অকার্যকর প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক

দেশের ব্যাংক খাতের অবস্থা দিন দিন নাজুক হচ্ছে। এই নাজুক পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। কারণ ব্যাংকের মালিক, ব্যবসায়ী, রাজনীতিবিদ ও বাংলাদেশ ব্যাংক মিলেমিশে একাকার হয়ে গেছে। যেন বাংলাদেশ ব্যাংক সমবায় সমিতি। ব্যাংক খাতে সুশাসন, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহির চরম অবনতি হয়েছে। নিজেদের স্বার্থ উদ্ধারের জন্য ব্যাংক খাতে অলিগার্ক তৈরি হয়েছে। এ প্রবণতা আমানতকারীদের মধ্যে আস্থাহীনতা তৈরি করছে। এক কথায় কেন্দ্রীয় ব্যাংকটি অকার্যকর প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে।

গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর লেকশোর হোটেলে ব্যাংক খাতের ওপর বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) আয়োজিত সংলাপে বক্তারা এসব কথা বলেন। সংলাপের সঞ্চালনায় ছিলেন সিপিডির সম্মানীয় ফেলো ড. মুস্তাফিজুর রহমান। আর মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সংগঠনটির নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সাবেক পরিকল্পমন্ত্রী এমএ মান্নান, বিরোধীদলীয় উপনেতা আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ, সাবেক ব্যাংকার মোহাম্মদ নূরুল আমিন, জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক সৈয়দ ইশতিয়াক রেজা প্রমুখ।

মূল প্রবন্ধে ফাহমিদা খাতুন বলেন, ২০২২ সাল শেষে দুর্দশাগ্রস্ত ঋণ দেখানো হয়েছে ৩ লাখ ৭৮ হাজার কোটি টাকা। এর সঙ্গে অর্থঋণ আদালতের মামলায় আটকে থাকা এক লাখ ৭৭ হাজার কোটি টাকা যোগ করলে খারাপ ঋণ আরও বেশি।

তিনি বলেন, দেশের আর্থিক খাত ব্যাংকনির্ভর। দেশের উন্নয়নে এ খাতের ভূমিকা সবচেয়ে বেশি। অথচ সেই ব্যাংক খাতে ভঙ্গুরতা দেখা দিয়েছে। সুশাসন-জবাবদিহির হরণ ঘটেছে। ঋণ অনুমোদন, পুনঃতপশিল, অবলোপন সবই নিজেদের মতো করে করা হচ্ছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বাইরের চাপে কিংবা নিজেরা ইচ্ছা করে স্বাধীনভাবে কাজ করছে না। এ অবস্থার উন্নয়ন করতে হবে।

ফাহমিদা খাতুন বলেন, ব্যাসেল-৩ অনুযায়ী ব্যাংকগুলোর বিভিন্ন সূচকের তথ্য নিজেদের ওয়েবসাইটে দেয়ার কথা থাকলেও বেশিরভাগ ব্যাংক তা দেয় না। যেসব তথ্য দিচ্ছে আসল চিত্র কি না; তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। এখন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছে যেসব তথ্য যাচ্ছে তা পাওয়ার দরজা ক্রমান্বয়ে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। তথ্যের অবাধ প্রবাহের জন্য আমরা মিডিয়ার ওপর নির্ভর করতাম। সেটা বন্ধ হয়ে গেছে। তবে তথ্য যদি হাতের মুঠোয় একটি বাটনে থাকে তাহলে তো সাংবাদিকদের কোথাও ঘোরাঘুরির দরকার পড়ে না। উন্নত দেশগুলোয় রিয়েল টাইম তথ্য দেয়া হয়। আজকের অবস্থা সেখানে জানা যায়। তথ্যের অভাব এবং নির্ভরতার কারণে নীতিমালা সঠিক হয় না।

সিপিডির নির্বাহী পরিচালক আরও বলেন, শরিয়াহভিত্তিক ব্যাংকগুলোর প্রাতিষ্ঠানিক দুর্বলতার কারণে একসময়ের ভালো ব্যাংকগুলো এখন খারাপ হয়ে গেছে। ২০১৭ সালে মালিকানা পরিবর্তনের পর থেকে এসব ব্যাংকে তারল্য সংকট তৈরি হয়েছে। মনে রাখতে হবে সুশাসনের সঙ্গে ব্যাংক খাতের প্রতিযোগিতা ওতপ্রোতভাবে জড়িত। প্রতিযোগিতা না থাকলে সুশাসনে দুর্বলতা চলে আসে। প্রতিযোগিতার বাইরে গিয়ে যখন ব্যাংক মনোপলিস্টিক বা একক গোষ্ঠীর মধ্যে চলে যায় তখন তারা অতি অস্বাভাবিক মুনাফা করে। তবে সাধারণ মানুষের স্বার্থ ভূলুণ্ঠিত হয়। ব্যবসায়ী, সরকার, ব্যাংকের মধ্যে একটি যোগসূত্র তৈরি হয়ে দুর্বলতাগুলো সৃষ্টি হয়েছে। যার ভুক্তভোগী হচ্ছে সাধারণ মানুষ। তিনি বলেন, প্রতিযোগিতা থেকে বেরিয়ে এসব ব্যাংক একচেটিয়া অবস্থার মধ্যে ঢুকেছে তখন থেকে স্বাস্থ্য খারাপ হতে শুরু করে। যখন গোষ্ঠী শাসন তথা অলিগর্ক তৈরি হয়েছে সুশাসনের অভাব দেখা দিয়েছে। ব্যাংকগুলোয় অলিগর্ক তৈরি হয়েছে নিজেদের স্বার্থ রক্ষার জন্য। সে কারণে প্রতিযোগিতার বিষয়টি চলে গেছে।

বিরোধীদলীয় উপনেতা ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বলেন, ব্যাংকিং সেক্টর ইকোনমির হার্ট। কারণ ব্যাংকিং খাতের ওপর সব অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড নির্ভর করে। আর এই ব্যাংকিং খাতই বর্তমানে ক্যানসার বিরাজমান করছে। ব্যাংক খাত খারাপের পেছেনে বাংলাদেশ ব্যাংক বড় দায়ী। বাংলাদেশ ব্যাংক কীভাবে হঠাৎ ১০ ব্যাংকে খারাপ বলে ঘোষণা দেয়। ব্যাংকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিয়ে খারাপ ঘোষণা কীভাবে করে। নিয়ন্ত্রক সংস্থা হিসেবে তো এটা বলতে পারে না। বেসিক ব্যাংকের ঘটনা তো সবাই জানত। তখন তো এই ব্যাংকের ম্যানেজিং ডিরেক্টরের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। এখন বলা হচ্ছে অ্যাসেট ম্যানেজমেন্টের কথা। অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কী করবে! এসব অ্যাসেট কে কিনবে। প্রাইভেট করলেও

তিনি বলেন, এক ব্যাংক আরেক ব্যাংকের সঙ্গে যাবে; এটা কীসের ভিত্তিতে করেছে। বিদেশে ব্যাংকগুলো এমন অবস্থা গেলে বিভিন্ন পর্যবেক্ষণ করা হয়। এখানে সে রকম কোনো পর্যবেক্ষণ ছাড়াই পাবলিকলি বলছেন ‘এই ব্যাংক খারাপ’। এসব ব্যাংক যারা খারাপ করেছে, তাদের কী হবে; কিছুই স্পষ্ট করছেন না। আবার যারা খারাপ করেছে; তারাই পাঁচ বছর পর এসে ব্যাংকে এসে বসবে। এটাই কি সমাধান। ব্যাংক খাতের জন্য এটা এক ধরনের রেসিপি।

তিনি বলেন, ডলারের দর এত দিন ৮৪ টাকায় রেখে দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ৮৪ টাকা থেকে আবার হঠাৎই ১১০ টাকায় নিয়ে এলেন। এতে তো বাংলাদেশ ব্যাংকের কিছু যায় আসে না। সমস্যা হয় ব্যবসায়ীদের। এটা যদি আস্তে আস্তে বাড়ানো হতো তাহলে সমস্যা হতো না। আবার ১১০ দরে রেখে হঠাৎ তা এক দিনে ৭ টাকা বাড়িয়ে দিলেন। তাহলে ১১০ টাকায় কেন ধরে রাখলেন। ১১৭ টাকা ডলার রেট করার পরও ব্যাংক কোনো ১২০ টাকা নিচ্ছে। এটা কোন ধরনের খেলা। বাংলাদেশ ব্যাংক কী করছে। দাম বাড়বে বাড়ান। এই লুকোচুরি দিয়ে কী হবে। ক্রলিং পেগ কী দরকার। আবার সুদের হার ওপেন করে দিয়েছে। হঠাৎ ওপেন করে ব্যবসায়ীদের ক্ষতিতে ফেলছেন। ৯ শতাংশ থেকে ১৫ শতাংশ ক্যাপিটাল কস্ট বেড়েছে, সে কোথা থেকে দেবে। আসলে বাংলাদেশ ব্যাংক একটি অকার্যকর প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। এজন্য কোনো গবেষণা ছাড়াই হুটহাট সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। এমন হুটহাট সিদ্ধান্তের কারণে ভালো গ্রাহকও খেলাপি হচ্ছে। এখন তো বাংলাদেশ ব্যাংকই খেলাপি বানাচ্ছে।

সাবেক পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, ব্যাংকিং খাতের খেলাপি ঋণ, সুশসান এবং প্রফেশনাল বোর্ড নিয়ে যেসব আলোচনা হয়েছে, তা অপরিচিত নয়। অনেক সময় ইয়াং অপরিপক্ব কাউকে বোর্ডে পাঠানো হয়। এগুলো বাদ দেয়া দরকার। আবার ভিন্ন ব্যাংকিং ডিভিশন নিয়েও অনেকে কথা বলেছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক এবং ফাইন্যান্স ডিভিশন থাকার পরও এটা করা হয়েছে। করার পর একবার বাদ দেয়া হলো আবার তা করা হলো। এখানে সরকারও নিশ্চিত হতে পারছেন না, এটার প্রয়োজনীয়তা কতটুকু।

তিনি আরও বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে তথ্যপ্রবাহে বাধা এসেছে। আমি ব্যক্তিগতভাবে তথ্যের অবাধ প্রবাহে বিশ্বাসী। বিশেষ কিছু তথ্য আটকে রাখা যেতে পারে দুই-চার দিনের জন্য যা স্পর্শকাতর। কিন্তু পুরোপুরি তথ্য আটকানো এটা সেফ নয়। বিষয়টি সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করব।

মান্নান বলেন, হঠাৎ করে মজার সিদ্ধান্ত নিয়ে আসছে। ভালোভাবে এটা নিয়ে স্টাডি করা হয়নি। তাই শুরুতেই থমকে গেছে। কেউ তো এক বছরের মধ্যে মার্জার করে ভালো করে ফেলবে ঘোষণাও দিয়েছে। আসলে এটা সম্ভব নয়। আর নতুন ব্যাংকের লাইসেন্স দেয়ার ক্ষেত্রে সরকারকে আরও সাবধান হতে হবে। বাজারে চাহিদা থাকলে দিতে হবে। তবে তা সুন্দর প্রসেসে দিতে হবে।

তিনি আরও বলেন, ঋণ দেয়ার ক্ষেত্রে যেসব কর্মকর্তা জড়িত ঋণটি খারাপ হলে তাদের জবাবদিহির আওতায় আনতে হবে। শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। কারণ এরাই সিস্টেমকে খারাপ করে। এদের শাস্তির আওতায় আনা গেলে খেলাপি ঋণের প্রবণতা কিছুটা কমানো যেত।

বিশেষ অতিথির ব্ক্তব্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ বলেছেন, বাংলাদেশ ব্যাংক এখন নিজেরা সিদ্ধান্ত নিতে পারে না। সিদ্ধান্তের জন্য ব্যবসায়ী ডাকে, রাজনীতিবিদ ডাকে। সকালে সিদ্ধান্ত নেয়, বিকালে পরিবর্তন করে। অবস্থা এমন যে, বাংলাদেশ ব্যাংক এখন একটি সমবায় সমিতিতে পরিণত হয়েছে।

তিনি বলেন, এখন ব্যবসার মতোই ‘খেলাপি ঋণ’ মডেলে পরিণত হয়েছে। সুশাসনের অভাব ও রাজনৈতিক-ব্যবসায়িক কারণে স্বতন্ত্রভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এত খারাপ অবস্থা আগে কখনও হয়নি। এ অবস্থা অবশ্যই কঠোর হাতে দমন করতে হবে, সুশাসন আনতে ব্যাংকিং কমিশন গঠন করতে হবে। এটা না হলে কেন্দ্রীয় ব্যাংক যতই ক্যাশলেস সোসাইটি, সংকোচনমূলক মুদ্রানীতি, ক্রলিং পেগ দিয়ে পরিস্থিতির উন্নতি করতে চাক না কেন, সেটা কাজে আসবে না।

সাংবাদিক ইশতিয়াক রেজা বলেন, ব্যাংক খাতের এই সুশাসনের বিষয়ে আমরা আলোচনা করছি। ২০১৯ সালেও এই আলোচনা ছিল। এই আলোচনার মধ্যেই আমরা দেখলাম নতুন করে তিনটি ব্যাংক দেয়া হয়েছিল। বেঙ্গল কমার্শিয়াল ব্যাংক, সিটিজেন ব্যাংক এবং পিপলস ব্যাংক। তখন সামলোচনার মধ্যেই এই তিনটি ব্যাংককে অনুমোদন দিয়েছিল সরকার। সে সময় তৎকালীন অর্থমন্ত্রী বা তার আগের অর্থমন্ত্রী এসব বিষয়ে পাত্তা দিতে চাননি। বাংলাদেশে ব্যাংক তৈরি করা হয় না, বিতরণ করা হয়। সরকারের আশপাশে অবস্থান করা পছন্দ সেই ব্যক্তিদের মধ্যে বিতরণ করা হয়।

এবিবির সাবেক চেয়ারম্যান নুরুল আমিন বলেন, খুব ভালো সময়ে শক্ত সিদ্ধান্ত নিতে হয়। এটাই বুদ্ধিমানের কাজ। আমাদের ব্যাংক খাতে তেমন কোনো দূরদর্শী সিদ্ধান্ত আমরা দেখিনি। কোনো ঘটনা ঘটে গেলে আমরা নানা ধরনের পদক্ষেপ নিয়ে থাকি। গত ৫০ বছরে আমরা ব্যাংকগুলোর জার্নি ম্যাপ তৈরি করতে পারিনি। আমাদের ব্যাংকগুলো কীভাবে চলবে। কতগুলো ব্যাংককে আমরা লাইসেন্স দেবো বা কোন সেক্টরে কীভাব দেবে। এ কারণেই আমরা দেখি সরকারি ব্যাংকগুলোর পারফরম্যান্স একরকম আর বেসরকারি ব্যাংকের আরেক রকম এবং বিদেশি ব্যাংকগুলোর আরেক রকম। আমাদের ব্যাংকগুলো অ্যাসেট বেড়েছে বা অনেক কিছুই বেড়েছে; যা আরো ভালোভাবে বাড়তে পারত।

তিনি বলেন, আশির দশক বা নব্বইয়ের দশকে দিকে বাংলাদেশ ব্যাংক যখন কোন সার্কুলার করত তখন এটার মেয়াদ ৫, ৭ কিংবা ১০ বছর পর্যন্ত ছিল। ২০১০ সালের পরে এসে আমরা ইস্যু করি মাস্টার সার্কুলার। কিন্তু এক মাসের মাথায় ওই সার্কুলার পরিবর্তন। মাস্টার সার্কুলার দেয়ার আগে গবেষণা করে বুঝে শুনে ইমপ্যাক্ট কী হবে; তা বিবেচনা করে তারপর হওয়া উচিত। গত দুই বছরে তো আরও খারাপ অবস্থা। যেদিন সকালে সার্কুলার দেয় সেদিন বিকালেই আবার পরিবর্তন আসে আর দুই দিন পর আবার আরেকটা পরিবর্তন আসে। এই সেক্টর তো একটা সেনসিটিভ। এটা টিকে আছে মানুষের আস্থার ওপর। এখানে আস্থা ধরে রাখার জন্য কাজ করতে হবে। বারবার যদি নীতি পরিবর্তন হয় তাহলে ব্যবসায়ী, আমানতকারী, দেশে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের বিশ্বাস নষ্ট হবে। কোনোভাবেই এটা ঠিক হচ্ছে না।

সিপিডির হিসাবে দেখা যাচ্ছে, ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ব্যাংক আমানতের প্রকৃত সুদহার ছিল শূন্য দশমিক ১ শতাংশ। মার্চে তা শূন্যের কোঠায় নামার পর ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত প্রকৃত সুদহার ঋণাত্মক। ২০২২ সালের আগস্ট ও ২০২৩ সালের মে মাসে তা সর্বোচ্চ মাইনাস ৫ দশমিক ৫ শতাংশ পর্যন্ত নেমেছিল। এরপর মূল্যস্ফীতির হারের সঙ্গে তা সব সময় ওঠানামা করেছে। সর্বশেষ ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে তা ছিল মাইনাস ৪ দশমিক ৭ শতাংশ। অর্থাৎ প্রায় চার বছরে ধরে ব্যাংকে আমানত রেখে মানুষ ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে।

sharebiz