১৯ জানুয়ারী ২০২৩
নিজস্ব প্রতিনিধি
জরুরী আইনের সরকারের সময়ে ২০০৭ সালে দায়ের করা মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তাঁর স্ত্রী জোবায়দা রহমানের বিচার শুরু হবে তাদের অনুপস্থিতিতে। বিচার শুরুর আগে ৬ ফেব্রুয়ারি তাদেরকে আদালতে হাজির হওয়ার জন্য প্রজ্ঞাপন জারি করতে সরকারের প্রতি নির্দেশ দিয়েছে ফ্যাসিবাদের সহায়ক আদালত।
এই আদেশের প্রেক্ষিতে সরকার গণমাধ্যমে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে তাদেরকে আদালতে হাজির হওয়ার আহ্বান জানাবেন।
বৃহস্পতিবার (১৯ জানুয়ারি) দুপুরে ঢাকা মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতের বিচারক মো. আছাদুজ্জামান এ নির্দেশ দেন।
এর আগে বিচারিক আদালত তারেক রহমান ও জোবাইদা রহমানের সম্পত্তি জব্দের আদেশ দিয়েছিলেন। আদেশের অগ্রগতি প্রতিবেদন আকারে জমা দেয় ক্যান্টনমেন্ট থানার পুলিশ।
উল্লেখ্য, জরুরী আইনের সরকার শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজিসহ দুর্নীতির ৮টি মামলা দায়ের করেছিল। একাধিক চাঁদাবাজির মামলায় শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করে বিচার কার্যক্রম শুরু হয়েছিল। কিন্তু জরুরী আইনের সরকারের সময় সেনাবাহিনীর সাথে আঁতাতের মাধ্যমে শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসেন। যারা শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে বিচারের উদ্যোগ নিয়েছিল তারাই আবার শেখ হাসিনার সাথে সমঝোতা করে। সমঝোতার নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসেন শেখ হাসিনা।
ক্ষমতায় আসার হাইকোর্টের তাবেদার বিচারক গোপালগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি শামসুল হুদা এবং শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিকের আদালত থেকে শেখ হাসিনার মামলা গুলো বাতিল করা হয়। তবে বিরোধী দলের নেতা বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের বিরুদ্ধে জরুরী আইনের দায়ের করা মামলা গুলো সচল রাখেন শেখ হাসিনা।
ঢাকার অ্যাডিশনাল মেট্রোপলিটন পাবলিক প্রসিকিউটর তাপস কুমার পাল বলেন, আদালতের বেঁধে দেওয়ার সময়ে তারেক রহমান ও জোবায়দা রহমান উপস্থিত না হলে তাদের অনুপস্থিতিতেই বিচারকাজ চলবে।
গত ৫ই জানুয়ারি একই আদালত তারেক রহমান ও জোবাইদা রহমানের স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি জব্দের আদেশ দিয়েছিলেন। ক্যান্টনমেন্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে আজ আদেশ বাস্তবায়নের অগ্রগতি প্রতিবেদন আকারে জমা দিতে বলেছিলেন।
এর আগে গত বছরের পহেলা নভেম্বর মো. আছাদুজ্জামানের আদালত তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা দেন। গত ২৬শে জুন হাইকোর্ট বিভাগ তারেক রহমানকে পলাতক ঘোষণা করেন। সেই সঙ্গে দুদকের মামলা থেকে অব্যাহতি চেয়ে করা তার রিট আবেদনটি খারিজ করে দেন।