নারী_হ্যারাসমেন্ট_এবং_বাংগালী

3 April 2020

আইইডিসিআর এর হটলাইনে কাজ করা একজন চিকিৎসক মোহোনা খন্দকার মিতি । তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লিখেছেন, হটলাইনে কাজ করার পর একটা উপলব্ধি হয়েছে যে দেশের বহু মানুষের আসলে কোনও কাজই নাই এবং তাদের তেল অনেক বেশি । নাহলে মেয়ে কণ্ঠ শুনেই “আপনি বিয়ে করেছেন”, ” আপনার বয়স কত”, “যৌবন ফিরে পাব কিভাবে”, “দুলাভাই কী করে”, “এই ফোন দিয়েছি এমনি, আপনার সাথে কথা বলার জন্য”, “আমাকে ফোন ব্যাক করেন আপনার সাথে কথা বলতে চাই” ইত্যাদি ইত্যাদি ব্যাপারগুলা ঘটতো না ৷ সব থেকে বেশি অবাক হয়েছি সৌদি আরব থেকে একটা গ্রুপ লিটারেলি ১০ বারের উপর ফোন দিয়ে নানা ভাবে বিরক্ত করছে । সমাজসেবা কঠিন জানতাম তবে এতটা বেহায়াপনা দেখা লাগবে জানতাম না সত্যি ।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আইইডিসিআর’র আরেকজন নারী কর্মী আরটিভি অনলাইনকে জানান, এ ধরনের বাজে কল বেশি আসে রাতের দিকে। তারা ফোন দিয়ে বলেন, আপনারা রাতে কী খেয়েছেন । তার করোনা হয়নি সে আমার বাসায় আসবে কি-না । বাসার ঠিকানাও চান তারা । ফোনের অপরপ্রান্তে নারী কণ্ঠ পেলেই এমন আচরণ করেন তারা ।

তিনি বলেন, কিছু কিছু কল রিসিভ করার পর সারাটা দিন খারাপ যায় । এত নোংরা কথা কিভাবে মানুষ উচ্চারণ করতে পারে তা আমার মাথায় আসে না। কিন্তু প্রত্যুত্তর করার কোনও নিয়ম নেই ।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আইইডিসিআর’র আরও একজন নারী কর্মী আরটিভি অনলাইনকে জানান, ছেলেরা ফোন ধরলে যেমন তেমন, যদি ফোনে মেয়েদের কণ্ঠ শোনে তাহলে ফাজলামোর মাত্রা বেড়ে যায় । কখনো কখনো খুব বাজে গালি দিচ্ছে। দেশের মধ্যে থেকেই এইসব কাজ করছে। এইসব ফালতু কলের জন্য যাদের আসলেই দরকার তারা সবসময় নাম্বার ব্যস্ত পাচ্ছে । এটার একটা সমাধান দরকার ।

আইইডিসিআর’র এমআইএস শাখার পরিচালক ড মো: হাবিবুর রহমান বলেন, এমন অভিযোগ আমরা শুনেছি । এটা খুবই অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা । বিষয়টি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে যারা দোষী তাদের প্রয়োজনে ট্র্যাক করে আমরা আইন প্রয়োগকারী সংস্থার হাতে তুলে দিব ।

বর্তমানে সব কল ট্রেসিং+ট্রাকিং এবং রেকর্ডিং হচ্ছে । ১০ জনকে আইনের আওতায় আনা হয়েছে।বাকিদের বিরুদ্ধে সাইবার ক্রাইমের আওতায় মামলা হচ্ছে । নারীদের কাজ করতে অনুৎসাহিত না করে উৎসাহ দিন । নয়ত জেল+জরিমানার জন্য প্রস্ততি নিন । উল্লেখ্য এসব চিকিৎসকেরা বিনা পারিশ্রমিকে চিকিৎসা সেবা দিয়ে থাকেন ।

©Rtvonline