বিচারালয়ের মানিক এবং প্রেমালয়ের রতন

Minar Rashid

ইন্ডিয়ার স্বনামধন্য বুদ্ধিজীবী কুলদীপ নায়ার জানিয়েছেন , অজানা গন্তব্যে বাংলাদেশ । পাশের দেশে অবস্থান করার পরেও উনার বিবেকের রেডারে যা ধরা পড়েছে , সেই দেশ থেকে ‘পদ্মভূষণ’ সহ নানাবিধ উপাধি ও উপঢৌকন পাওয়া এদেশের কোন বুদ্ধিজীবীর রেডারে তা এখনও ধরা পড়ে নি ।

অর্থমন্ত্রী জানিয়েছেন যে ব্যাংকগুলির অবস্থা ভালো না । আমরা যারা মেরিনের সাথে জড়িত তাদের প্রত্যেকেই উপলব্ধি করছি এই সেক্টরে কী ভয়ংকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। শত শত মেরিন ক্যাডেট রাস্তাঘাট ঘুরছে ও অনেকেই মানবেতর জীবন যাপন করছে – যা এর আগে কখনই কল্পনা করা যায় নি ।

তেমনি করে যারা রিয়েল এস্টেইট ব্যবসার সাথে সংযুক্ত , তারা বুঝতে পারছেন সেখানকার আসল পরিস্থিতি । সাধারণ মানুষের মাঝে এক ধরনের আতংক সৃষ্টি করে রাখা হয়েছে যাতে কেউ যেন মুখ না খোলে । গবু চন্দ্র মন্ত্রীরা দেশে অলিখিত ফরমান জারি করেছে, কাঁদতে কেহ পারবে নাকো যতই মরুক শোকে। যতই কষ্ট হোক সবাইকে হাসতে হবে ।

সবার মুখ বন্ধ করে কিছু দালাল সৃষ্টি করে তাদের মাধ্যমে কাল্পনিক উন্নয়নের গল্প ছড়ানো হচ্ছে ।

দেশটিকে টিকিয়ে রেখেছে বিদেশে কর্মরত সাধারণ শ্রমিক ও খেটে খাওয়া মানুষগুলো । তাদের পাঠানো রেমিটেন্স দেশের প্রকৃত উন্নতিতে কাজে না লাগিয়ে তা নিয়ে মহা লুটপাট করা হচ্ছে । সবচেয়ে সস্তা শ্রমের এই দেশে রাস্তাঘাটের নির্মাণ খরচ বিশ্বের মধ্যে সর্বোচ্চ হয়ে পড়েছে , উন্নত দেশের চেয়েও কয়েকগুণ বেশি হয়ে পড়েছে। এই বেশি খরচের কারণটি হলো দুর্নীতি । দেশের সম্পদ এই প্রক্রিয়ায় লুটপাটের মাধ্যমে কিছু রাস্তাঘাট তৈরি করা হচ্ছে । এই ভেলকিকেই বলা হচ্ছে উন্নয়ন । আর কিছু খরচ করা হচ্ছে সামরিক এবং বেসামরিক সরকারী কর্মচারীদের বেতন ও সুযোগ সুবিধা বাড়ানো বাবদ । এই লোকগুলিও উপলব্ধি করতে পারছে না যে এই চকোলেট হাতে ধরিয়ে তাদের ভবিষ্যত প্রজন্ম ও দেশটির কী মারাত্মক সর্বনাশ করা হচ্ছে ।

এদেশের বিচারালয়কে যেমন এক মানিক ওলটপালট করে ফেলছেন , তেমনি প্রেমালয়েও অন্য এক রতন রীতিমত ঝড় তুলে বসেছেন । মানব মানবীর এই গোপন কর্মটিকে তিনি আর চার দেয়ালের ভেতর আটকে রাখতে চান না ।

কিন্তু দেশ থেকে বিতাড়িত হয়ে তিনি এখন যে সমাজে বসবাস করছেন সেখানেও এই কর্মটিকে ‘পাবলিক নূ্যইসেন্স’ হিসাবে গণ্য করা হয় । এই ধরনের কর্মে নিয়োজিত যুগলকে পৃথিবীর যে কোন দেশের পুলিশ সাথে সাথেই গ্রেফতার করবে ।

প্রাণী জগতের অন্যান্য প্রাণীরাও এই কর্মটিকে আড়ালে আবডালে করতে চায় । তবে আশ্বিন কার্তিক মাসে কুকুর কুকুরনীরা এটা প্রকাশ্যে করে ।

এত কিছুর পরেও এই দেশটিতে যা কিছু শান্তি অবশিষ্ট ছিল ,মনে হচ্ছে এই কুত্তা-কুত্তিরা সেটুকুও বিনষ্ট করে ফেলবে ।