সূত্র জানায়, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পক্ষ থেকে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের হিসাবে লেনদেনের নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার সুযোগে শরিয়াহভিত্তিক তিনটি ব্যাংক থেকে ফের ১৯৮ কোটি টাকা তুলে নিয়েছে এস আলম গ্রুপের স্বার্থসংশ্লিষ্টরা। মূলত ইসলামী ব্যাংকের চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জ, ঢাকার বংশাল ও গুলশান এবং রাজশাহীর সাহেব বাজার শাখা থেকে কমপক্ষে ১২০ কোটি টাকা উত্তোলনের ঘটনা ঘটেছে। পাশাপাশি ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের চট্টগ্রামের একটি শাখা এবং ঢাকার গুলশান শাখা থেকে প্রায় ৪ কোটি টাকা তুলে নেওয়া হয়েছে।
এ ছাড়া সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের বনানী ও চট্টগ্রাম শাখা থেকে প্রায় ৭৪ কোটি টাকা উত্তোলন করা হয়েছে। তবে এস আলম গ্রুপের এসব বেনামী ও স্বার্থসংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের তালিকা তৈরির উদ্যোগ নিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। কিন্তু তাদের চিহ্নিত করা নিয়ে বিপাকে রয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
জানতে চাইলে ইসলামী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মনিরুল মওলা বলেন, ‘আমাদের ব্যাংক থেকে টাকা তোলার সুযোগ নেই। এস আলম গ্রুপের সব হিসাব ব্লক করা হয়েছে।’ তবে গত রোববার বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘আমরা কোনো শিল্পে প্রভাব ফেলছি না। প্রতিটি শিল্পপ্রতিষ্ঠানকে কাজ করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এখানে কোনো হস্তক্ষেপ নেই, অর্থ আটকানো হচ্ছে না।’
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নিষেধাজ্ঞা অগ্রাহ্য করে গত জুনে জোবেদা টেক্সটাইল মিলস লিমিটেডকে ৬০০ কোটি টাকার ঋণ অনুমোদন করে ইসলামী ব্যাংক। কিন্তু এই প্রতিষ্ঠানের তথ্য নিয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সন্দেহ সৃষ্টি হওয়ায় ঋণ বিতরণে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। পাশাপাশি গত জুলাই মাসে আজহার স্পিনিং লিমিটেডকে ৬০০ কোটি টাকার ঋণ অনুমোদন করেছিল ইসলামী ব্যাংক। সেটিও নাকচ করে দেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এদিকে বড় ঋণ বিতরণের সীমা লঙ্ঘন করে গত জুলাইয়ের শেষ দিকে সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক থেকেও ৪০০ কোটি টাকা তুলে নেওয়ার চেষ্টা করে ইখলাস স্পিনিং লিমিটেড। এই প্রতিষ্ঠানটি এস আলম গ্রুপের বলে সন্দেহ কেন্দ্রীয় ব্যাংকের। ইখলাস স্পিনিংয়ের এই ঋণও নাকচ করে দেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
ajker patrika