RAW-এর সর্বগ্রাসী ষড়যন্ত্র — একজন সেনা কর্মকর্তার অসহায় স্বীকারোক্তিতে ফুটে উঠেছে সেনাবাহিনীর আসল অবস্থা
====================================
আমি ১৯৯৯ সালে ক্যাপ্টেন থাকা অবস্থায় বিআই বা বেসিক ইন্টেলিজেন্স কোর্স করি। আমার কাছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সব প্রশিক্ষন একাডেমির মধ্যে স্কুল অব মিলিটারী ইন্টালিজেন্সকে শ্রেষ্ঠ প্রতিষ্ঠান মনে হয়েছে।
.
তার পরিচালনা পদ্ধতি আর সৈনিক থেকে শুরু করে কমান্ডেন্ট পর্যন্ত সবার কাজের প্রতি নিস্ঠা দেখে এটাকেই তখন পর্যন্ত সেরা হিসেবে মেনে নিয়েছি । আমি নিশ্চিত তারা তাদের সুনাম এখন পর্যন্ত অক্ষুন্ন রেখেছে।
.
সবচেয়ে বেস্ট পার্ট হচ্ছে এই স্কুলে এসেসমেন্ট কনফারেন্সে সৈনিক , জেসিও , এনসিও , অফিসার সবার মতামতকে সমান গুরুত্ব দেয়া হয়। আর প্রশিক্ষকদের জাজমেন্ট আমার কাছে কোন ব্যাক্তিগত পছন্দ অপছন্দ থেকে মুক্ত বলে মনে হয়েছে।
.
প্রশিক্ষনের সময় অফিসাররা আমাদের সাথে মন খুলে কথা বলতেন কোন রাজনৈতিক প্রভাব মুক্ত হয়ে। তখন যেহেতু আওয়ামীলীগ সরকার ক্ষমতায় তাই বাংলাদেশের রাজনীতিতে আওয়ামীলীগের প্রভাব নিয়ে প্রায়শই কথা হত।
.
কয়েকজন প্রশিক্ষক মন খুলেই আলাপ করতেন কিভাবে রাস্ট্রের সর্বোচ্চ পর্যায়ে ভারতীয় গোয়েন্দ সংস্হার সাথে সহযোগীতা করা হয়। বাংলাদেশ বরাবরই ভারত থেকে কিছু আদায় করতে ব্যার্থ । কিন্তু ভারত যা চায় তাই আদায় করে নিয়ে যেতে পারে।
.
এই গোয়েন্দ প্রশিক্ষনে আমার সবচেয়ে ইন্টারেস্টিং সাবজেক্ট ছিল মনস্তাত্বিক যুদ্ধ। ভারত কিভাবে আমাদের সাবভার্ট করছে , তারা ইতিমধ্যেই এ ব্যাপারে ব্যাপক সাফল্য লাভ করেছে। আপনারা কি খেয়াল করেন কিছু মানুষ গত নির্বাচনের আগে হঠাৎ কয়েকদিনের জন্য ভারত সফর করেছে?
.
.
তাঁরাই দেখবেন বেশী বেশী পাকিস্তান বিরোধী পোস্ট দেয়। আরে ভাই ভারত পাকিস্তান দুই দেশই তাদের নিজের স্বার্থে আমাদের ব্যাবহার করছে।
.
কিন্তু আমরা এমন আবাল প্রজাতির , আমাদের রাজনৈতিক দলগুলো ভারত পাকিস্তানের মত নিজ দেশের স্বার্থ না দেখে তাদের দলীয় স্বার্থ দেখছে আর আমরা তাল দিয়ে যাচ্ছি।
.
আমার সেইসব বিজ্ঞ প্রশিক্ষকগন যারা সিকিম কাশ্মীর আর বল্লভ ভাই প্যাটেলের উদাহরণ দিতেন আজ তাদের অনেকেই ভারতের গোয়েন্দদের সাথে কাজ করছেন।
.
আজ যে সব আমলা ভারতে প্রশিক্ষনের জন্য যাচ্ছেন বা পূর্বে একদল তরুন সেনা অফিসার পরিবারসহ ভারত ভ্রমন করেছেন সবই “র” এর পরিকল্পনার বাস্তব রূপ।
.
আমি দীর্ঘদিন গোয়েন্দ সংস্হায় চাকুরির কারনে এ ব্যাপারে আমার উৎসাহ একটু বেশী ছিল।
.
আমি ভারত থেকে প্রশিক্ষন নিয়ে আসা আমার ক্লোজ ৪ জন অফসারকে জিজ্ঞেস করেছিলাম তারা ভারতীয় গোয়েন্দ সংস্হা কর্তৃক তাদের সাথে কাজ করার জন্য সরাসরি বা আভাসে ইংগিতে কোন আমন্ত্রণ পেয়েছিল কিনা। এর মধ্য ২ জন বলেছিল হ্যাঁ , একজন বলেছিল না আর অপরজন উত্তর না দিয়ে কৌশলে প্রসংগ এড়িয়ে গেছে।
.
তবে আমার ধারনা পূর্বে ১০০% অফিসারকে এপ্রোচ করা হত। তবে এখন আর এটার দরকার হয়না । কারন এখন রাষ্ট্রীয় পর্যায়েই ব্যাবস্থা করা হচ্ছে , তাদের পক্ষে কাজ করলে ক্যারিয়ারে এটা প্লাস পয়েন্ট।
.
RAW-এর পক্ষ নিয়ে কাজ করা অফিসাররা দ্রুত প্রমোশন পেয়ে সামরিক বাহিনীর শীর্ষ পর্যায়ে চলে যান।
.দেশপ্রেমিক অফিসারদের তাদের অধীনে তাদের নির্ধারণ করা নীতি অনুযায়ী কাজ করতে হয় ।
.
আল্লাহ আমাদের ভারত বা পাকিস্তানপন্থী না বানিয়ে বাংলাদেশপন্থী বানিয়ে দাও। আমিন।