অন্ধকার থেকে আরো গভীর অন্ধকারের প্রতীক এই লগি-বৈঠা
====================================
আধুনিক সভ্যতার উষালগ্নে সকল মানুষকে অক্ষরজ্ঞান দেওয়া সম্ভব না হলেও সকলকে গণতন্ত্রের স্বাদ দেওয়া জরুরি হয়ে দেখা দেয় । এই তাগিদ থেকেই নিরক্ষর জনগণের কথা বিবেচনায় নিয়ে নির্বাচনী প্রতীকের প্রচলন হয়েছিল । যাতে ব্যালট পেপারে সেই প্রতীক বা ছবি দেখে নিজের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পারে ।
একটি দেশের শতভাগ জনগণ অক্ষর জ্ঞানসম্পন্ন হয়ে পড়লে এই ধরণের নির্বাচনী প্রতীকের আর প্রয়োজন থাকে না । পৃথিবীর অনেক জাতি খুব দ্রুত এর প্রয়োজনীয়তা দূরীভূত করে ফেলেছে । আমাদের জন্যে চরম দুর্ভাগ্যের বিষয় হলো , এই একবিংশ শতাব্দীতে এসেও এর প্রয়োজনীয়তাকে আমরা দূরীভূত করতে পারি নি ।
অধিকন্তু এই নির্বাচনী প্রতীককে নিয়ে আরো বড ধরনের ও আরো ভয়ংকর ধরণের অন্ধত্বে ডুবে গেছে পুরো দেশ ও জাতি । এরকম একটা চরম লজ্জাজনক ঘটনা ঘটিয়েছিল সরকারে থাকা রাজনৈতিক দল ও জোটটি , ২০০৬ সালের আজকের এই দিনটিতে ।
আওয়ামীলীগের নেত্রী যাকে তার ভক্তরা ” মাদার অব হিউম্যানিটি ” খেতাব দেয়ার জন্যে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন , সেই নেত্রী সহ তার দলের অন্য নেতারা তাদের কর্মী বাহিনীকে লগি বৈঠা নিয়ে ঢাকায় হাজির হওয়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন । এই আহ্বান শুধু রাজনৈতিক হুমকির মধ্যেই সীমিত রইল না – জনগণ লগি-বৈঠার ভয়ংকর প্রয়োগ চাক্ষুষ দেখতে পেল । বিরোধী রাজনৈতিক দলের কর্মীদেরকে দিনদুপুরে সকলের চোখের সম্মুখে লগি বৈঠা দিয়ে পিটিয়ে সাপের মত মারা হয়েছে । এভাবে মারার পর সেই লাশের উপর উঠে নেচেছে। এই ভয়ংকর দৃশ্য টিভিতে দেখে সারা বিশ্ব স্তম্ভিত হয়ে পড়েছে ।
জানি না , এই অন্ধত্ব থেকে জাতি কখন মুক্ত হবে ?
কেমনে মুক্ত হবে ?
মাদার অব হিউম্যানিটি অন্ধকার থেকে আরো গভীর অন্ধকারের প্রতীক এই লগি-বৈঠা.বিরোধী রাজনৈতিক দলের কর্মীদেরকে দিনদুপুরে সকলের চোখের সম্মুখে লগি বৈঠা দিয়ে .জনগণ লগি-বৈঠার ভয়ংকর প্রয়োগ চাক্ষুষ দেখতে পেল. লগি বৈঠা জাদের মুল উপক্রন তারআ মাদার অব হিউম্যানিটিকে প্রান দিয়ে ভালবাসে ব্লে এমন দ্রিস্য সাভাভিক।