আরও পড়ুন যে কারণে ভিসা নিষেধাজ্ঞাপ্রাপ্তদের নাম প্রকাশ করে না যুক্তরাষ্ট্র
মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, গত ৩ আগস্ট চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার উত্তর জলদি এলাকার অমরজিদ বড়ুয়া নামে এক ব্যক্তি মার্কিন দূতাবাসে ভিসার আবেদন করেন। তিনি আবেদনের সঙ্গে আমেরিকার ওয়েস্ট লস অ্যাঞ্জেলেসের বৌদ্ধ প্যাগোডা থেকে আনা একটি আমন্ত্রণপত্র দেন।
এ ছাড়া তিনি শ্রীলংকার বৌদ্ধ প্যাগোডার পুরোহিত করুণা ধার্মা নামে এক নাগরিকের পাঠানো একটি আমন্ত্রণপত্রও দূতাবাসে উপস্থাপন করেন। পরে মার্কিন দূতাবাস কর্তৃপক্ষ অমরজিদ বড়ুয়ার আমন্ত্রণপত্র যাচাই করে জানতে পারে, আমন্ত্রণপত্রটি জালিয়াতির মাধ্যমে তৈরি করা হয়েছে।
এর পর সোমবার তাকে সাক্ষাৎকারের জন্য ডাকা হয়। দূতাবাসের কর্মকর্তা, নিরাপত্তাকর্মী ও ঢাকার পুলিশের জেরার মুখে তিনি জালিয়াতির কথা স্বীকার করেন। তখন তাকে দূতাবাস থেকে গ্রেফতার করা হয়।
দালালের কথায় তিনি এমন বেশ ধরেছেন বলে অমরজিদ বড়ুয়া জানিয়েছেন। ওই দালালই তার কাগজপত্র তৈরি করে দেন। তার সঙ্গে দালালের ১০ লাখ টাকার চুক্তিও হয়েছে।
এ বিষয়ে গুলশান থানার ওসি বিএম ফরমান আলী বলেন, অমরজিদ বড়ুয়া বৌদ্ধ ভিক্ষু সেজে আমেরিকা যাওয়ার জন্য দূতাবাসে আবেদন করেছিলেন। আসলে তিনি একজন টেকনিশিয়ান। আমেরিকায় যাওয়ার জন্য নিজের পরিচয় লুকিয়ে ছিলেন।









