Site icon The Bangladesh Chronicle

Virginity test versus viva test

 Minar Rashid

ভার্জিনিটি টেষ্ট বনাম ভাইভা টেষ্ট

দুনিয়াটা সত্যি এক অাজব জায়গা। ইন্দোনেশিয়ার মহিলা পুলিশদেরকে ভার্জিনিটি টেষ্টে পাশ করার পর পুলিশ বাহিনীতে যোগ দিতে হয়। ঐদেশের পুলিশ বাহিনীর জন্যে খামাখা এই জিনিসটি আবার কেন দরকার হয়ে পড়লো তা বোধগম্য হচ্ছে না।
সঙ্গত কারনেই এটা নিয়ে নারীবাদী সংগঠনগুলি হৈ চৈ শুরু করে দিয়েছে। কারন কোন ডিজিটাল পদ্ধতিতে নয়, একেবারে এনালগ পদ্ধতিতে টেষ্টটি করা হয়। প্রক্রিযাটি খুবই বেদনাদায়ক। অপমানজনক তো বটেই।
পাশ করলে তো তাও কিছুটা সান্ত্বনা । ফেইল করলে ট্রিপল বেদনা – চাকুরি না পাওয়ার বেদনা, ব্যাদ্নার বেদনা ও সর্বশেষ অপবাদের বেদনা।

সংবাদটি পড়ে মনে হলো, অভাগা ঐদেশে কি আমাদের মহামান্য এইচ.টি ইমামের মতো কোন হৃদয়বান কোচিং গুরু নেই ?
উনি ঢাকায় ছাত্রলীগের ভাইভার জন্যে যে কোচিং এর ইস্কুল খোলার ঘোষনা দিয়েছেন তার একটি শাখা জাকার্তায় খুললে এই মেয়ে গুলির সত্যিই খুবই উপকার হতো।

তখন সেখানকার কোন এইচটি ইমাম বলতেন , শুধু পেটটি খালি রাইখো ,বাকিটা আমরা দেখবো। দেশের মানুষ যত বুদাই হোক পেটটি দৃশ্যমান হয়ে গেলে তো আর কিছু করা যাবে না।

আর যদি আব্দুল গাফফার চৌধুরীর মতো লেখক বা কলামিস্ট থেকে থাকেন তবে পেটটি ফুলে গেলেও সমস্যা হবে না। পেট ফোলা থাকলেও কোন কুমারী মেয়েকে ভার্জিন প্রমাণে এই গাফফার চৌধুরীদের কোনই সমস্যা হবে না ।

গত সপ্তাহে এইচ টি ইমামের পক্ষ নিয়ে দৈনিক যুগান্তরে ‘ চায়ের কাপে তুফান’ শিরোনামে যে লেখাটি লিখেছেন তাতে এই শক্তিসালী কলামিস্ট তার সাহস ও দক্ষতার এই প্রমাণটি তুলে ধরেছেন।

বর্তমান সরকারের অবৈধতার প্রমাণটি কুমারী মেয়ের আট মাসের ফোলা পেটের মতই দৃশ্যমান হয়ে পড়েছে । দেশের মানুষ নিজেদের চোখে যাই দেখুক না কেন – প্রতিবেশী দেশটি সেই ফোলা পেটেই ভার্জিনিটির স্ট্যাম্প মেরে দিয়েছে। চীন,রাশিয়া তো জানেই না যে (গনতন্ত্রে) ভার্জিন কাহাকে বলে। কাজেই আরো দুটি স্ট্যাম্প পেতে এই অবৈধ সরকারের কোন অসুবিধা হয় নি।

সরকার নামক কুমারী মেয়ের এই পেটটি যারা নির্দয়ভাবে ভাবে ফুলিয়েছে, গায়েবানা হস্তক্ষেপে সেই এইচটি ইমামের ঠোঁট থেকেই এখন ভেতরের খবরটি বের হয়ে এসেছে। এইচটি ইমামের মুখ থেকে এই স্বীকারোক্তি বের করে আল্লাহ দেখিয়েছেন যে তিনি সব কিছুই পারেন।

কুমারীর পেটটি তো ফুলেছেই সাথে সাথে সেই কুমারী আবার নিজের মুখে তা প্রকাশ্যে জানিয়ে দিয়েছে । তারপরেও জনাব গাফফার চৌধুরীরা হাল ছাড়ছেন না। আমাদেরকে বিশ্বাস করিয়েই ছাড়বেন যে আট মাসের পেট ফোলা কুমারীটি ভার্জিন।

তিনি শেরে বাংলার জীবনের একটি ঘটনা টেনে প্রমাণ করার চেষ্টা করেছেন যে এইচটি ইমামের বক্তব্য খন্ডিত বা বিকৃত করা হয়েছে। শেরে বাংলার বক্তৃতার মাঝখান থেকে একটি বাক্য নিয়ে মুসলিম লীগ সমর্থক পত্রিকা নাকি শিরোনাম করেছিল। সেই ঘটনার সাথে তিনি এইচটি ইমামের ঘটনা গুলিয়ে ফেললেন! একটি ঘটনা সত্য হলেই কি পরেরটিও সত্য হয়ে পড়বে ? যেখানে দুটি ঘটনার স্থান-কাল-পাত্র সম্পূর্ণ ভিন্ন।

শেরে বাংলার সেই বক্তৃতার অডিও ভিডিও প্রমাণ ছিল না। সেটাকে বিকৃত ও খন্ডিত করা যতটুকু সহজ ছিল, এইচটি ইমামের ক্ষেত্রে ততটুকু সহজ নয়। কারন তার বক্তৃতার অডিও ভিডিও ছড়িয়ে অাছে। যে কেউ যখন তখন তা দেখতে পারে।

এই সব যুক্তি এদেরকে থামাতে পারবে না।

শুধু সেলুকাসকে ডেকে বলতে হয়, হায় সেলুকাস! কি বিচিত্র এই সব বুদ্ধিজীবী!

Exit mobile version