জাতির উদ্দেশে দেওয়া প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বক্তব্যে জাতির ‘আকাঙ্ক্ষার প্রতিধ্বনি’ হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির শফিকুর রহমান। তিনি বলেছেন, ‘আমরা মনে করি, তারা (অন্তর্বর্তী সরকার) এখনো রাইট ডিরেকশনে আছে। তারা সেভাবে এগিয়ে গেলে আল্লাহও সাহায্য করবেন, দেশের জনগণও সাহায্য করবেন।’
আজ সোমবার দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহকে দেখে ফেরার সময় সাংবাদিকদের জামায়াতের আমির এ কথা বলেন।
এ বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে জামায়াতের আমির বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টা একটা দায়িত্বশীল ভাষণ দিয়েছেন, এটাই দরকার ছিল। জাতিকে সামনের দিকে আশাজাগানিয়া কথা শোনার দরকার ছিল। তাঁর বক্তব্যে তা–ই প্রতিধ্বনি হয়েছে বলে আমরা মনে করি। তবে এটা ঠিক, এই প্রতিধ্বনির মধ্যে আমার আকাঙ্ক্ষা পূরণ হতে না পারে, আরেকজনের আকাঙ্ক্ষা পূরণ না হতে পারে। দেখতে হবে সামগ্রিকভাবে দেশবাসীর আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন হয়েছে কি না। আমরা মনে করি, হয়েছে।’
গতকাল রোববার রাতে সচিবালয় এলাকায় দাবিদাওয়া নিয়ে সচিবালয় ঘেরাওয়ের সময় আনসার সদস্যদের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষের সময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ গুরুতর আহত হন।
এর উল্লেখ করে জামায়াতে ইসলামীর আমির অন্তর্বর্তী সরকারকে গুছিয়ে নেওয়ার সুযোগ দিতে সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি আহ্বান জানান। তিনি বলেন, তারা (অন্তর্বর্তী সরকার) ছাত্র-জনতার অনুরোধে দায়িত্ব গ্রহণ করেছে। তাদের কাজ করার সুযোগ দিন।
শফিকুর রহমান বলেন, ৫ আগস্ট দেশে পটপরিবর্তন হয়েছে। ছাত্র আন্দোলনে সামনের সারিতে থেকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ। গতকাল প্রশাসনের কেন্দ্রবিন্দু সচিবালয়ে আন্দোলনের নামে কিছু উচ্ছৃঙ্খল আনসার সদস্য গায়ের জোরে ঢুকে পড়েছিলেন। যাঁরা জীবন দিয়ে, রক্ত ঝরিয়ে বুলেটের মুখে ফ্যাসিবাদী সরকারকে পলায়ন করতে বাধ্য করেছিলেন, সেই ছাত্ররা এসেছিলেন তাঁদের কথা শোনার জন্য, শান্ত করার জন্য। কিন্তু তাঁরা সবকিছুর সীমা ছাড়িয়ে ছাত্রদের আঘাত করেন। বাধ্য হয়ে ছাত্ররা প্রতিরোধ গড়ে তোলেন। এ সময় হাসনাত আবদুল্লাহসহ অনেকে আহত হন।
দাবিদাওয়া নিয়ে বিভিন্ন মহলের আন্দোলন প্রসঙ্গে জামায়াতের আমির বলেন, ‘মাত্রই তো তারা দায়িত্ব গ্রহণ করেছে। এত দিন আপনারা কোথায় ছিলেন? এত দিন দাবি জানাননি কেন? সাড়ে ১৫ বছর যেহেতু ধৈর্য ধরেছেন, আরও কিছুটা সময় ধৈর্যধারণ করুন। তাদের গুছিয়ে নেওয়ার সুযোগ দিন। তাদের এভাবে ব্যতিব্যস্ত রাখলে কাজ করবে কী ছিলেন জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য হেলাল উদ্দিন ও শফিকুল ইসলাম মাসুদ, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সহকারী সেক্রেটারি দেলোয়ার হোসেন, কামাল হোসেন প্রমুখ।
prothom alo