অপরাধী কেবল কয়েকজন ছাত্র নয়
- মইনুল হোসেন ১৬ অক্টোবর ২০১৯
প্রতিবাদকারী ছাত্ররা শিক্ষাঙ্গনে দলীয় রাজনীতি সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করার জন্য গত বুধবার সাত দিনের আলটিমেটাম ঘোষণা করেছে। বুয়েটের সাধারণ ছাত্ররা তাদের সহপাঠী আবরার ফাহাদ হত্যার প্রতিবাদে কর্তৃপক্ষকে শিক্ষাঙ্গনে দলীয় রাজনীতি নিষিদ্ধ ঘোষণার জন্য আগামী ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়েছে।
জানা গেছে, বুয়েটে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তাতে ছাত্রলীগ সন্ত্রাসমুক্ত হবে এমন কথা তো বলা হচ্ছে না। দোষ তো কিছু ছাত্রের নয়। ছাত্রলীগকে সন্ত্রাসমুক্ত না করা হলে ছাত্ররা সঙ্কটমুক্ত হবে না। ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা দলীয় সন্ত্রাসী রাজনীতির হাতিয়ার হয়েই থাকবে।
মৌন মিছিল শেষে তারা নতুন করে ১০ দফা দাবিনামা পেশ করেছে; দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদান, অভিযুক্তদের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার অন্যতম। ছাত্ররা দাবি করেছে আবাসিক হলে সব ধরনের উৎপীড়ন-নিপীড়ন চিরতরে বন্ধ করতে হবে। তারা একটি সাধারণ ওয়েবসাইট/প্ল্যাটফর্ম/ফোরাম দাবি করেছে যাতে সব ঘটনাবলির বিস্তারিত তথ্য আইনসঙ্গতভাবে সংরক্ষিত থাকে।
ছাত্রলীগ নেতাদের দ্বারা ভিন্নমত পোষণকারী ছাত্রদের হয়রানি, নির্যাতনের কাহিনী সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে একটা সাধারণ ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। এসব বিশ্ববিদ্যালয়ে ভিসিদের নিয়োগ দেয়া হয় শুধু সরকার পক্ষের রাজনীতিকে পাহারা দেয়া ও পরিচর্যা করার জন্য।
বুয়েটের অন্যতম মেধাবী ছাত্র আবরার ফাহাদকে সরকারবিরোধী সন্দেহে হত্যা করার পর অভিযুক্তদের গ্রেফতার এবং আদালতের বিচারে শাস্তি দেয়ার বিষয়টি বিচারিক ব্যবস্থার সাধারণ নিয়ম। এতে বুয়েটে বিদ্যমান ভয়াবহ অবস্থার অবসান হবে না। প্রশ্ন হচ্ছে, রাজনৈতিক দলের অঙ্গসংগঠন হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের সন্ত্রাসী বা খুনি হতে হবে কেন? তার জন্য তো সুন্দর জীবনের নিশ্চয়তা দেয়া হচ্ছে না। দেশে সুবিচারের ব্যবস্থা থাকলে আবরারকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা নির্যাতন চালিয়ে হত্যা করতে সাহস পেত না, এরূপ নির্যাতন চালানোর টর্চার সেল বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলোতে থাকা সম্ভব হতো না। এখন হত্যাকারীদের নিরাপত্তার জন্যও গ্রেফতার করার প্রয়োজন ছিল।
শোনা যায়, ছাত্রলীগ নেতারা সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে প্রতিদিনই টর্চার সেলে নির্যাতন চালিয়ে থাকে। প্রতিটি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে এ ধরনের টর্চার সেলের অস্তিত্ব ইতোমধ্যে উদঘাটিত হয়েছে। সরকার সমর্থক হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্ত ভিসিরা এবং প্রভোস্টসহ কর্তৃপক্ষের অন্যরা সরকারি দলের রাজনীতির স্বার্থে ছাত্রলীগ নেতাদের এ সন্ত্রাস নির্যাতন বন্ধে কোনো ভূমিকাই পালন করেন না। ছাত্রছাত্রীদের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে নিরাপদ পরিবেশ পুনরুদ্ধারে দলীয় ভিসিদের অপসারণ করা জরুরি হয়ে পড়েছে। বুয়েটের ভিসি অধ্যাপক সাইফুল ইসলাম এবং হলের প্রভোস্টদের খুনের মামলায় আইনের আওতায় আনা প্রয়োজন। তাদের ছত্রছায়া ভিন্ন এ ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড নিয়মিতভাবে চলতে পারত না। বিবেক বলতে কিছু থাকলে বুয়েটের ভিসি স্বেচ্ছায়ই পদত্যাগ করতেন।
এখন প্রকাশিত খবরে দেখা যাচ্ছে যে, খবর পেয়ে পুলিশ শেরেবাংলা হলে গিয়েছিল কিন্তু তাদের ঘটনাস্থলে ঢুকতেই দেয়া হয়নি। এ থেকেই ছাত্রলীগ নেতাদের ক্ষমতার উৎস সম্পর্কে সহজেই ধারণা করা যায়। তাদের কাছে পুলিশি শক্তি কোনো শক্তি নয়। সরকার তাদের এবং তারাই সরকার।
সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড বিদ্যাবুদ্ধির রাজনীতি নয়। তাই একে অন্যায়ভাবে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দখলের তৎপরতা হিসেবে দেখাই সঙ্গত। বিবেকবান যে কারও বুঝতে কষ্ট হয় না যে, রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস শুধু গণতন্ত্রকেই ধ্বংস করছে না বরং আইনের শাসন এবং উচ্চ শিক্ষাকেও ধ্বংস করে চলছে। দলীয়করণের সন্ত্রাসী রাজনীতির ধারণা আমাদের নয় বরং বিদেশ থেকে আমদানি করা।
রাষ্ট্রীয় শক্তিতে সন্ত্রাসী রাজনীতি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে করা সম্ভব হওয়াটাই ছাত্র-শিক্ষক সবার জন্যই কলঙ্কজনক।
রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসবাদের পোষকতার জন্য ছাত্র-শিক্ষক, আইনজীবী এমনকি সাংবাদিকদের দলীয়করণের মাধ্যমে সবাইকে দলীয় কর্মী করা যে সমগ্র জাতির জন্য ক্ষতি তার তাৎপর্য সাংবাদিক, আইনজীবী এমনকি শিক্ষকরাও বুঝতে চাচ্ছেন না। দলীয়করণের বিদেশী রাজনীতির প্রবক্তারাই বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র-শিক্ষকদের সন্ত্রাসী রাজনীতির সহযোগী বানিয়েছে। অন্যায় ও লুটপাটের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।
বর্তমানে নির্বাচনী রাজনীতি শেষ। সাংবাদিক ও আইনজীবীরা নিজেদের পেশাগত স্বাধীনতার পরিবর্তে অসহনশীল সন্ত্রাসী দলীয় কর্মী হওয়াটাকেই বেছে নিয়েছেন। স্বাধীন বিচারব্যবস্থা অচল। সন্ত্রাসী ছাত্রদের হাতে আমাদের উচ্চ শিক্ষাঙ্গনের উজ্জ্বল সম্ভাবনাপূর্ণ ছাত্ররা জীবন হারাচ্ছে। খুনি হিসেবে কিছু ছাত্রকে বিচারের সম্মুখীন হতে হচ্ছে। অনেকের জন্য ভয়-ভীতি ও আতঙ্কের মধ্যে পড়ালেখা করা অসম্ভব হয়ে পড়েছে। উভয় কারণেই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। অবাক হচ্ছি, কিভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষাঙ্গনে নীতি-আদর্শহীন সন্ত্রাসী রাজনীতির কর্মী বা দোসররা প্রতিপক্ষ ছাত্রদের ওপর দিনের পর দিন নির্যাতন চালাচ্ছে। ছাত্র আর ছাত্র থাকছে না।
আমাদের নিরাপদ জীবন ও দীর্ঘ দিনের সংগ্রামে অর্জিত গণতান্ত্রিক জীবনের স্বপ্ন ধ্বংস করার জন্য সন্ত্রাস ছড়িয়ে দেয়া হয়েছে। সুস্থ রাজনীতি আগেই বিদায় নিয়েছে, এখন আছে একদলীয় শাসন প্রতিষ্ঠার রাজনীতিকরণের রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস। রাজনৈতিক নেতৃত্বের শূন্যতার সুযোগ নিচ্ছে সন্ত্রাসী রাজনীতির প্রবক্তারা।
আমরা অনেকেই সহজেই ব্যক্তিস্বার্থের জন্য দেশ ও জাতির বৃহত্তর স্বার্থের কথা বিবেচনায় নিই না। শিক্ষিত লোকের মধ্যকার নীতি-চরিত্রহীনতাই আমাদের ছাত্রদের জীবনের নিরাপত্তাহীনতার জন্য মূলত দায়ী। ভাবতে আশ্চর্য লাগে, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক এমনকি ভিসিদেরও সন্ত্রাসী রাজনীতির কর্মী হতে বিবেকে বাধে না।
যারা দেশ ও জাতিকে অন্যায়-অবিচারের চরম নৈরাজ্যের দিকে ঠেলে দিচ্ছেন তারা সবাই যে অজ্ঞ-নির্বোধ তা নয়। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ও শিক্ষকদের অংশবিশেষ ক্ষমতাসীন দলের সমর্থক না হলে ছাত্রলীগের নেতারা হলে হলে সন্ত্রাসী রাজনীতির টর্চার সেল নির্বিঘ্নে চালাতে পারত না। ছাত্র আবরারকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা নির্যাতন চালিয়ে হত্যা করার সাহস হতো না।
হত্যাকাণ্ড আগেও সংঘটিত হয়েছে এ ধরনের যুক্তি অত্যন্ত নির্মম। শুধু ভিন্নমতের হওয়ার জন্য আবরারকে জীবন দিতে হলো। বলা হয় সম্প্রতি গৃহীত ভারত-বাংলাদেশ চুক্তিগুলোর অযৌক্তিক দিকটি তুলে ধরার অপরাধে তাকে জীবন দিতে হয়েছে। আবরার ফেসবুকে তার বক্তব্য তুলে ধরেছিল। অনেকেই তো চুক্তিগুলোর ন্যায্যতা নিয়ে প্রতিবাদ করছেন। ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে সুসম্পর্কের বিষয়টি তো জনমতের ওপর নির্ভর করবে। সরকার এককভাবে যা চাইবেন তাই হবে এমনটি ভাবা অন্যায়। গণতান্ত্রিক দেশ হওয়ায় ভারতও তা বুঝবে।
ছাত্রছাত্রীরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে রাস্তায় নেমেছে। প্রতিবাদে ফেটে পড়ছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক ছাত্রকেই রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসী রাজনীতিকরণের কারণে জীবন দিতে হয়েছে। ছাত্রীদের বিভিন্ন ধরনের ভয়-ভীতি ও আতঙ্কের মধ্যে থাকতে হচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার পরিবেশ দূষণে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষ এমনকি শিক্ষকদের সহযোগিতা পরিষ্কার। বুয়েটে ছাত্রলীগ ভিন্ন অন্য কোনো দলের অঙ্গসংগঠন নেই। তাই দায়িত্ব সম্পূর্ণভাবেই সরকারকে নিতে হবে। সরকারপ্রধান গর্বের সাথে বলে থাকেন সব ব্যাপারেই তাকে নির্দেশ দিতে হয়। তাহলে ছাত্রলীগের দীর্ঘ দিনের সন্ত্রাসী তৎপরতা চালিয়ে যাওয়ার নির্দেশ কোথা থেকে এসেছে।
আমাদের স্বাধীনতা, নিরাপত্তা ও সমৃদ্ধ জীবনযাপনের বিরুদ্ধে স্বাধীনতা অর্জনের পর থেকেই একটা গভীর চক্রান্ত চলে আসছে, চরম ক্ষতির ঝুঁকি নিয়েই এ কথাটি আমরা বরাবর বলার চেষ্টা করছি। কিন্তু ক্ষমতার সুখ-সুবিধা ভোগকারী রাজনীতিকদের এটা দেখার ও বোঝার সময় নেই। সবাইকে সরকারের রাজনৈতিক কর্মী বানানো একদলীয় স্বৈরশাসনের রাজনীতি। হত্যা, গুম ও নির্যাতন বৈপ্লবিক রাজনীতি। রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসবাদের এ প্রক্রিয়া চীন ও রাশিয়ার মতো গণতন্ত্রহীন কমিউনিস্ট দেশগুলোতে চলে। মজার ব্যাপার হলো, যারা বাংলাদেশে বৈপ্লবিক শাসন প্রতিষ্ঠা করতে চাচ্ছেন, তারা চীন বা রাশিয়ার ভক্ত হলেও সেখানে গিয়ে থাকতে চাইবেন না। নিজেদের কর্তৃত্ব চাই। তারা রাষ্ট্রীয় সুযোগ-সুবিধা ভোগের একচেটিয়া সুযোগ চান।
সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের জীবনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে চাইলে বিচারের কথা বলে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসবাদের প্রক্রিয়া চালু রাখলে তা হবে সম্পূর্ণ অর্থহীন। গ্রেফতার হলে যে সঠিক বিচার হবে- এমন বিশ্বাস থাকার মতো পরিবেশ দেশে নেই। সন্ত্রাসী রাজনীতিকরণ বিচার বিভাগেও চলে এসেছে। পুলিশও দলীয় রাজনীতির ঊর্ধ্বে নয়।
বুয়েটের ছাত্রদের যেসব দাবি বাস্তবায়ন করতে হবে তা এখনই করতে হবে। লেজুড়বৃত্তির সন্ত্রাসী রাজনীতি না থাকবে ছাত্রদের জন্য, না থাকবে শিক্ষকদের জন্য। বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ালেখার পরিবেশ অবশ্যই সৃষ্টি করতে হবে। টেন্ডারবাজি, লুটপাট, নির্যাতন বা হত্যা করার শিক্ষার জন্য অভিভাবকেরা তাদের ছেলেমেয়েদের বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠান না। যারা শিক্ষাকে ধ্বংস করে তরুণদের দুর্বৃত্ত বানাচ্ছে তারা যে দেশের কত বড় শত্রু তা সবারই অনুধাবন করতে হবে। সন্ত্রাসী রাজনীতি ছাত্রদের নিজস্ব রাজনীতি নয়। অঙ্গসংগঠন হিসেবে কোনো দলের লেজুড়বৃত্তির রাজনীতি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের জন্য নয়, শিক্ষকদের জন্যও নয়।
দেশ আজ যেখানে এসেছে তা হঠাৎ করে আসেনি। এখন এমন লোকও পাওয়া যাচ্ছে যারা বলছেন অপরাধীদের বিচারের কথা বলা হচ্ছে, এতেই সরকারের প্রশংসা করতে হবে। অর্থাৎ কারা অপরাধ সংঘটনে মদদ জোগাচ্ছেন তা দেখা হবে না। যারা ছাত্রদের বিচারের নির্দেশ দিচ্ছেন সন্ত্রাসী রাজনীতির শক্তিকে তারাই সাহস জুগিয়েছেন। এ দেশের শিক্ষিত লোকদের একেবারে আহম্মক মনে করা হচ্ছে।
আমার মতে, দলীয়করণের সন্ত্রাসী রাজনীতি থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের রক্ষা করতে হলে গোড়ায় যেতে হবে। ধোঁকাবাজির সুযোগ নেই। রাজনীতি আর ক্ষমতায় থাকার দলীয় সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড এক নয়। সরকারের কাছে জনগণ কিছু নয়- সন্ত্রাসী শক্তি সরকার পরিচালনার শক্তি। ভয়-ভীতি-আতঙ্ক সৃষ্টি করে বাকস্বাধীনতা হরণ করলেই সরকার সফল হয় না। সরকারের ব্যর্থতা ঢাকার আর সুযোগও নেই।
চার দিক থেকে সরকারের ব্যর্থতা জাতিকে চেপে ধরেছে। দলীয় দুর্বৃত্তদের কাছে শত শত কোটি টাকা কোনো টাকাই নয়। সন্ত্রাসী কায়দায় লুটপাট চলছে। অপর দিকে, সাধারণ মানুষ আর্থিক বিপর্যয়ের মধ্যে আছে। পরিবার-পরিজন নিয়ে বেঁচে থাকাই অসম্ভব হয়ে পড়ছে। সে দিকে সরকার কোনো দৃষ্টি দেয়ার তাগিদ অনুভব করছে না।
পরিবর্তন আসতে হবে। দেশে সন্ত্রাসী লুটপাটের রাজনীতির অবসান হতে হবে।
লেখক : বিশিষ্ট আইনজীবী