Site icon The Bangladesh Chronicle

টিআইবির ১১ দফায় কী আছে

অনলাইন ডেস্ক
০৪ আগস্ট ২০২৪

টিআইবির মানববন্ধন। ছবি: সংগৃহীত  

এ সময় বহুমাত্রিক ও বহুপর্যায়ের নজিরবিহীন ও নির্মম মানবাধিকার লঙ্ঘনের দৃষ্টান্তমূলক জবাবদিহিতা নিশ্চিত এবং জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে গ্রহণযোগ্য তদন্তের স্বার্থে জাতিসংঘের উদ্যোগে সম্পূর্ণ স্বাধীন কমিশন গঠনসহ ১১ দফা দাবি জানানো হয়।

ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণ, অহিংস, যৌক্তিক ও অরাজনৈতিক কোটা সংস্কার আন্দোলনের ওপর চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে। দুই সপ্তাহ ধরে চলা সহিংসতায় দেশে নজিরবিহীন ও নির্মম হত্যাকাণ্ড, ধারাবাহিক বেআইনি নির্যাতন ও নিপীড়ন, বিচারহীন মামলা, যথেচ্ছ হামলা, গণগ্রেপ্তার, অবৈধ রিমান্ড, নিরাপত্তা দেওয়ার ভুয়া যুক্তিতে গোয়েন্দা কার্যালয়ে আটক ও নির্যাতন, হুলিয়া-পরোয়ানা, অনলাইন-অফলাইন হুমকিসহ সংবিধান, বাকস্বাধীনতা ও মানবাধিকার বিরোধী কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে এক নৈরাজ্যপূর্ণ ও বিভীষিকাময় পরিস্থিতি তৈরি করা হয়েছে।’

মানববন্ধনে উত্থাপিত দাবিগুলোতে বলা হয়, মানবাধিকার লঙ্ঘন প্রতিরোধ করার লক্ষ্যে আইন প্রয়োগকারী ও গোয়েন্দা সংস্থাসহ আইনের শাসনের সঙ্গে জড়িত সব প্রতিষ্ঠান তথা সার্বিক রাষ্ট্রকাঠামো ঢেলে সাজাবার জন্য জাতীয় ঐক্যমত্যের ভিত্তিতে উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা শিক্ষার্থীসহ সাধারণ নাগরিকদের ওপর হয়রানি ও নিপীড়ন বন্ধ করতে হবে। আটক সব সমন্বয়ক, শিক্ষার্থী ও সাধারণ নাগরিককে অবিলম্বে নিঃশর্ত মুক্তি ও মামলা প্রত্যাহার করতে হবে।

মানববন্ধনে আরও বলা হয়, বেআইনি, নির্বিচার ও উদ্দেশ্যমূলকভাবে ক্ষমতার অপব্যবহার ও অসামঞ্জস্যপূর্ণ প্রাণঘাতী অস্ত্রের ব্যবহারসহ বিভিন্নভাবে যারা নির্মম হতাহতের জন্য দায়ী এবং যাদের নির্দেশে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও স্বপ্নকে পদদলিত করে নজিরবিহীন এই নির্মমতা সংগঠিত হয়েছে, তাদের সবাইকে চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। নিহত-আহত সবার বয়স ও পেশা অনুযায়ী পূর্ণাঙ্গ তালিকা দ্রুত প্রকাশ করতে হবে। আহত সবার পূর্ণাঙ্গ চিকিৎসা, পূর্ণ নিরাপত্তা নিশ্চিত ও তাদের স্বাভাবিক জীবনযাপন নিশ্চিত করতে হবে। হতাহতদের পরিবারের জন্য সম্মানজনক ক্ষতিপূরণ ও পুনর্বাসন নিশ্চিত করতে হবে।

অবাধ তথ্যপ্রবাহের অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টির আহ্বান জানিয়ে দাবিনামায় বলা হয়, প্রিন্ট, ইলেক্ট্রনিক ও ডিজিটালসহ সব সংবাদমাধ্যমের প্রতি প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ সবধরনের হুমকি, নিষেধাজ্ঞা ও নিয়ন্ত্রণ প্রত্যাহার করতে হবে। ইন্টারনেট ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারের ওপর সব প্রকার নিয়ন্ত্রণ বন্ধ করতে হবে। সহিংসতা দমন বা অন্য কোনো অজুহাতে, ভিন্নমত দমনের হঠকারী-প্রক্রিয়া থেকে সরে আসতে হবে। ভিন্নমত, বাকস্বাধীনতা ও সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা পরিপন্থী নজরদারিভিত্তিক ভীতিকর পরিবেশ, তথা সব জনগণের জন্য নিরাপত্তাহীনতার বোধ সৃষ্টির সংস্কৃতি পরিত্যাগ করতে হবে। দুর্নীতির বিরুদ্ধে শূন্য সহনশীলতার ফাঁকাবুলির সংস্কৃতি পরিহার করে সকল প্রকার দুর্নীতির বিচারহীনতা বন্ধে কার্যকর উদ্যোগ নিতে হবে।

Exit mobile version