সমকাল প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৫ মার্চ ২০২৫ | ২৩:২০

বিমান পরিচালনা পর্ষদ বোর্ডের চেয়ারম্যান আবদুল মুয়ীদ চৌধুরি বলেছেন, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের থার্ড টার্মিনাল যেদিন থেকে চালু হবে, সেদিন থেকেই গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিংয়ের কাজ শুরু করবে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স। এ লক্ষ্যে সব ধরনের প্রস্তুতি আছে বিমানের।
আজ বুধবার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এলাকায় বিমান বাংলাদেশে এয়ারলাইন্সের জিএসই বিভাগ আয়োজিত নতুন গ্রাউন্ড সাপোর্ট ইকুইপমেন্ট কমিশনিং ২০২৫ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
বিমানের চেয়ারম্যান বলেন, সরকার প্রাথমিকভাবে পরীক্ষামূলক দুই বছরের জন্য বিমানবন্দর থার্ড টার্মিনালের গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং কাজ করার অনুমতি দিয়েছে বিমানকে। আশা করি, আন্তর্জাতিক মানের দক্ষ জনবল দ্বারা দক্ষতার সাথে এ গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং কাজ করবে বিমান কর্মীরা।
মুয়ীদ চৌধুরি বলেন, বিমানের গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং নিয়ে জাইকা সন্দিহান থাকলেও আশা করি তাদের সহযোগিতায় গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং সেবা আন্তর্জাতিক মানে উন্নত করবে বিমান।
অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মঞ্জুর কবীর ভুঁইয়া বলেন, বিমানের গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং সেবা নিয়ে সন্দিহান জাইকা। এরইমধ্যে এ বিষয়ে জাইকার প্রশ্ন আন্তর্জাতিক মানে গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং সেবার ক্ষেত্রে বিমান কতটুকু সক্ষম। এছাড়া সে ধরনের জনবল ও ইকুইপমেন্ট আছে কিনা।
তিনি বলেন, আজ অনুষ্ঠানে দেখলাম থার্ড টার্মিনালের গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিংয়ের জন্য বিমান যেসব ইকুইপমেন্ট বিদেশ থেকে আমদানি করছে তাতে আন্তর্জাতিক মানে সেবা দিতে পারবে বিমান।
অনুষ্ঠানে বিমান কর্মকর্তারা বলেন, গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং সেক্টরে জিএসই একটি গুরুত্বপূর্ণ বিভাগ যা বর্তমানে ১৯ ধরনের মোট ২৮৭টি ইকুইপমেন্ট অপারেট করছে। দেশি-বিদেশি প্রায় ৩২টি এয়ারলাইন্স ও ১২টি কার্গো ফ্রেইটারের সামগ্রিক গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং সেবা নিরবচ্ছিন্ন রাখার নিমিত্ত জিএসই রক্ষণাবেক্ষণ বিভাগ বর্ণিত ইকুইপমেন্টের সচলতা নিশ্চিত করছে।
কর্মকর্তারা বলেন, বর্তমানে আমরা তৃতীয় টার্মিনালের অপারেশনের দ্বারপ্রান্তে। সুষ্ঠুভাবে গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং সেবা প্রদানের জন্য বিমান কাজ করে যাচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় গত এক বছরে ৩৫ কোটি টাকা ব্যয়ে মোট ৪৩ টি ইকুইপমেন্ট জিএসই বহরে সংযোজিত হয়েছে। আজ যুক্ত হতে যাচ্ছে মোট ৩২টি ইকুইপমেন্ট যার মোট মূল্য ৫৪ কোটি টাকা। অচিরেই আরও ৩৪টি নতুন ইকুইপমেন্ট আগামী ৬ মাসের মধ্যে যুক্ত হয়ে ফ্লিট সমৃদ্ধ করার পাশাপাশি সক্ষমতা বৃদ্ধিতে বিশেষ সহায়ক হবে। নতুন পুরাতন ইকুইপমেন্ট মিলিয়েই জিএসই ফ্লাট। সকল সচল পুরাতন ইকুইপমেন্টগুলো পেইন্ট করার কাজে হাত দিয়েছি, যা এখন শেষ পর্যায়ে। পুরাতন ইকুইপমেন্ট পেইন্ট করার ফলে আউটলুক দর্শনীয় হয়েছে যা বিমানের ভাবমূর্তি বৃদ্ধিতে সবিশেষ ভূমিকা রাখবে।
এ সময় অনুষ্ঠানে অন্যান্যও মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন, বিমানে এমডি ও সিইও ড. মো. সাফিকুর রহমান, বিমানের পরিচালক গ্রাক সেবা মো. রাশদেুল করিমসহ বিভিন্ন পদস্থ কর্মকর্তা-কর্মচারী বৃন্দ।