ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) দক্ষিণাঞ্চলীয় ফ্রন্টিয়ার বলেছে, তারা তাদের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সদস্যদের বাংলাদেশ থেকে আসা উসকানিমূলক বিবৃতি পর্যবেক্ষণের সময় কঠোর সতর্কতা বজায় রাখার নির্দেশনা দিয়েছে।
বিএসএফ বলছে, সীমান্তে যেকোনো ধরনের চরম পদক্ষেপ নেওয়ার আগে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করতে তাদের কঠোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। খবর টাইমস অব ইন্ডিয়ার।
এ ছাড়া সীমান্তে সতর্কতা বাড়ানো এবং বাংলাদেশে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর সীমান্তে অনুপ্রবেশ বন্ধ করতে প্রযুক্তির আশ্রয়ও নেওয়া হয়েছে বলে উল্লেখ করেছে বিএসএফ।
বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) বিএসএফ দক্ষিণবঙ্গ ফ্রন্টিয়ারের আইজি মনিন্দর সিং পাওয়ার এক ব্রিফিংয়ের সময় এসব তথ্য জানান। এ সময় তিনি ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থার নেওয়ার ঘোষণাও দেন। এই নিরাপত্তা ব্যবস্থার মধ্যে রয়েছে সীমান্তে বাড়তি কর্মী মোতায়েন এবং বিশেষত কাঁটাতার নেই এমন এলাকাসহ সীমান্তে উন্নত নজরদারি সরঞ্জাম মোতায়েন।
সম্ভাব্য অনুপ্রবেশের ব্যাপারে ক্রমবর্ধমান উদ্বেগের মধ্যে বাড়তি এই নিরাপত্তা পদক্ষেপের কথা উল্লেখ করে মনিন্দর সিং বলেন, সীমান্ত নজরদারির জন্য আধুনিক সরঞ্জাম মোতায়েন করা হয়েছে। বিশেষ করে রাতের টহলের সময়। আমরা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সরাসরি নির্দেশে কাজ করছি।
বিভিন্ন সীমান্ত বিভাগ পরিচালনাকারী ব্যাটালিয়নগুলিতে অতিরিক্ত দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। রাজ্য পুলিশের সঙ্গে সমন্বয় করে পাসপোর্ট জালিয়াতির ব্যবহার রোধে অভিবাসন কার্যক্রমের উপর নজরদারি জোরদার করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
তিনি বলেন, আমরা জাল ডকুমেন্টেশন এবং অননুমোদিত সিম কার্ড সনাক্ত করার জন্য একটি শক্তিশালী সিস্টেম প্রতিষ্ঠা করেছি। আর এই পর্যায়ের নজরদারি দুর্বৃত্তদের পক্ষে কাজ করা কার্যত অসম্ভব করে তোলে।
banglaoutlook.