ডিবির হারুনের ‘সুইস ব্যাংক’ সাদেক ও এসএস গ্রুপ

ডিবির হারুনের ‘সুইস ব্যাংক’ সাদেক ও এসএস গ্রুপ

অপরাধ
16Shares
facebook sharing button
messenger sharing button
whatsapp sharing button
twitter sharing button
linkedin sharing button
copy sharing button
print sharing button
ডিবির হারুনের ‘সুইস ব্যাংক’ সাদেক ও এসএস গ্রুপ
ডিবির হারুনের ‘সুইস ব্যাংক’ সাদেক ও এসএস গ্রুপ

পড়াশোনার উদ্দেশ্যে নোয়াখালী থেকে রাজধানীতে আগমন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর শেষ করে একটি প্রাইভেট ফার্মে চাকরি নেন। পেটের তাগিদে কাজ করেছেন বিভিন্ন ওষুধ কোম্পানির মেডিকেল প্রমোশনাল আইটেম সরবরাহকারী হিসেবেও। ছাত্রজীবনের এক বন্ধু পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি হলে তার পরামর্শে নামেন ঠিকাদারি ব্যবসায়। তার মাধ্যমে পরিচয় হয় ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের সাবেক প্রধান হারুন অর রশিদের সঙ্গে। সখ্য বাড়ে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পনিরুজ্জামান তরুণের সঙ্গে।

এরপর আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি।

২০১৬ সালের পর ডিবির হারুন, পনিরুজ্জামান তরুণ ও সাদিক মিলে গড়ে তোলেন ভয়াবহ সিন্ডিকেট। আওয়ামী লীগের দলীয় বিবেচনায় বেপজা, বিআইডব্লিউটিএ, ক্রীড়া মন্ত্রণালয়, টিসিবি, মডেল মসজিদ নির্মাণ, এলজিইডি, বিডব্লিউবিডি, পিডব্লিউডি, পদ্মা সেতু, এমআরটি প্রকল্প, সিটি করপোরেশনসহ দুটি সামরিক বাহিনীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পে হাজার হাজার কোটি টাকার ঠিকাদারি কাজ পেতে শুরু করেন। ভুয়া কাগজপত্র জমা দিয়ে কাজ না করে হাতিয়ে নেন কোটি কোটি টাকা। এ ছাড়া ডিবির হারুনের বিপুল পরিমাণের জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ এই সাদেকের কাছে গচ্ছিত থাকার তথ্য পাওয়া গেছে। বহুমুখী এই প্রতারক হলেন এসএস গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবু সাদেক। সম্প্রতি ব্যবসায়ীকে অপহরণ করে ডিবি অফিসে নিয়ে ৬ কোটি টাকা আদায় চেষ্টার মামলা হয়েছে তার বিরুদ্ধে। মামলার সূত্র ধরে অনুসন্ধান শুরু করে কালবেলা। এর মধ্যে দুদকেও অভিযোগ জমা হয়েছে আবু সাদেক ও এসএস গ্রুপের বিরুদ্ধে। কালবেলার অনুসন্ধানে দুদকে জমা হওয়া অভিযোগের প্রায় সব তথ্যের সত্যতা পাওয়া গেছে।

জানা যায়, সম্প্রতি ক্ষমতার পালাবদলে ভোল পাল্টে বিএনপি নেতাকর্মীদের সঙ্গে সখ্য গড়ার চেষ্টা করছেন। গত ২ ফেব্রুয়ারি অভিযান চালিয়ে রাজধানীর মোহাম্মদপুর থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে কারাগারে পাঠানো হলেও মাত্র তিন দিনেই জামিনে মুক্ত হয়ে যান। এ ঘটনায় গত ৮ ফেব্রুয়ারি এক বিবৃতিতে তার মতো আওয়ামী লীগের দোসররা কীভাবে জামিন পাচ্ছে, তা সরকারের কাছে ব্যাখ্যা জানতে চেয়ে বিবৃতি দেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী। বিবৃতিতে বলা হয়, ‘ব্যবসায়ীকে অপহরণ করে ডিবি অফিসে নিয়ে ৬ কোটি টাকা চাঁদা আদায় চেষ্টার মামলায় গ্রেপ্তারের তিন দিনেই জামিনে মুক্ত হয়েছেন সাবেক ডিবিপ্রধান হারুনের সিন্ডিকেটের প্রধান এসএস গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবু সাদেক। গণহত্যার মামলার আসামিরা কীভাবে জামিন পাচ্ছে, আমরা সরকারের কাছে সেটির স্পষ্ট ব্যাখ্যা জানতে চাই।’

তবে আওয়ামী লীগ সরকার বিদায়ের পর প্রশাসনে তাকে সুরক্ষা দিচ্ছেন লক্ষ্মীপুরে বাড়ি একজন ডিআইজি। যার সঙ্গে আবু সাদেকের আগে থেকেই ব্যবসায়িক সম্পর্ক রয়েছে বলে নিশ্চিত হয়েছে কালবেলা।

কারাগার থেকে বের হয়ে আবু সাদেক নিজেকে জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের লক্ষ্মীপুর জেলার উপদেষ্টা বলে পরিচয় দিচ্ছেন। তবে কৃষক দলের জেলা বা মহানগরে দেশের কোথাও উপদেষ্টা বলে কোনো পদ নেই। কোথাও কোনো উপদেষ্টাও নেই। এ বিষয়ে কৃষক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির দপ্তর সম্পাদক শফিকুল ইসলামের কাছে জানতে চাইলে তিনি কালবেলাকে বলেন, ‘কৃষক দলের জেলা বা মহানগর বা কোথাও উপদেষ্টা বলে কোনো পদ নেই। আমাদের এসব কমিটিতে কোনো উপদেষ্টা নেই। কেউ উপদেষ্টা পরিচয় দিলে তা ভুয়া।’

দুদকে জমা পড়া অভিযোগে ডিবি পুলিশের সাবেক প্রধান হারুন অর রশিদ ও এসএস গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবু সাদেক সিন্ডিকেটের ৬ হাজার কোটি টাকার সম্পদের সন্ধান দিয়ে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ করা হয়েছে। অভিযোগে হারুন অর রশিদের জ্ঞাত আয়বহির্ভূত প্রায় ১ হাজার কোটি টাকা ব্যবসায়ী আবু সাদেকের কাছে গচ্ছিত রয়েছে বলে জানানো হয়েছে। এ ছাড়া আবু সাদেকের ৫ হাজার কোটি টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ, হুন্ডির মাধ্যমে ও ওভার ইনভয়েস দেখিয়ে বিদেশে অর্থ পাচার, ভুয়া কাগজপত্র দিয়ে সরকারি টেন্ডারের অর্থ আত্মসাৎ, আমদানির ক্ষেত্রে এসএস কোড পরিবর্তন করে সরকারের অন্তত ১৫০ কোটি টাকা ভ্যাট-ট্যাক্স ফাঁকির বিষয়েও তথ্য উপস্থাপন করা হয়েছে। সম্প্রতি নিজেকে ভুক্তভোগী দাবি করেন আবু সাদেকের সাবেক ব্যবসায়ী অংশীদার ও অপহরণের শিকার ভুক্তভোগী জুলফিকার আলী মল্লিক নামের এক ব্যবসায়ী।

জানা গেছে, সাবেক ডিবিপ্রধান হারুন অর রশিদের এই সিন্ডিকেটের প্রধান হিসেবে কাজ করতেন আবু সাদেক। হারুন ও সাদেক ছাড়াও এই সিন্ডিকেটে রয়েছেন সাবেক এক অতিরিক্ত ডিআইজি, ডিবি পুলিশের সাবেক ডিসি (তেজগাঁও) গোলাম সবুর, ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পনিরুজ্জামান তরুণ, আবু সাদেকের প্রতিষ্ঠান এসএস গ্রুপের জেনারেল ম্যানেজার মাহবুবুর রহমান (মাহাবুব), এসএস গ্রুপের লিগ্যাল সহকারী আশিকুর রহমান রুবেল ও আবু সাদেকের সহকারী মো. শামীম।

তথ্য বলছে, হারুন অর রশিদের জ্ঞাত আয়বহির্ভূত প্রায় ১ হাজার কোটি টাকা আবু সাদেকের ব্যাংকিং চ্যানেলে লেনদেন হয়েছে। যার বেশিরভাগ অর্থ আবু সাদেকের ব্যাংক হিসাবে, স্ত্রী হালিমা আইরিনের আলাদা প্রতিষ্ঠান খুলে সেসব প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে লেনদেন হয়েছে। এ ছাড়া আবু সাদেকের বন্ধু ও লক্ষ্মীপুর জেলা ক্রীড়া সংস্থার যুগ্ম সম্পাদক মো. আবদুর রব শামীমের জিম্মায় লক্ষ্মীপুরে অবস্থিত ধরিত্রী নামক পেট্রোল পাম্পসহ প্রায় ৩৪৫ কোটি টাকা ও আবু সাদেকের ভাগ্নে মো. মশিউর রহমান সোহানের প্রায় ৪৬০ কোটি টাকা ও গচ্ছিত রয়েছে। এ ছাড়া মোহাম্মদপুরে ফুয়াদ নামে আবু সাদেকের এক ঘনিষ্ঠ ব্যক্তির কাছে প্রায় ২৫ কোটি টাকা মূল্যের কয়েকটি অনিবন্ধিত ডাম্প ট্রাক রাখা হয়েছে। পাশাপাশি আবু সাদেক নিজেও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত প্রায় ৫ হাজার কোটি টাকার সম্পদ অর্জন করেছেন। একই সঙ্গে ওভার ইনভয়েস দেখিয়ে বিদেশে অর্থ পাচার, ভুয়া কাগজপত্র দিয়ে সরকারি টেন্ডারের অর্থ আত্মসাৎ, আমদানির ক্ষেত্রে এসএস কোড পরিবর্তন করে সরকারের অন্তত ১৫০ কোটি টাকা সরকারি ভ্যাট-ট্যাক্স ফাঁকি দিয়েছেন। ২০১৪ থেকে ২০২১ সালের মধ্যে ভ্যাট-ট্যাক্স ফাঁকি দিয়ে আনা ১৭১টি কনটেইনারে চালানের ১৭০ কোটি টাকার কাগজপত্র অভিযোগের সঙ্গে জমা দেওয়া হয়েছে। মোহাম্মদপুরের এক হুন্ডি ব্যবসায়ীর মাধ্যমে হারুন ও সাদেক বিভিন্ন সময়ে চীন, দুবাই ও মালয়েশিয়ায় অর্থ পাচার করেছেন বলেও জানা গেছে।

অভিযোগের সঙ্গে হারুন-সিন্ডিকেটের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও লেনদেন হওয়া ব্যাংকেরও তালিকা জমা দেওয়া হয়েছে। তালিকায় এসএস এন্টারপ্রাইজ, ড্রামস বিউটি পার্লার অ্যান্ড ফিটনেস ক্লাব, ফাস্ট এসএস এন্টারপ্রাইজ (প্রা.) লি., এসএস হাইটেক ইন্ডাস্ট্রিজ লি., এফএসএস এনার্জি লি., রিয়েল অ্যাসেটস প্রাইভেট লি., নওশিন এন্টারপ্রাইজ ও আনিকা ট্রেডিংয়ের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। যেসব ব্যাংকে আবু সাদেকের এসব প্রতিষ্ঠানের লেনদেন হয়েছে তার মধ্যে রয়েছে ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক, ট্রাস্ট ব্যাংক, এনআরবিসি ব্যাংক, প্রিমিয়ার ব্যাংক ও ইউনিয়ন ব্যাংক।

জানা গেছে, এই সিন্ডিকেটের কালো থাবায় পড়ে সর্বস্ব হারিয়ে নিঃস্ব হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে মো. আনোয়ার হোসেন রিপন, মাইনুল, হুমায়ূন, তৌফিক, শহীদ, মাসুদ, সাকিব, মোছা. রুবি, মো. দুলাল, সামি, শহীদুল ইসলাম কিরণ, দেলোয়ার, জসীম, আতিক, মিজান ও সিন্দু রায়ের খোঁজ পাওয়া গেছে। এর মধ্যে শহীদ নামের এক ব্যক্তিকে হারুন-সাদেক সিন্ডিকেট হত্যা মামলার আসামি করে ধানমন্ডি-১ এ ড্রিমস বিউটি পার্লার, একই ভবনে পাঁচটি ফ্ল্যাট ও তার প্রাডো গাড়ি লিখে নিয়েছিলেন বলে জানা গেছে। শহীদের থেকে প্রাডো গাড়ি আবু সাদিকের নামে লিখে নেওয়ার তথ্য যাচাই করে সত্যতা পেয়েছে কালবেলা। তবে এসব লিখে নেওয়ার পর শহীদের আর কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি। তার ভাগ্যে কী ঘটেছে, সেটিও নিশ্চিত নয়।

এ ছাড়া ডিবির হারুনের যেসব সম্পত্তি আবু সাদেকের কাছে গচ্ছিত আছে বলে জানা গেছে তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো—আদাবরের মোহাম্মদিয়া হাউজিং সোসাইটির ৫ নম্বর রোডের ৫৫ নম্বর বাড়িতে দেড় কোটি টাকার একটি ফ্ল্যাট, মোহাম্মদপুরের ঢাকা উদ্যান হাউজিংয়ে ১০ কোটি টাকার পাঁচটি ফ্ল্যাট, চাঁন মিয়া হাউজিংয়ে ২ কোটি টাকা দামের একটি ফ্ল্যাট, বছিলা এলাকায় পাঁচটি ফ্ল্যাট, ধানমন্ডির ১ নম্বর রোডের ৩৩ নম্বর বাড়িতে ২০ কোটি টাকার পাঁচটি ফ্ল্যাট, মাতুয়াইলে ৬ কোটি টাকার পাঁচটি ফ্ল্যাট, তেজগাঁও এলেনবাড়ি আবাসিক এলাকায় ২৫ কোটি টাকার বাড়ি, আশুলিয়ার নিরিবিলি হাউজিংয়ে ১২ কোটি টাকার চারটি প্লট, এবং গাজীপুরে ৬ কোটি টাকার ৬৬ শতাংশের প্লট।

এদিকে ডিবির হারুন ও আবু সাদেকের বিরুদ্ধে ব্যবসায়ী জুলফিকার আলীকে অপহরণ, চাঁদাবাজি ও হত্যাচেষ্টার মামলা চলমান। মামলা নং জিআর ১৪। ২০২৩ সালে জুলফিকারকে ডিবি হারুন ও আবু সাদেকের নির্দেশে অপহরণ করে ডিসি ডিবি গোলাম সবুরের টিম। এ ছাড়া জুলফিকার আলীর ব্যবসায়িক পাওনা ৫ কোটি ৭৩ লাখ না দিয়ে উল্টো হয়রানি করায় আবু সাদেকের বিরুদ্ধে মানি স্যুট মামলা করেছেন জুলফিকার আলী।

এসব বিষয় নিয়ে কালবেলার পক্ষ থেকে আবু সাদেকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। শহীদের গাড়ি ও ফ্ল্যাট লিখে নেওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘তার ব্যবসা বা ফ্ল্যাট লিখে নেওয়ার মতো এমন কোনো ঘটনাই ঘটেনি।’ তবে শহীদের গাড়ি আবু সাদেকের নামে হস্তান্তর হয়েছে, সেই ডকুমেন্ট কালবেলার হাতে রয়েছে।

আমদানিতে এসএস কোড পরিবর্তনের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘যে অভিযোগ করা হচ্ছে সেটি সঠিক নয়। কেননা এসএস কোড পরিবর্তনের কোনো সুযোগ নেই। তাই এসএস কোড পরিবর্তনের মাধ্যমে রাজস্ব ফাঁকির প্রশ্নই ওঠে না।’

জুলফিকারকে অপহরণের সঙ্গে জড়িত থাকার বিষয়টিও অস্বীকার করে তিনি বলেন, ‘আমি তার বিরুদ্ধে শেরেবাংলা নগর থানায় জিডি করি। সেই জিডির তদন্ত করেছিল ডিবি। তখন তাকে ডিবি অফিসে ডাকা হয়। সেই ঘটনাকে জুলফিকার অপহরণ দাবি করে আমার নামে একটি মামলাও করেছে।’

তবে আবু সাদেক থানায় জিডি করার ১৮ দিন আগে ডিবি অফিসে লিখিত দেন। ডিবি অফিসে জুলফিকারের ব্যবহৃত গাড়ি নিয়ে যাওয়া হয় এবং সেই গাড়ি কোনো আইনি প্রক্রিয়া না মেনেই আবু সাদেককে দিয়ে দেওয়া হয়েছে। যার প্রমাণ কালবেলার হাতে রয়েছে।

হুন্ডির বিষয়টি সত্য নয় বলে তিনি দাবি করেন। একই সঙ্গে সিটি করপোরেশনের কাজ পাননি বলে জানান। যদিও সিটি করপোরেশন থেকে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার চিঠি কালবেলার হাতে রয়েছে।

এসব বিষয়ে জুলফিকার আলীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি কালবেলাকে বলেন, ‘আমি একসময় আবু সাদেকের ব্যবসায়িক পার্টনার ছিলাম। সে কারণে তার এই অনিয়মের সব তথ্য আমি জেনে যাই। আমি তার কাছে ৫ কোটি ৭৩ লাখ টাকা পাই। সেই টাকা না দেওয়ার জন্য সে ডিবির হারুনকে দিয়ে আমাকে গাড়িসহ তুলে নিয়ে যায়। আমার কাছে সব প্রমাণ রয়েছে। তুলে নিয়ে উল্টো ৬ কোটি টাকা চাঁদা দাবি করে। সরকার পরিবর্তন হওয়ার পর আমি মামলা করেছি। একই সঙ্গে পাওনা টাকার জন্যও আলাদা মামলা করেছি।’

দুদকে অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে সংস্থাটির উপপরিচালক (জনসংযোগ) মো. আকতারুল ইসলাম কালবেলাকে বলেন, ‘এ বিষয়ে একটি অভিযোগ পেয়েছি। যাচাই-বাছাই করে নিয়ম অনুযায়ী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here