অনিয়ম ও দুর্নীতি রোধ বড় চ্যালেঞ্জ

  • ড. ফোরকান উদ্দিন আহাম্মদ
  •  ২৯ জুলাই ২০২২, ২০:৩৪
অনিয়ম ও দুর্নীতি রোধ বড় চ্যালেঞ্জ – প্রতীকী ছবি

দেশে যতগুলো মন্ত্রণালয় ও বিভাগ রয়েছে, তার মধ্যে বিভিন্ন ইস্যুতে বেশি সমালোচিত গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়, এলজিইডি, স্বাস্থ্য অধিদফতর, ওয়াসা, তিতাস গ্যাস, পাউবো, সড়ক ও জনপথ বিভাগ। দুর্নীতির উৎস সন্ধানে গণপূর্ত অধিদফতরের টেন্ডার প্রক্রিয়ার বিভিন্ন স্তরে দুর্নীতির তথ্য-প্রমাণ পেয়েছে দুদক। টেন্ডারে অতিরিক্ত ব্যয়ের প্রাক্কলন, টেন্ডারের তথ্য ফাঁস, দর কষাকষির নামে অনৈতিক সুবিধা নিয়ে ঠিকাদার নিয়োগ, বারবার নির্মাণকাজের নকশা পরিবর্তন, নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী ব্যবহার, টেন্ডারের শর্তানুসারে কাজ বুঝে না নেয়া, কোনো কোনো ক্ষেত্রে মেরামত বা সংস্কারকাজের নামে ভুয়া বিল-ভাউচার করে অর্থ আত্মসাৎ, ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বা প্রভাবশালী ব্যক্তির বেনামে অথবা ঘনিষ্ঠ আত্মীয়-স্বজনের মাধ্যমে ঠিকাদারি কাজ পরিচালনা, প্রভাবশালী ব্যক্তিদের অবাঞ্ছিত হস্তক্ষেপ এবং ঠিকাদার ও প্রকল্প বাস্তবায়নের সাথে সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলীর অনৈতিক সুবিধাগ্রহণকে দুর্নীতির উৎস হিসেবে চিহ্নিত করেছে দুদক।

দুদক বলছে, এ সংস্থায় যথাযথ প্রক্রিয়ায় টেন্ডারপ্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয় না। অধিদফতরে বড় পরিসরের কাজ ছাড়াও মেরামত, সংস্কার ও রক্ষণাবেক্ষণ খাতে কোটি কোটি টাকার বরাদ্দ রয়েছে। এ বরাদ্দের বিপরীতে কাজগুলো ছোট ছোট লটে ভাগ করা হয়। এসব কাজ পছন্দের ঠিকাদারদের দেয়ার জন্য ই-জিপিতে না গিয়ে গোপন টেন্ডারের মাধ্যমে কাজ দেয়া হয়। পছন্দের ঠিকাদারদের মধ্যে গণপূর্ত অধিদফতরের অনেক কর্মকর্তার আত্মীয়-স্বজন বা তাদের নামে-বেনামেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান থাকার তথ্য পেয়েছে দুদক।

গণপূর্তে দুর্নীতির ১০টি ক্ষেত্র চিহ্নিত করেছে তারা। একই সাথে এসব দুর্নীতি প্রতিরোধে ২০১৯ সালের ২০ অক্টোবর ২০টি সুপারিশ তুলে ধরে সংস্থাটি। গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের এক শীর্ষ কর্মকর্তা বিশেষ প্রক্রিয়ায় এ ধরনের বহু সমস্যার সুষ্ঠু সুরাহা করছেন না। উচ্চ মহলের প্রভাবে তিনি তার চাকরির মেয়াদ ধাপে ধাপে বাড়িয়েছেন। অবসরপ্রাপ্ত কোনো সচিবের দফায় দফায় চাকরির মেয়াদ বৃদ্ধির এমন নজির আর একটিও নেই। দুদকের দাখিলকৃত ২০টি সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতে এ মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন দফতরের স্বচ্ছতা ক্ষেত্রকে কার্যকর করতে সরকারের শুদ্ধাচার নীতির সঠিক বাস্তবায়নে তাৎপর্যমূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।

এবার সড়ক ও সেতু বিভাগের নির্মাণ এবং সংস্কারকাজের ক্ষেত্রে অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনার কিছু বেহাল দশা তুলে ধরা হলো- প্রসঙ্গত কৃষিতে বিপ্লব, বৈদেশিক কর্মসংস্থান ও গার্মেন্ট রফতানির হাত ধরে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে সম্ভাবনাময় দেশ হিসেবে বিবেচিত। অথচ সর্বব্যাপী দুর্নীতি-লুটপাট ও রাষ্ট্রীয় সম্পদের অপচয়ের পাশাপাশি দেশ থেকে বছরে প্রায় লক্ষ কোটি টাকা পাচার হয়ে যাওয়ার কারণে এর অর্থনৈতিক সম্ভাবনা যেমন নষ্ট হয়ে যাচ্ছে, সেই সাথে দেশে আয় বৈষম্যও বেড়ে চলেছে।

একেকটি সড়ক-মহাসড়ক, সেতু, ফ্লাইওভার ও বিভিন্ন নির্মাণ প্রকল্পে হাজার হাজার কোটি টাকার প্রাক্কলিত ব্যয় সময়মতো বাস্তবায়ন না হওয়ায় যেমন দেশের মানুষ বছরের পর বছর ধরে বহুবিধ দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে, তেমনি প্রকল্প বাস্তবায়নে অহেতুক সময় ক্ষেপণ, বারবার প্রকল্পের মেয়াদ বৃদ্ধির সাথে এর ব্যয় বৃদ্ধির ফলে জনগণের ট্যাক্সের টাকার বিপুল অপচয় ও লুটপাট হচ্ছে। নির্মাণকাজ দীর্ঘ দিন ফেলে রাখার কারণে এমনিতেই অবকাঠামোর কাক্সিক্ষত মান নেই। তার ওপর নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী, অনুন্নত প্রযুক্তি, ত্রুটিপূর্ণ নকশায় অবকাঠামো নির্মিত হলে তার স্থায়িত্ব নিশ্চিত করা অসম্ভব। সড়ক ও সেতু বিভাগের বিভিন্ন অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনার প্রতিকার এবং প্রতিবিধানে সরকারের বিদ্যমান মেকানিজমে পরিবর্তন ও ওভারহোলিং আবশ্যক।

এবার স্বাস্থ্য সেক্টরে কিছু অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনার দুর্গতি এবং দুর্ভোগের চিত্র তুলে ধরা হলো- কয়েক যুগ ধরে বাংলাদেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা বিশ্বাস-অবিশ্বাসের দোলাচলে অস্বস্তিকর ও বিশৃঙ্খল অবস্থায় চলছে। জনগণের মধ্যেও ভয়-ভীতি, ক্ষোভ, চিকিৎসক ও চিকিৎসাব্যবস্থার প্রতি অনাস্থার কমতি নেই। ২০২০ সালের মার্চ থেকে করোনায় একদিকে যেমন চলেছে ধ্বংসের তাণ্ডবলীলা, অন্য দিকে উন্মোচিত হয়েছে স্বাস্থ্য খাতের বেহাল অবস্থা। দিনের শুরুতে সংবাদপত্রের পাতা খুললেই দেখা যায়- স্বাস্থ্য-সুরক্ষাসামগ্রীর সঙ্কট, হাসপাতালে হাই-ফ্লো অক্সিজেন ও আইসিইউর অভাব, পর্যাপ্ত বেড নেই, বিভিন্ন হাসপাতালে ঘুরে ভর্তি হতে না পেরে রাস্তাতেই করোনা রোগীর মৃত্যু, স্বাস্থ্যবিধি না মেনে বিনোদন ও পর্যটনকেন্দ্রগুলোতে জনসমাগম, স্বাস্থ্য খাতে ও ব্যবস্থাপনায় নানা দুর্নীতি ইত্যাদি। বেসরকারি হাসপাতাল বা ক্লিনিকে চিকিৎসা খরচ আকাশচুম্বী, সেখানে চিকিৎসা নেয়া অনেকেরই সামর্থ্যরে বাইরে।

ভেজাল ও মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধের ছড়াছড়ি, পরীক্ষা-নিরীক্ষার মানহীনতা, মেয়াদোত্তীর্ণ রিএজেন্টের ব্যবহার, প্রায়ই অনেক ল্যাবরেটরির বিরুদ্ধে ভুল রিপোর্টের অভিযোগ, অদক্ষ টেকনিশিয়ান আর ভুয়া ডাক্তারের আধিক্য, এমনকি দালালদের দৌরাত্ম্যে রোগীরা দিশেহারা। এ ছাড়া প্রায়ই রোগী বা তার আত্মীয়-স্বজন চিকিৎসায় অবহেলা বা ভুলজনিত কারণে রোগীর মৃত্যুর অভিযোগ তোলেন। এ নিয়ে রোগীর আত্মীয়-স্বজনের সাথে হাসপাতাল ও ক্লিনিক কর্তৃপক্ষের গোলযোগ, হাতাহাতি, এমনকি ভাঙচুরের ঘটনা ঘটতে দেখা যায়।

একই সাথে হাসপাতালের চিকিৎসক, নার্স, কর্মকর্তাসহ অনেকের সাথেও দুর্ব্যবহার ও অসৌজন্যমূলক আচরণ করতে দেখা যায়। বেশির ভাগ ইউনিয়ন, উপজেলা, জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়েও স্বাস্থ্যব্যবস্থার দৈন্য অবস্থা পরিলক্ষিত হয়। সব মিলিয়ে সারা দেশের স্বাস্থ্যব্যবস্থার হতাশাজনক চিত্রটিই ফুটে ওঠে সর্বত্র। চিকিৎসকের প্রতি রোগীরা অসন্তুষ্ট ও আস্থা রাখতে পারছেন না। সামর্থ্যবান রোগীরা চলে যাচ্ছেন বিদেশে। বর্ণিত অনিয়ম, দুর্নীতি ও অব্যবস্থাপনার প্রতিবিধানে সরকারকে কঠোর হতে হবে। দুর্নীতিতে জিরো টলারেন্স নীতিতে অটল থেকে তার প্রতিবিধানে আমলাতান্ত্রিক গতিকে সহজতর করার পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।

এবার পাউবোর প্রসঙ্গ। দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের হাওর এলাকায় আড়াই কোটিরও বেশি মানুষের বসবাস। নিম্নাঞ্চল হওয়ায় দুর্যোগ-দুর্বিপাক প্রতি বছরই আঘাত হানে হাওরে। ভারত থেকে নেমে আসা ঢল ঠেকাতে সাত জেলার এই হাওরে অসংখ্য বাঁধ নির্মাণ করা হয়েছে। প্রতি বছর এসব বাঁধ রক্ষণাবেক্ষণ ও ভেঙে যাওয়া বাঁধ নির্মাণে কোটি কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়। কিন্তু বাঁধ নির্মাণের বরাদ্দের অর্থ তুলে নেয়া হলেও বাঁধ সংস্কার হয় না। ফলে এবার অসময়ে ভারত থেকে নেমে আসা ঢলে সুনামগঞ্জ, নেত্রকোনাও কিশোরগঞ্জের হাওরের হাজার হাজার একর জমির ধান তলিয়ে গেছে। সঠিক তদারকির অভাবে কাজে অনিয়ম ও গাফিলতি হয়েছে। এসব অনিয়মের সাথে প্রশাসন ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) কর্মকর্তারা জড়িত বলে দাবি করেন প্রতিবাদকারীরা। অপরিকল্পিত ও যেখানে সেখানে অপ্রয়োজনীয় বাঁধ নির্মাণের ফলে উল্টো হাওরের প্রকৃতি ও পরিবেশের ক্ষতি হচ্ছে। হাওরের ব্যাপক ফসলহানির পুনরাবৃত্তি যেকোনো উপায়ে ঠেকাতে হবে। সে জন্য বাঁধ নির্মাণ-মেরামতের সাথে জড়িত ব্যক্তিদের দুর্নীতি-অনিয়ম-অবহেলা স্থায়ীভাবে বন্ধ করতে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে। পাউবোর দুর্নীতিবাজ প্রকৌশলী-কর্মকর্তাদের বদলি বা বরখাস্ত যথেষ্ট নয়; তাদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা করা উচিত, তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা উচিত, যেন ভবিষ্যতে কেউ বাঁধ নির্মাণে দুর্নীতি-অনিয়ম করার সাহস না পায়।

এবার এলজিইডি প্রসঙ্গ। বাংলাদেশে বিপুল উন্নয়ন কর্মকাণ্ড চলতে থাকলেও এসব উন্নয়ন প্রকল্পের সুফল ভোগ করা থেকে জনগণ বঞ্চিত হচ্ছে বিভিন্ন পর্যায়ে চলতে থাকা সীমাহীন দুর্নীতির কারণে। অন্য দিকে, প্রায় এক যুগ ধরে টানা তৃতীয় দফায় ক্ষমতায় থাকা আওয়ামী লীগ সরকারের বহুল উচ্চারিত রাজনৈতিক অঙ্গীকারগুলোর একটি হলো- ‘দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স’। কিন্তু তাতে যে পরিস্থিতির খুব একটা হেরফের হয়েছে সেটি দৃশ্যমান নয়। আজকাল অনেক প্রকল্পে অনুমোদনের পর্যায়েই দুর্নীতির নীলনকশা গুছিয়ে রাখা হয় এবং সে অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট সবাই যাতে সুবিধাভোগী হতে পারেন সেটি নিশ্চিত করা হয়।

এবার জ্বালানি সঙ্কট প্রসঙ্গ। ঢাকা শহরে বাসাবাড়িতে যে গ্যাস সরবরাহ করা হচ্ছে, তাতে ৪০ শতাংশ গ্যাস চুরি হচ্ছে, অপচয় তো আছেই। এ চুরি ও অপচয় বন্ধ করতে প্রিপেইড মিটার চালু করা হলো। এখনো প্রায় ৮০ শতাংশ বাড়িতে সেই মিটার বসানো হয়নি। সেই মিটার দেয় বিতরণ কোম্পানি। তারা ভোক্তাদের ১০ ডলার মূল্যের নিম্নমানের মিটার সরবরাহ করে দাম নেয় ২৫ ডলার। বিপরীতে বিলের সাথে মাসে ভাড়া নেয় ১০০ টাকা। সমন্বিত পদক্ষেপ গ্রহণ ব্যতিরেকে সমস্যার স্থায়ী সমাধান সম্ভব নয়।

ভুক্তভোগীরা প্রায়ই অভিযোগ করেন, সকালে অনলাইনে টিকিট ছাড়ার সাথে সাথেই সব টিকিট শেষ হয়ে যায়। এর একটি বড় কারণ- কালোবাজারিদের হাতে টিকিট চলে যাওয়া, সেটি এখন স্পষ্ট। দেখা গেছে, টিকিট কালোবাজারি চক্রের সাথে রেলের কিছু অসাধু কর্মকর্তার যোগসাজশের কারণেই সাধারণ মানুষের টিকিট পেতে সমস্যা হয়। যেকোনো পরিবহন মাধ্যমের নির্বিঘ্নে টিকিটপ্রাপ্তি জনগণের নাগরিক অধিকার। যারা এ ক্ষেত্রে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করবে, তাদের দমন করা সরকারের দায়িত্ব। যে প্রতিষ্ঠানকে অনলাইনে টিকিট বিক্রির দায়িত্ব দেয়া হয়েছে, সে প্রতিষ্ঠানকেও সততা এবং দক্ষতা সম্পর্কে নিশ্চিত হয়ে তাদের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিয়োগ দিতে হবে।

সম্প্রতি অনলাইনে ট্রেনের টিকিট বিক্রিতে রেলওয়ের সাথে চুক্তিবদ্ধ কোম্পানি সহজ ডটকম অনিয়মের সাথে জড়িত থাকার তথ্য প্রমাণিত হওয়ায় ভোক্তা অধিদফতর জরিমানা করেছে। রেলে বিদ্যমান অব্যবস্থাপনা দূর করা না হলে কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষের ক্ষোভ ও প্রতিবাদ যে ক্রমেই বাড়বে। বাংলাদেশ সরকারের বিভিন্ন বিভাগ ও দফতরে অনিয়মই যেন নিয়মে পরিণত হতে চলেছে। এ অবস্থার প্রতিকার ও প্রতিবিধানে সরকারকে কঠোর ভূমিকা গ্রহণ করতে হবে। অন্যথায় এসডিজি লক্ষ্যমাত্রা অর্জন আমাদের জন্য বাস্তবিকই একটি চ্যালেঞ্জের বিষয় হয়ে দাঁড়াবে। আমরা জানি, সকল অনিয়ম, অব্যবস্থাপনাই হচ্ছে দুর্নীতির মূল উৎস। তাই কোনোভাবেই দুর্নীতির সাথে আপস নয়। বরং নিয়মতান্ত্রিকতা প্রতিষ্ঠায় সরকারকে কঠোর ও কঠিন ভ‚মিকায় অবতীর্ণ হতে হবে- এটিই দেশবাসী প্রত্যাশা করে। দুর্নীতিগ্রস্ত বিভিন্ন বিভাগ ও দফতরের কার্যক্রমকে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার মাধ্যমে সেবামুখী এবং গতিশীল করতে হবে।

লেখক : কলামিস্ট ও গবেষক, সাবেক উপ-মহাপরিচালক, বাংলাদেশ আনসার ও ভিডিপি