বোলিং-ফিল্ডিংয়ে আলোকিত মোস্তাফিজ, তবুও জেতেনি রাজস্থান

বোলিং-ফিল্ডিংয়ে আলোকিত মোস্তাফিজ, তবুও জেতেনি রাজস্থান – ছবি : সংগৃহীত

বেশিরভাগ মানুষেরই হয়তো ধারণা ছিল বলটা ছক্কাই হবে। কিন্তু না, ছক্কা হওয়া থেকে বলটি থামিয়ে দিলেন মোস্তাফিজুর রহমান। নিজে চলে গেলেন বাউন্ডারির বাইরে। ঠেকিয়ে দিলেন ছক্কাটি।

বোলিংও ছিলেন দুর্দান্ত। রয়েল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর উইকেট পড়েছে তিনটি। তার মধ্যে দুটিই ছিল মোস্তাফিজের ঝুলিতে। বাকিটি ছিল রান আউট। তাতে অবশ্য কাজের কাজ কিছু হয়নি। বাংলাদেশী পেসারের দুর্দান্ত পারফরম্যান্সও জেতাতে পারেনি তার দল রাজস্থান রয়্যালসকে। বেঙ্গালুরুর কাছে তারা হেরেছে ৭ উইকেটের বড় ব্যবধানে।

বুধবার দুবাইয়ে টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় বেঙ্গালুরু। ব্যাট করতে নেমে এভিন লুইস ও জসস্বী জাসওয়ালের কল্যাণে দারুণ শুরু পায় রাজস্থান। ৭৭ রানের উদ্বোধনী জুটি গড়েন এই দুজন। ৩ চার ও ২ ছক্কায় ২২ বলে ৩১ রান করে জাসওয়াল সাজঘরে ফিরলে এই জুটি ভাঙে।

৫ চার ও ৩ ছক্কায় ৩৭ বলে ৫৮ রান আসে এভিন লুইসের ব্যাটে। কিন্তু তাদের বিদায়ের পর রাজস্থানের আর কোনো ব্যাটসম্যানই দলের হাল ধরতে পারেননি। ১৫ বলে ১৯ রান করে আউট হয়ে যান অধিনায়ক সাঞ্জু স্যামসান।

নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ১৪৯ রানে থামে রাজস্থানের ইনিংস। বেঙ্গালুরুর পক্ষে ৪ ওভারে ৩৪ রান দিয়ে তিন উইকেট নেন হার্শাল প্যাটেল।

রাজস্থানকে জবাব দিতে নেমে ভালো শুরু পায় বেঙ্গালুরুও। উদ্বোধনী জুটিতে ৪৮ রান যোগ করেন বিরাট কোহলি ও দেবদূত পাড্ডিকেল। তাদের প্রথম ধাক্কাটা দেন মোস্তাফিজ। দারুণ এক ডেলেভারিতে বোল্ড করে সাজঘরে ফেরান ১৭ বলে ২২ রান করা পাড্ডিকেলকে। রান আউট হয়ে ফেরার আগে ২০ বলে ২৫ রান করেন কোহলি।

তবে তাতে জিততে সমস্যা হয়নি বেঙ্গালুরুর। ৩ চার ও ১ ছক্কায় ৩৬ বলে ৪৪ রান করে শ্রীকর ভারত আউট হলেও ৩০ বলে ৫০ রান করে গ্লেন ম্যাক্সওয়েল দলকে সহজ জয় এনে দেন। মাঝে শ্রীকরকে ফিরিয়ে অবশ্য কিছুটা প্রতিদ্বন্দ্বিতার আভাস দিয়েছিলেন মোস্তাফিজ। কিন্তু ১৭ বল আগেই সাত উইকেটের জয় পায় বেঙ্গালুরু।