Serious torture while in remand

P1_British-Nagarik

বিনাকারণে গ্রেফতার করে রিমান্ডে অকথ্য নির্যাতনের শিকার হয়েছেন বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ নাগরিক বরুণার পীরজাদা মাওলানা শেখ নূরে আলম হামিদী। ডিবি পুলিশের নির্যাতনে মাথা থেকে পা পর্যন্ত তার শরীরের কোনো অংশই রক্ষা পায়নি। কারাগারে অসুস্থ হলেও চিকিত্সা পাননি তিনি। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিত্সকরা প্রেসক্রিপশন দিলেও ওষুধ দেয়া হয়নি। এর আগে ২২ ফেব্রুয়ারি কাঁটাবন মসজিদ থেকে আটকের পর হামিদীসহ তার সঙ্গে থাকা আরও চারজনকে শাহবাগিদের কাছে ছেড়ে দেয় পুলিশ। ২৫ দিন কারাভোগের পর ব্রিটিশ সরকারসহ বিভিন্ন মহলের হস্তক্ষেপে জেল থেকে মুক্ত হলেও পুরোপুরি সুস্থ হতে পারেননি তিনি; তাই সিলেটের একটি হাসপাতালে চিকিত্সাধীন আছেন।
মাওলানা হামিদীর বাড়ি বৃহত্তর সিলেটে মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গলের হামিদনগরের বরুণায়। তার বাবা বরুণার পীরসাহেব মাওলানা শায়খ খলীলুর রহমান হামিদী। তিনি অরাজনৈতিক ধর্মীয় সংগঠন আঞ্জুমানে হেফাজতে ইসলামের আমির এবং বরুণা মাদরাসার প্রিন্সিপাল ও শায়খুল হাদিস। ইসলামিক স্টাডিজে মাস্টার্স ডিগ্রি শেষ করে বরুণা মাদরাসায় শিক্ষকতা করেছেন। ১৯৯৯ সালে লন্ডন যান। সেখানে আনঞ্জুমানে হেফাজতে ইসলাম সেন্টারের অধীনে মসজিদ, মাদরাসা, বয়স্ক শিক্ষা, স্যানিটেশন, অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস, মেডিকেল সেন্টার, মাদকাসক্ত পুনর্বাসনসহ বিভিন্ন সামাজিক ও সেবামূলক কর্যক্রম পরিচালনা করেন। হেফাজতে ইসলাম ইউকের পক্ষ থেকে প্রতি বছর কোটি কোটি টাকার অনুদান গরিব-অসহায়দের মাঝে বিতরণ করা হয়—বাংলাদেশের যে কোনো দুর্যোগ মুহূর্তে জনগণের পাশে দাঁড়ায়। ঘূর্ণিঝড়, সিডর, বন্যা ও শীতকালে অসহায়দের পাশে থাকে হেফাজতে ইসলাম।
মাওলানা হামিদী বরুণায় ১৫ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক সম্মেলনে যোগ দিতে জানুয়ারি মাসে লন্ডন থেকে দেশে আসেন। প্রতি বছরই বরুণায় এ সম্মেলন হয়ে থাকে। লক্ষাধিক মানুষের সমাগম হয় এ মাহফিলে। এ সম্মেলনে বিদেশ থেকে যারা এসেছিলেন, তাদের বিমানে তুলে দিতেই ঢাকায় আসেন তিনি, আর এসেই গ্রেফতার হন।
মাওলানা হামিদী এসব ঘটনা আমার দেশ-এর কাছে তুলে ধরে বলেন, মাহফিলে যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, ভারত, অস্ট্রেলিয়াসহ অনেক দেশ থেকে মেহমান এসেছিলেন। তাদের পৌঁছে দিতে ঢাকায় আসি। ২১ ফেব্রুয়ারি তাদের ফ্লাইট ছিল। আমি, আমার ভাগ্নে হাফিজ আহমদ বিন কাসেম, আহমদ জুবায়ের জুয়েল, হুসাইন আহমদ খানসহ চারজন ঢাকায় আসি তাদের পৌঁছে দিতে। উত্তরায় একটি হোটেলে রাতে ছিলাম। ২২ ফেব্রুয়ারি নিউমার্কেটে যাই কেনাকাটার জন্য। পথে আমরা কাঁটাবন মসজিদে জুমার নামাজ আদায় করতে যাই। নামাজ শুরুর সামান্য আগে আমরা চারজন মসজিদে প্রবেশ করি।
তিনি বলেন, নামাজ শেষ হতে না হতেই মসজিদের ভেতর টিয়ারশেল ও গুলিবর্ষণ শুরু করে পুলিশ। আমাদের চোখ জ্বলছিল। অজুখানায় গিয়ে চোখে পানি দিলাম। গ্যাসের এতই তেজ যে চোখে ঠিকভাবে দেখছিলাম না। নিচে নেমে আসার মুহূর্তে হঠাত্ একজন লোক আমার পাঞ্জাবি খামচে ধরে টান দিয়ে ছিঁড়ে ফেলে; ছিঁড়ে ফেলে পাগড়ি। এ সময় টুপি পড়ে গেল। তখন আমিও ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে ঘুষি মারলাম। তখনও আমি বুঝতে পারিনি যে, সে সাদা পোশাকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একজন সদস্য। এরপর পুলিশ আমাদের ওপর হামলে পড়ল। পিটিয়ে আহত করে আমাদের টেনেহিঁচড়ে বাইরে বের করে আনল। হ্যান্ডকাফ পরাল। হাঁটিয়ে শাহবাগের দিকে নিয়ে যেতে লাগল। আমি তাদের বারবার বললাম, আমি ব্রিটিশ নাগরিক। দেশে বেড়াতে এসেছি। কিন্তু তারা কোনো কথাই শুনল না। শাহবাগ মঞ্চের কাছে নিয়ে গেল। জামায়াত-শিবির আখ্যায়িত করে আমাদের সেখানকার লোকদের হাতে তুলে দিল গণধোলাইয়ের জন্য। শাহবাগিরা আমাদের দিকে তেড়ে এলো। আমাদের কিছু না করতে শাহবাগিদের আমি বারণ করলাম। তারা আমাদের আর মারতে সাহস পেল না। আমাদের গালাগাল এবং ব্যঙ্গ-বিদ্রূপ করল। আমাদের গাড়িটিও পুলিশ শাহবাগে নিয়ে এলো। পুলিশের সামনে মঞ্চের লোকরা সেটি ভেঙে ফেলল।
মাওলানা শেখ নূরে আলম হামিদী বলেন, তারপর আমাদের শাহবাগ থানায় নিয়ে যাওয়া হলো। এশা পর্যন্ত সেখানে রাখল। আমার পায়ে যেখানে গুলি লেগেছিল, সেখান থেকে রক্ত ঝরছিল। আমি একপর্যায়ে অসুস্থ হয়ে পড়লাম। আমাদের খাবার পানিও দেয়া হলো না। আসর, মাগরিব ও এশার নামাজের জন্য অজুর পানিও দেয়া হলো না। দিতে বললে পুলিশ জানাল, জামায়াত-শিবিরের লোকজনকে কিছু দেয়া হবে না। তিনি অভিযোগ করেন, শাহবাগ থানায় জমা নেয়া পাউন্ড ছাড়া লক্ষাধিক টাকা এখনও পাইনি। গাড়িটিও ফেরত দেয়া হয়নি।
তিনি বলেন, সেদিন রাতে ডিবি অফিসে নিয়ে গেল। আমার ভাগ্নের চোখ বেঁধে প্রথমে তাকে একটি রুমে নিয়ে যাওয়া হলো। তার জন্ম পবিত্র মক্কায়। সে কোরআনে হাফেজ এবং একজন নামকরা কারি। পরে আমাকেও চোখ বেঁধে একটি রুমে নেয়া হলো। ডিবি পুলিশের কয়েকজন মিলে আমাকে লাঠি দিয়ে পেটাল। রাতে ডিবি গারদে রাখল। সেখানে থাকা অবস্থায় আমি সকালের দিকে অজ্ঞান হয়ে পড়ি। আমাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলো। পরে শাহবাগ থানায় আনা হলো। কিন্তু প্রেসক্রিপশন অনুযায়ী ওষুধ দিল না। জামায়াত-শিবির, ভাংচুর, ককটেল বিস্ফোরণ প্রভৃতি অভিযোগে মামলা দেয়া হলো। এরপর সেখান থেকে চালান দেয়া হলো আদালতে। দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করল আদালত। থানায় নিয়ে রিমান্ডের নামে নির্যাতন করল। পা থেকে মাথা পর্যন্ত শরীরের কোনো জায়গা বাকি রাখেনি পেটাতে। পেটানোর সময় থানার লোকরা বলত, গোপালগঞ্জের টাইগার। শেখ হাসিনার খুব কাছের লোক।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, ডিবিতে নেয়ার পর আমার কাছে থাকা আনুমানিক ২৯ হাজার টাকা, ২টি মোবাইল, ক্রেডিট কার্ডসহ সবকিছু সেখানকার একজন এসআই জমা নেন। তিনি ক্রেডিট কার্ড থেকে কয়েকবার শপিং করেছেন, জানতে পেরেছি স্টেটমেন্ট সংগ্রহ করে। কিন্তু মুক্তি পাওয়ার পর টাকাসহ কোনো কিছুই আর ফেরত দেয়া হয়নি।
তিনি বলেন, শাহবাগ থানা থেকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে নেয়া হলো। আমার স্থান হলো কারা হাসপাতাল-৪ এ। এর দায়িত্বে ছিল কয়েদি সুলতান। আমাকে রাখা হলো মদ ও গাঁজাখোরদের সঙ্গে। মদ-গাঁজার দুর্গন্ধে আমি সেখানে জ্ঞান হারিয়ে ফেলি। পরে ডাক্তার কুণ্ডুর কাছে নেয়া হয়। তিনি বললেন, সিগারেট, মদ, গাঁজামুক্ত কোনো সিট নেই। হাসপাতালে থাকা অবস্থায় ডাক্তার কুণ্ডু আমার সঙ্গে চরম দুর্ব্যবহার করেন। আমি ডায়বেটিসের রোগী। কিন্তু আমার নিজের ওষুধও তিনি ১১ দিন পর্যন্ত আটকে রেখেছিলেন।
মাওলানা হামিদী দুঃখ করে বলেন, ডাযাবেটিসের ওষুধ দীর্ঘদিন না খাওয়ার কারণে পায়ে যেখানে গুলি লেগেছিল, সেখানকার ঘা এখনও শুকায়নি। আর মেরুদণ্ড-ঘাড়সহ শরীরের প্রত্যেকটি হাড়ে ব্যথা। দাঁড়াতে পারি না। দাঁড়াতে গেলেই মাথা ঘোরে। আমি একজন মুসলমান হওয়ার কারণে ডাক্তার কুণ্ডু শুরু থেকেই আমার সঙ্গে যে দুর্ব্যবহার ও গালাগাল করেছেন, তা একজন ডাক্তার করতে পারেন না। স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় আমার দাদা বরুণার পীরসাহেবের বাড়ি ছিল মুক্তিবাহিনীর আশ্রয়স্থল। হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন আমাদের বাড়িতে এসে আশ্রয় পেয়েছে, সোনা-গহনা জমা রেখেছে। হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজনকে বিশেষভাবে নিরাপত্তা দিয়েছেন বরুণার পীরসাহেব। সেই হিন্দু সম্প্রদায়ের ডাক্তার কুণ্ডু যদি জানতেন আমাদের পরিবারের ঐতিহাসিক অবদান, তা হলে হয়তো তিনি লজ্জায় মুখ ঢাকতেন। আমার জন্মই হয়েছে ১৯৭৩ সালে। কিন্তু আমাকে রাজাকার, জামায়াত-শিবির ও জঙ্গি বলে গালাগাল করা হলো। হায় রে মানুষ! হায় রে মানবতা! শুনেছি আমার এলাকার শতাধিক হিন্দু পরিবার নিজ উদ্যোগে গণস্বাক্ষর করে আমার মুক্তির দাবি জানিয়েছে।
তিনি বলেন, আমার একটি ব্যক্তিগত ডায়েরি ছিল। এতে প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন হিসাব সংরক্ষণ করা ছিল। ওই ডায়েরিটা কারারক্ষী শাহজালাল নিয়ে নিল। আমি বারবার অনুরোধ করলাম ডায়েরিটা অন্তত জেল সুপারের কাছে পৌঁছে দিতে। পরে তা সংগ্রহ করব। কিন্তু কারারক্ষী শাহজালাল ও মজিবুর আমাকে অশ্রাব্য ভাষায় গালাগাল করে বলল, এই ডায়েরি শাহবাগ থানায় পৌঁছানো হবে। এটি প্রমাণ করবে, তুমি একজন জঙ্গি ইত্যাদি নানা কথা। আজ পর্যন্ত আমার ডায়েরিটার খোঁজ পেলাম না। আমাকে তিন দিন পর্যন্ত আত্মীয়স্বজনের সঙ্গে সাক্ষাত্ করতে দেয়া হয়নি। ডিবির লোক আসবে, জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে—এসব অজুহাতে আমার বয়োবৃদ্ধ বাবা ও চাচার সঙ্গে সাক্ষাত্ করতে দেয়া হলো না।
তিনি বলেন, আমার আব্বার স্বাস্থ্য ভালো নয়। বেশিক্ষণ দাঁড়াতে পারেন না। তারপরও তাদের দাঁড় করিয়ে রাখা হলো। বলা হলো, পিজিতে চিকিত্সার জন্য নেয়া হয়েছে। পিজিতে গিয়েও তারা আমাকে পেলেন না। চিকিত্সা না দিয়েই আমাকে দ্রুত আবার কারাগারে নিয়ে আসা হলো। বারবার কারাগার ও স্থান বদল করানো হয়েছে। মানসিকভাবে অসহনীয় নির্যাতন করা হয়েছে। আমার জন্য বাইরে থেকে যে খাবার পাঠানো হতো, তা-ও লুট করা হয়েছে বারবার।
তিনি বলেন, আমি কারাগারে দ্বীনি আলোচনা ও জিকিরের কার্যক্রম চালাতে লাগলাম। কিন্তু তা করতে আমাকে নিষেধ করা হলো। শাসিয়ে দিয়ে বলা হলো, এগুলো নাকি জামায়াতি কার্যক্রম। আমি বললাম, আপনারাও শরিক হয়ে দেখুন, আমি জামায়াত-শিবিরের কার্যক্রম করছি, নাকি আধ্যাত্মিক আলোচনা করছি। কিন্তু তারা আমার কথায় কর্ণপাত না করে উল্টো অভিযোগ করল, আমি নাকি মাওলানা সাঈদী সাহেবের মুক্তির জন্য কাজ করছি। আমি ডায়াবেটিকের রোগী। তাই হাঁটতে হয়। কিন্তু তারা আমাকে হাঁটতেও নিষেধ করে।
তিনি বলেন, আমি জুমার নামাজ পড়িয়েছিলাম কারাগারে। ফার্মাসিস্ট প্রাণকৃষ্ণ আমার প্রেসার মাপতে এসে হুমকি দিয়ে বললেন, সেলের মধ্যে থাকা অন্য জামায়াত-শিবিরের বন্দিদের সঙ্গে দল পাকানো বন্ধ না করলে আমাকে ইনজেকশন পুশ করে চিরদিনের জন্য ঘুম পাড়িয়ে দেবেন। জেলে অসুস্থ হয়ে পড়ায় আদালত নির্দেশ দেন আমাকে নিজ খরচে কারাগারের বাইরে চিকিত্সার ব্যবস্থা করতে। কিন্তু কারাগারের ডাক্তার কুণ্ডু বলেন, তার চাকরি চলে গেলেও তিনি আমাকে বাইরে চিকিত্সার জন্য পাঠাবেন না। আমি অসুস্থ হওয়া সত্ত্বেও সেদিন আমাকে কারা হাসপাতালে রাখেননি তিনি। মেঘনা-৮ এর ফ্লোরে রাখা হলো সারারাত। সকালে আমদানিতে কয়েক ঘণ্টা বসিয়ে রেখে আবার সেখান থেকে আদালতে নিয়ে যাওয়া হয়। আমাকে পাঞ্জাবি পরারও সুযোগ দেয়া হয়নি। শুধু গেঞ্জি পরা অবস্থায় ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে নিয়ে যাওয়া হয়। সেদিন আমার বিরুদ্ধে কোর্টে অভিযোগ আনা হয়, আমি আফগানিস্তানফেরত প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত তালেবান যোদ্ধা। আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ লেখা হলো, আমি পাকিস্তানের লস্কর-ই তৈয়্যেবার কিলিং স্কোয়াডের সদস্য। এই বলে আদালতের কাছে রিমান্ড চাওয়া হলো। কোর্ট রিমান্ড মঞ্জুর না করলে সেদিন জেলগেটে একদিনের জন্য জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দেয়া হলো।
তিনি বলেন, ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার এবং কাশিমপুর মিলিয়ে ২৫ দিন কারাগারে ছিলাম। ১৯ মার্চ মুক্তি পাই জামিনে। দুঃখের বিষয় হলো, সংসদের চিফ হুইপ উপাধ্যক্ষ আবদুস শহিদ ১৫ ফেব্রুয়ারি আমার আব্বার বরুণা সম্মেলনে গিয়েছিলেন প্রধান অতিথি হিসেবে। গ্রেফতার হওয়ার পর তাকে অনুরোধ করা হয়েছিল, আমার বিষয়ে একটি প্রত্যয়নপত্র দেয়ার জন্য। কিন্তু তিনি দেননি। আমার সম্পর্কে তিনি ভালোভাবে জানা সত্ত্বেও উল্টো অভিযোগ করেছেন, আমার সঙ্গে নাকি জঙ্গি কানেকশন আছে।
হামিদী জানান, বর্তমানে লন্ডনে তার স্ত্রী, তিন ছেলে ও দুই মেয়ে রয়েছে। তিন ছেলেই আবাসিক মাদরাসায় ভর্তি রয়েছে। বাংলাদেশের এ ঘটনার কারণে লন্ডনে তার চাকরি চলে গেছে। ৫ মার্চ লন্ডনে যাওয়ার কথা ছিল; কিন্তু মামলার কারণে যেতে পারছেন না। লন্ডনে তার পরিবার অসহনীয় অবস্থায় পড়েছেন। এখানে কত দিনে তার ঝামেলা মিটবে, তা-ও জানেন না তিনি।

Source:

1 COMMENT

  1. This is Sheikh Hasina’s ‘digital’ Bangladesh. Justice is meted out to those who adore her as a powerful goddess. So though she appears to be a ‘Muslim’ in her hijab and at times ‘tasbih’, one should wonder how she can be so merciless. May be the brutal killing of her family including her father Bangabandhu may have stonified her heart. So Moulana Hakimi should seek Allah’s help because, in the words of Mr. Sengupta – one can escape even a tiger but not Sheikh Hasina. Fact is by ousting Pakistan and bringing about Bangladesh, Muslims here have now fallen from frying pan into the fire. How long it will take to establish peace is a matter of great doubt.

Comments are closed.