো আইনের ক্ষেত্রে যেরূপ প্রযোজ্য, এ সংবিধানের ক্ষেত্রেও সেরূপ প্রযোজ্য হবে।

‘অপরাধ’ শব্দটি জেনারেল ক্লজেজ অ্যাক্টেও সংজ্ঞায়িত হয়েছে। এ আইনটিতে উল্লিখিত হয়েছে অপরাধ বলতে আপাতত বলবৎ কোনো আইনে শাস্তিযোগ্য কোনো কাজ অথবা ভ্রান্তি বুঝাবে। যেকোনো ব্যক্তি কর্তৃক সংঘটিত অপরাধ রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে কৃত অপরাধ হিসেবে স্বীকৃত। আর এ কারণেই দেশের অভ্যন্তরে অথবা বিদেশে দেশ সংশ্লেষে কোনো অপরাধ সংঘটিত হলে দেশের প্রচলিত মূল দণ্ড আইন দণ্ডবিধি অথবা অপরাধ বিষয়ক যেকোনো বিশেষ আইনের অধীন বিচার কার্য সংঘটিত হয়।

অপরাধের বিচারকার্য আদালতে পরিচালিত হয়। আদালতে বিচারকার্য পরিচালনার দায়িত্বে নিয়োজিত একজন ম্যাজিস্ট্রেট তিনভাবে অপরাধ বিচারার্থে গ্রহণ করতে পারেন। এর প্রথমোক্তটি হলো সংঘটিত অপরাধ বিষয়ক নালিশি দরখাস্তের ভিত্তিতে; দ্বিতীয়টি হলো পুলিশ কর্মকর্তার অপরাধবিষয়ক লিখিত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে আর শেষোক্তটি হলো অপরাধ সংঘটন বিষয়ে পুলিশ ব্যতীত অপর কোনো ব্যক্তির কাছ থেকে প্রাপ্ত তথ্য অথবা অপরাধ সংঘটন বিষয়ে একজন ম্যাজিস্ট্রেটের নিজের জ্ঞান বা সন্দেহের ভিত্তিতে। প্রথমোক্ত অপরাধের ক্ষেত্রে দরখাস্তকারী কর্তৃক নিয়োজিত আইনজীবী আদালতের সম্মুখে মামলা পরিচালনার দায়িত্ব পালন করে। এ ক্ষেত্রে দরখাস্তকারী স্বয়ং আইন বিষয়ে যথাযথ জ্ঞানসম্পন্ন হলে আদালতের অনুমতি সাপেক্ষে মামলা পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহণ করতে পারে। দ্বিতীয় ও শেষোক্ত অপরাধের ক্ষেত্রে রাষ্ট্র কর্তৃক নিয়োজিত ব্যক্তি মামলা পরিচালনার দায়িত্ব পালন করে।

“কারা অভ্যন্তরে জনসাধারণের প্রবেশাধিকার না
থাকার কারণে কারা অভ্যন্তরে যেকোনো ফৌজদারি মামলার বিচার অনুষ্ঠান সংবিধান ও ফৌজদারি কার্যবিধির সাথে সাংঘর্ষিক। এ সাংঘর্ষিকতা সত্ত্বেও কারা অভ্যন্তরে কোনো ফৌজদারি মামলার বিচারকার্য পরিচালনার প্রয়াস নেয়া হলে তা বিচারের মৌলিক শর্ত প্রকাশ্য আদালতে স্বাধীন ও নিরপেক্ষ বিচারের অধিকারকে ক্ষুণ্ন করে”

যেসব মামলার বিচারকার্য ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সম্পন্ন হয় সেসব মামলার ক্ষেত্রে পুলিশের উপ-পরিদর্শক অথবা তদূর্ধ্ব পর্যায়ের কর্মকর্তা অথবা সহকারী সরকারি কৌঁসুলি মামলা পরিচালনার দায়িত্ব পালন করে। যেসব মামলার বিচারকার্য দায়রা আদালতে সম্পন্ন হয় সেসব মামলার বিচারকার্য পরিচালনার দায়িত্ব দায়রা জজের আদালতে সরকারি কৌঁসুলি ও অতিরিক্ত দায়রা জজের আদালতে অতিরিক্ত সরকারি কৌঁসুলি এবং যুগ্ম দায়রা জজের আদালতে সহকারী সরকারি কৌঁসুলি পালন করে থাকেন। এরা সবাই রাষ্ট্র কর্তৃক নিয়োগপ্রাপ্ত এবং প্রতিটি মামলা পরিচালনার জন্য তারা রাষ্ট্রের কাছ থেকে নির্ধারিত হারে ভাতা ও সম্মানিপ্রাপ্ত হন। দেশের উচ্চাদালত অর্থাৎ সুপ্রিম কোর্টের আপিল ও হাইকোর্ট বিভাগে অ্যাটর্নি জেনারেল, অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল, উপ-অ্যাটর্নি জেনারেল এবং সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মামলা পরিচালনার দায়িত্ব পালন করে। এরাও রাষ্ট্র কর্তৃক নিয়োগপ্রাপ্ত। এদের বেতন, ভাতা ও সুযোগসুবিধাদি রাষ্ট্রীয় কোষাগারে রক্ষিত অর্থ থেকে নির্বাহ করা হয়।

সংবিধানে আদালতের যে সংজ্ঞা দেয়া হয়েছে তাতে বলা হয়েছে- আদালত অর্থ সুপ্রিম কোর্টসহ যেকোনো আদালত। একজন ব্যক্তি দণ্ডবিধি বা অপর কোনো বিশেষ দণ্ড আইনের অধীন অপরাধ সংঘটন করলে তিনি ফৌজদারি অপরাধের দায়ে অভিযুক্ত হন। এরূপ ফৌজদারি অপরাধে অভিযুক্ত ব্যক্তির অধিকার বিষয়ে সংবিধানে বলা হয়েছে- ফৌজদারি অপরাধের দায়ে অভিযুক্ত প্রত্যেক ব্যক্তির আইনের দ্বারা প্রতিষ্ঠিত স্বাধীন ও নিরপেক্ষ আদালত বা ট্রাইব্যুনালে দ্রুত ও প্রকাশ্য বিচার লাভের অধিকার রয়েছে। এ বিষয়ে ফৌজদারি কার্যবিধিতে উল্লেখ রয়েছে- কোনো ফৌজদারি অপরাধের তদন্ত বা বিচারের উদ্দেশ্যে প্রতিষ্ঠিত ফৌজদারি আদালত উন্মুক্ত হবে যাতে আদালত কক্ষের ধারণক্ষমতা সাপেক্ষে জনসাধারণের প্রবেশাধিকার থাকবে; তবে বিচারক অথবা ম্যাজিস্ট্রেট যথাযথ মনে করলে যেকোনো বিশেষ মামলার তদন্ত বা বিচারের সময় নির্দেশনা দিতে পারেন সাধারণভাবে জনসাধারণ অথবা কোনো বিশেষ ব্যক্তি আদালত কক্ষে উপস্থিত থাকবেন না।

কিছু কিছু বিশেষ আইনের ক্ষেত্রে যেমন পারিবারিক আদালত অধ্যাদেশ, ১৯৮৫ এবং নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, ২০০০ এ রুদ্ধদ্বার কক্ষে মামলার সম্পূর্ণ বা আংশিক কার্যক্রম পরিচালনার বিধান রয়েছে। কোনো ব্যক্তির আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে অথবা স্বীয় বিবেচনায় আদালত রুদ্ধদ্বার কক্ষে বিচারের সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। রুদ্ধদ্বার কক্ষে বিচারের ক্ষেত্রেও আদালত কক্ষে প্রবেশাধিকারের বিষয়টি বিচারকের এখতিয়ারাধীন। শিশু আইনের অধীন বিচারের ক্ষেত্রে আদালত শিশুর স্বার্থের বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে যেকোনো ব্যক্তির আদালত কক্ষে প্রবেশাধিকার বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে পারেন। সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ ও হাইকোর্ট বিভাগ রুলে মামলার শুনানি ও সিদ্ধান্ত উন্মুক্ত আদালতে অনুষ্ঠান ও ঘোষণার উল্লেখ রয়েছে। সরকার গেজেট প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে সাধারণ বা বিশেষ আদেশ দিয়ে কোথায় আদালতের বিচারকার্য সম্পন্ন হবে তা নির্ধারণ করতে পারেন; তবে এ ক্ষেত্রে যে বিষয়টি বিবেচনায় নেয়া প্রয়োজন তা হলো আদালতের বিচারকার্য পরিচালনার স্থান যেন কোনোভাবে প্রকাশ্যে স্বাধীন ও নিরপেক্ষভাবে বিচার অনুষ্ঠানের মৌলিক শর্তের সাথে সাংঘর্ষিক না হয়।

সংবিধান অনুযায়ী দেশের প্রতিটি আদালতের বিচারক স্বাধীন ও নিরপেক্ষভাবে বিচারকার্য পরিচালনা করবেন এবং তারা যথাসম্ভব দ্রুত ও প্রকাশ্য আদালতে বিচারকার্য পরিচালনা করবেন। প্রকাশ্য আদালত বলতে এমন আদালতকে বুঝায় যেখানে বিচারকার্য অবলোকনের প্রবেশাধিকার সংরক্ষিত নয়। মামলার স্বার্থসংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ছাড়াও মামলার কার্যক্রম ও শুনানি অবলোকনে আগ্রহী ব্যক্তিরা বিচারকার্য পরিচালনাকালীন আদালত কক্ষে উপস্থিত থাকতে পারেন; তবে এরূপ অবলোকনের সময় কত সংখ্যক ব্যক্তি উপস্থিত থাকবেন তা আদালত কক্ষের আসন সংখ্যা ও ধারণক্ষমতার ওপর নির্ভর করে। জনগুরুত্বপূর্ণ অথবা চাঞ্চল্যকর মামলার ক্ষেত্রে দেখা যায় আদালতের কার্যক্রম অবলোকনে মামলা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির বাইরে আগ্রহী ব্যক্তির সংখ্যা আদালতের আসন সংখ্যা ও ধারণক্ষমতার চেয়ে অনেক অধিক। এরূপ ক্ষেত্রে অনুমতি প্রদানের ক্ষেত্রে আদালত স্বীয় বিচার-বিবেচনা প্রয়োগে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে থাকে; তবে যাদের উপস্থিতি মামলার কার্যক্রম বিষয়ে দেশবাসীকে অবহিত করার বিষয়ে সহায়ক এমন সব ব্যক্তির উপস্থিতির বিষয়টিকে প্রাধান্য দেয়া হয়। প্রকাশ্য স্থান নয় এমন স্থান আদালত হিসেবে বিবেচিত হতে পারে না এবং সংবিধানও এমন স্থানকে আদালত হিসেবে অনুমোদন দেয়ার অধিকার দেয় না।

কারাগার অপরাধের দায়ে অভিযুক্ত অথবা অপরাধের দায়ে সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের আবাসস্থল। অপরাধ সংশ্লিষ্ট কোনো ব্যক্তির বিচারিক আদেশ ব্যতীত আদালতে প্রবেশ অথবা আদালত থেকে বের হওয়ার অনুমোদন নেই; তবে রাষ্ট্রপতি কর্তৃক ক্ষমাপ্রাপ্ত ব্যক্তি অথবা সরকার কর্তৃক প্যারোলে মুক্তিপ্রাপ্ত ব্যক্তি আদালতের আদেশ ব্যতিরেকে কারাগার থেকে বের হতে পারে। সংবিধান কার্যকর ও বলবৎ থাকাবস্থায় কারাগারের অভ্যন্তরে কোনো মামলার বিচারকার্য পরিচালনার্থে আদালত স্থাপনের সুযোগ নেই। এরূপ আদালত স্থাপন করা হলে তা সংবিধান ও আইনের দৃষ্টিতে গ্রহণীয় নয়। কারাগারের অভ্যন্তরে জনসাধারণের প্রবেশাধিকার সংরক্ষিত। কারান্তরীণ ব্যক্তির সাথে তাদের আত্মীয়স্বজন বা শুভানুধ্যায়ীদের কারা কর্তৃপক্ষের অনুমোদন সাপেক্ষে সাক্ষাতের বিধান রয়েছে। সাক্ষাৎকার পর্বটি সংক্ষিপ্ত সময়ের মধ্যে কারা ফটকের নিকটস্থ অভ্যর্থনা কক্ষে অথবা তদসংলগ্ন এতদউদ্দেশ্যে রক্ষিত কক্ষে সম্পন্ন করতে হয়।

কারা অভ্যন্তরে জনসাধারণের প্রবেশাধিকার না থাকার কারণে কারা অভ্যন্তরে যেকোনো ফৌজদারি মামলার বিচার অনুষ্ঠান সংবিধান ও ফৌজদারি কার্যবিধির সাথে সাংঘর্ষিক। এ সাংঘর্ষিকতা সত্ত্বেও কারা অভ্যন্তরে কোনো ফৌজদারি মামলার বিচারকার্য পরিচালনার প্রয়াস নেয়া হলে তা বিচারের মৌলিক শর্ত প্রকাশ্য আদালতে স্বাধীন ও নিরপেক্ষ বিচারের অধিকারকে ক্ষুণ্ন করে।

লেখক : সাবেক জজ, সংবিধান, রাজনীতি ও অর্থনীতি বিশ্লেষক
E-mail: [email protected]