চট্টগ্রামে গণপরিবহন কম, যাত্রীও হাতে গোনা

 

prothomalo.com

অসযোগ আন্দোলনের প্রথম দিন সকালে চট্টগ্রাম নগরে সড়কগুলোতে মানুষ ও যানবাহন কম ছিল। আজ সকাল সাড়ে ৯টায় চট্টগ্রাম নগরের এ কে খান মোড়ে
অসযোগ আন্দোলনের প্রথম দিন সকালে চট্টগ্রাম নগরে সড়কগুলোতে মানুষ ও যানবাহন কম ছিল। আজ সকাল সাড়ে ৯টায় চট্টগ্রাম নগরের এ কে খান মোড়েছবি: জুয়েল শীল

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকে সর্বাত্মক অসহযোগ চলছে। অসহযোগ সফল করতে গণপরিবহন বন্ধ রাখার আহ্বান জানিয়েছিলেন আন্দোলনকারীরা। আজ রোববার সকালে চট্টগ্রাম নগরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক ঘুরে দেখা গেছে, গণপরিবহন কম। যাত্রীও হাতে গোনা।

নগরের কাজীর দেউড়ি, মেহেদীবাগ, প্রবর্তক, দুই নম্বর গেট, মুরাদপুর, জিইসি, কর্নেলহাট, আগ্রাবাদ, বায়েজিদ, এ কে খান, অলংকার এলাকা গিয়ে দেখা গেছে, বাস, সিএনজিচালিত অটোরিকশা, মিনিবাস চলছে খুবই কম। সড়কে যাত্রীর চাপও নেই। সড়ক অনেকটা ফাঁকা। তবে কিছু অফিসগামী মানুষ রাস্তায় দেখা গেছে।

অলংকার ও এ কে খানে দূরপাল্লার বাস চলাচলের কাউন্টারগুলো পুরোপুরি ফাঁকা। বেশির ভাগ টিকিট কাউন্টারের দরজা ছিল অর্ধেক নামানো। এদিকে চট্টগ্রাম থেকে দক্ষিণের বিভিন্ন জেলা উপজেলায় যান চলাচল করছে না বলে জানা গেছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন চট্টগ্রাম অঞ্চলের সভাপতি মোহাম্মদ মুছা। তিনি আজ সকাল সাড়ে ১০টায় প্রথম আলোকে বলেন, গতকাল শনিবার রাতে সাতকানিয়া ও লোহাগাড়ায় সড়ক অবরোধ করা হয়েছে। এ কারণে চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার জেলায় বাস চলাচল করছে না বললেই চলে।

বিচ্ছিন্নভাবে দু–একটি ছোট আকারের যান চলাচল করছে। তবে কোনো যাত্রীই নেই। বাসের মতো ট্রেন চলাচলও বন্ধ রয়েছে। অর্থাৎ চট্টগ্রাম থেকে কোনো জেলাতেই ট্রেন চলাচল করছে না।