Site icon The Bangladesh Chronicle

আইয়ামে জাহেলিয়াত থেকে আওয়ামী জাহেলিয়াত

Minar Rashid

আওয়ামী লীগ দলীয় প্রাক্তন এমপি গোলাম মাওলা রনি খোদায়ী গজব নামার আশংকা প্রকাশ করেছেন। সেই ভয়ে তিনি টাঙ্গাইলের কালিহাতিতে সংঘটিত ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়েছেন। ছেলের সম্মুখে মাকে বিবস্ত্র করে নাজেহাল ( মতান্তরে ধর্ষণ) করার ঘটনা আইয়ামে জাহেলিয়াতের যুগেও পাওয়া যায় নি। কালিহাতির সাধারণ জনগণ বুকের রক্ত দিয়ে এই ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়েছে।

বরাবরের মতই শেখ হাসিনার পুলিশ সেই ইজ্জত হরণকারীদের না ধরে প্রতিবাদী জনগণের দিকে গুলি ছুড়েছে। তাতে চার জন প্রতিবাদী যুবক নিহত হয়েছে। সরকারের দৃষ্টিতে প্রতিবাদী মানুষগুলি হলো জঙ্গি ও মৌলবাদী । কারণ ছেলের সম্মুখে মাকে ধর্ষণের কথা শুনে যে জনতা ক্ষীপ্ত হয়, যাদের রক্ত টগবগ করে ফুটে ওঠে, তারা মৌলবাদী না হয়ে পারে না।

অন্য আরেক খবরে জানা গেছে ঝিনাইদহে এগারো মাসের এক শিশুকে আওয়ামী পুলিশ ১৯ ঘন্টা আটক করে রেখেছিল। বাবাকে গ্রেফতার করতে না পেরে এভাবে তার শিশু ছেলেকে আটক করে রেখেছে।

এই শিশু ছেলের কেইসটাও অনেকটা বিএনপি নেতা জনাব সালাহউদ্দীন কাদের চৌধুরীর মত। বাপকে ধরতে না পেরে এখন ছেলেকে পাকড়াও করা হয়েছে । বাপের অপরাধের কারণে পুত্রকে শাস্তি দেওয়া আমাদের নৈতিক মানদন্ডে গ্রহনযোগ্য হয়ে পড়েছে। ফলে বন্দি দশায় এই শিশুর ছবিটি নিয়ে যতটুকু প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হওয়ার কথা ছিল, বাস্তবে ঠিক ততটুকু হয় নি।
আরেক বঙ্গ সন্তান অবশ্য মায়ের পেটে থাকাবস্থায় সোনার ছেলেদের গুলি খেয়ে এই পৃথিবীতে পদার্পন করেছে। ফলে এই ধরনের ঘটনা সহ্য করার জন্যে সমাজের ‘ট্রেসহোল্ড লিমিট ভ্যালূ ‘ অনেক বেড়ে গেছে। সজীব ওয়াজেদ জয় তেলাপোকার ছবির উপর কালেমা লিখে বিশ্বাবাসীর কাছে প্রতিপক্ষ জামায়াত শিবিরকে টেররিষ্ট হিসাবে তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন।কিন্তু দেশের মানুষকে টেররাইজ করছে এমন সংগঠণ ও সংস্থার মধ্যে প্রথম দুটি নাম হলো গোপালিশ ও ছাত্রলীগ। এর পরের কয়েকটি নামও লীগের দখলেই থাকবে বলে যে কোন সচেতন মানুষই স্বীকার করবেন।

কয়েদ খানার শিকের মধ্য দিয়ে ঝিনাইদহের সেই ছোট্ট শিশুর উদোম শরীরটি অনেকেরই চোখে পড়েছে । জানি না, এটি প্রকৃত ছবি কি না। নাকি কোন আগ্রহী ব্যক্তি সেই ঘটনার একটি ভিজুয়েল ক্লাইমেক্স সৃষ্টির জন্যে সেই ছবিটি পরে তুলেছেন। রিয়েল ছবিটিতে ছেলেটি ন্যাংটা থাকার কথা। মুখটিতে আতংক ও বিরক্ত ভাব থাকার কথা। একটু উঁকি দিলেও ছোট্ট ছেলেটির নুনুটি দেখা যাচ্ছে না। সিরিয়ার আইলান সভ্য দুনিয়াকে প্রদর্শন করেছিল তার পাছা। আর একই কারণে, এই শিশুটিও গোপালিশকে দেখিয়েছে সম্ভবত তার সেই উদোম শরীরের নুনুটি।

এদেশের এক মন্ত্রীর নাম নুনু শব্দটির কাছাকাছি। তাই বাচ্চারাও তাদের এই অঙ্গটিকে এই নামে ডাকতে চাইবে না বলে আমার মনে হচ্ছে। আমাদের দেশ ও সমাজটিকে বর্তমান দশায় পৌঁছাতে দেশের নিরানব্বই দশমিক নয় নয় ভাগ মানুষ এই লোকটিকে দায়ী মনে করে।

৭৩ ও ৭৪ সালে যে ইনু-তাহের-অানোয়াররা বঙ্গবন্ধুর জীবনকে অতিষ্ঠ করে তুলেছিল, তারাই আজ এই মধুর নামটি বেশি বেশি জপে তার মেয়ের কাছাকাছি পৌছে গেছে । ১৫ই আগষ্টের হত্যাকান্ডের পর যারা ট্যাংকের উপর উঠে নাচানাচি করেছিল, সেই ট্যাংক ডেন্সাররাই আজ শিন্নির সবচেয়ে বড় ডেকচি নিয়ে আওয়ামি ওরশে হাজির হয়েছে।

” নোবেল কমিটির দীনতার কারণেই প্রধানমন্ত্রী নোবেল পান নি ” । এই ভয়ংকর তৈলটি প্রকাশ্যে মর্দন করেছেন জনাব আনোয়ার হোসেন , যার একই মতাদর্শের সহোদর (কর্ণেল তাহের) বঙ্গবন্ধুর লাশকে কবর না দিয়ে বঙ্গোপসাগরে ভাসিয়ে দেয়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন। বলা যায় এই অানোয়ার হোসেনরা বাবাকে মেরেছেন বিষ খাইয়ে, মেয়েকে মারবেন সম্ভবত এই ধরনের গুড় বেশি বেশি খাইয়ে।
আওয়ামী লীগকে বর্তমান এই বাঘের পিঠে চড়িয়ে দিয়েছে এই ইনু এবং ছাত্র ইউনিয়ন থেকে এসে আজ যারা এমপি- মন্ত্রী হয়েছেন তারাই।

এদেরই প্ররোচনায় পাখির মত গুলি করে মানুষ মারার এই সাহসটি পুলিশকে দিয়েছেন স্বয়ং শেখ হাসিনা । তিনি বিরোধী দলের আন্দোলন দমাতে সরাসরি গুলির নির্দেশ দিয়েছেন, সকল দায় দায়িত্ব তিনি নিজে গ্রহণ করবেন বলে প্রকাশ্যে ঘোষণা দিয়েছেন।কাজেই কালিহাতিতে এই চারজন সহ র্যাব পুলিশের হাতে নিহত সকলের দায় চাপছে এই অবৈধ প্রধানমন্ত্রীর ঘাড়ে।

আজ শেখ হাসিনার পুলিশ এমন কাজ করছে যা ব্রিটিশ পুলিশ তাদের প্রায় দুই শ বছরের শাসন কালে কখনই করার সাহস করে নি। ১৯৪৭ সালের ১৪ই আগষ্ট থেকে ১৯৭১ সালের ফ্রেব্রুয়ারী মাস পর্যন্ত পাকিস্তানের পুলিশ কর্তৃক এই ধরনের জঘন্য কাজের কথা শোনা যায় নি। শুনতে যতই খারাপ লাগুক -এটাই নির্মম বাস্তবতা।
যাদের কাজ ছিল মানুষের জীবন ও ইজ্জতের রক্ষা করা তারাই আজ মানুষের জীবন ও ইজ্জতের বড় ভক্ষক হয়ে পড়েছে।
জানি না, এই আওয়ামী জাহেলিয়াতে হাত থেকে কখন এদেশের মানুষের মুক্তি মিলবে।
দিনে দিনে এই দেনা শুধু বেড়েই চলছে – একদিন এই দেনা অবশ্য অবশ্য শোধিতে হবে । তবে প্রশ্ন, সেই দিন এই ইনুরা সঙ্গে থাকবে কি না।

 

Exit mobile version