Site icon The Bangladesh Chronicle

আঁর এমপিয়েরে আঁই কিলাইয়ুম আঁই হাবাইয়ুম……..

আঁর এমপিয়েরে আঁই কিলাইয়ুম আঁই হাবাইয়ুম……..

Minar Rashid

আঁর এমপিয়েরে আঁই কিলাইয়ুম আঁই হাবাইয়ুম……..
আরাম করে কিলানোর জন্যে বউয়ের সাথে সাথে নতুন একটা আইটেম যোগ হয়েছে । স্বামীদের বউয়ের মত এদেশের মন্ত্রীদের জুটেছে এমপি । বউকে যেমন একজন সোয়ামী সোহাগের সাথে সাথে কিল ঘুষি মারতে পারেন , তেমনি মন্ত্রীরাও এমপিদের একই ভাবে কিলাইতে পারেন । এটা নিয়ে পতি ভক্তা স্ত্রী যেমন মাইন্ড করে না , তেমনি মন্ত্রী-ভক্ত এমপিরাও মাইন্ড করেন না ।
তসলিমা নাসরিন তার কোন লেখায় এই ধরনের একটি গল্প উল্লেখ করেছিলেন । স্বামীর কিল বা পিটুনি খেয়ে সদ্য বিয়ে হওয়া এক মেয়ে জ্ঞান হারিয়ে ফেলে । জ্ঞান ফেরানোর জন্যে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয় । চিকিৎসার পর ঐ মেয়ের জ্ঞান ফিরে আসে । জ্ঞান ফেরার পর সবাইকে অবাক করে প্রথমেই জিজ্ঞেস করে , উনি কই ?
অর্থাৎ যে স্বামী কিল মেরে বেহুঁশ করেছে । হুঁশ ফেরার পর খুঁজে কি না সেই স্বামীকে ! বোকা মেয়েদের স্বামী ভক্তির তিরস্কারের জন্যেই তসলিমা নাসরিন এই ঘটনাটি উল্লেখ করেছিলেন ।

এই পতি ভক্তির মতই মন্ত্রী ভক্তির এক অনুপম উদাহরণ সৃষ্টি করেছেন টাঙ্গাইল-৫ (সদর) আসনের সংসদ সদস্য মো. ছানোয়ার হোসেন ।
শনিবার রাতেই যুগান্তরকে বলেন, ‘মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের দলের সাধারণ সম্পাদক। তিনি আমার বড় ভাই। তিনি শাসন করতে পারেন এবং সে আমাদের আদরও করবেন। তার বিরুদ্ধে আমার কোনো অভিযোগ নেই। তিনি যাওয়ার আগে মাথায় হাত বুলিয়ে আমাকে আদর করেছেন।’

ঘটনার বিষয়ে টাঙ্গাইল-৪ (কালিহাতী) আসনের নবনির্বাচিত সংসদ সদস্য হাসান ইমাম খান সোহেল হাজারী যুগান্তরকে বলেন, ‘ওবায়দুল কাদের ভাই আমাদের অভিভাবক। তিনি আমাদের শাসন করেন, আবার আদরও করেন। এটি একটি অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা।’
ঐ পতিভক্তা বোকা মেয়েকে তিরস্কারের জন্যে তসলিমা নাসরিনের মত অনেকেই রয়েছে । কিন্তু মন্ত্রীভক্ত এমপিকে তিরস্কারের জন্যে কেউ নেই ।

আজকের লেখার শিরোনামটি নেয়া হয়েছে শ্যাম সুন্দর বৈষ্ণব এবং শেফালী ঘোষের দ্বৈত কন্ঠে গাওয়া একটি জনপ্রিয়
গানের ভাব ও ভাবনা থেকে । শ্যাম সুন্দর বৈষ্ণবের যুক্তি ছিল , ” আমার বউরে আমি কিলামু , আমি খাওয়ামু তুই তাতে নাক গলাস ক্যান ?” শেফালী ঘোষও কোমড়ে শাড়ী প্যাচিয়ে পর্দার স্বামীকে সমর্থন জানিয়ে বলে , হ্যা হ্যা , তুই তাতে নাক গলাস কেন ?
শ্যাম সুন্দর বৈষ্ণব ও শেফালী ঘোষ দুজনই প্রয়াত হয়েছেন । তাদের সেই গানের কিছুটা স্বাদ আস্বাদনের সুযোগ এনে দিয়েছেন সেতু মন্ত্রী ও মন্ত্রীভক্ত এমপি ।
ঘটনা সম্পর্কে ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘আমি এমপি মো. ছানোয়ার হোসেনকে শাসন করেছি। এটা আমাদের আওয়ামী লীগ পরিবারের বিষয়। দলের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে এটা আমি করতেই পারি।’
অর্থাৎ তিনি বলতে চাচ্ছেন , আমাগর এমপিরে আমি কিলামু , আমি খাওয়ামু মিডিয়া তাতে নাক গলায় কেন ?

আসলেই এই দৃশ্য উপভোগ করা ছাড়া আমজনতার অন্য কিছু করার নেই । কারণ এরা জনতার ভোটে পাশ করা এমপি না । এরা ওবায়দুল কাদেরদের বদান্যতায় রকিবদের ফ্যাক্টরিতে তৈরি বিশেষ পদার্থ দিয়ে তৈরি এমপি । এদের ভেতরে ঘিলা কলিজা ঘেন্না পিত্তি না থাকারই কথা ।

প্রধানমন্ত্রীকে পা ধরে সালাম করে আর এমপিকে এভাবে আদর সোহাগ করে । এমপি বদিরা আবার সরকারী কর্মকর্তা বা স্কুলের শিক্ষকদেরকে একই কিছিমে শাসন/সোহাগ করে । বদরুলরা শাসন করে খাদিজাদের ।

সত্যি সেলুকাস !কি বিচিত্র এই দেশ !

তসলিমা নাসরিন তার কোন লেখায় এই ধরনের একটি গল্প উল্লেখ করেছিলেন । স্বামীর কিল বা পিটুনি খেয়ে সদ্য বিয়ে হওয়া এক মেয়ে জ্ঞান হারিয়ে ফেলে । জ্ঞান ফেরানোর জন্যে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয় । চিকিৎসার পর ঐ মেয়ের জ্ঞান ফিরে আসে  জ্ঞান ফেরার পর সবাইকে অবাক করে প্রথমেই জিজ্ঞেস করে , উনি কই ?

অর্থাৎ যে স্বামী কিল মেরে বেহুঁশ করেছে । হুঁশ ফেরার পর খুঁজে কি না সেই স্বামীকে ! বোকা মেয়েদের স্বামী ভক্তির তিরস্কারের জন্যেই তসলিমা নাসরিন এই ঘটনাটি উল্লেখ করেছিলেন ।

এই পতি ভক্তির মতই মন্ত্রী ভক্তির এক অনুপম উদাহরণ সৃষ্টি করেছেন টাঙ্গাইল-৫ (সদর) আসনের সংসদ সদস্য মো. ছানোয়ার হোসেন ।

শনিবার রাতেই যুগান্তরকে বলেন, ‘মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের দলের সাধারণ সম্পাদক। তিনি আমার বড় ভাই। তিনি শাসন করতে পারেন এবং সে আমাদের আদরও করবেন। তার বিরুদ্ধে আমার কোনো অভিযোগ নেই। তিনি যাওয়ার আগে মাথায় হাত বুলিয়ে আমাকে আদর করেছেন।’

ঘটনার বিষয়ে টাঙ্গাইল-৪ (কালিহাতী) আসনের নবনির্বাচিত সংসদ সদস্য হাসান ইমাম খান সোহেল হাজারী যুগান্তরকে বলেন, ‘ওবায়দুল কাদের ভাই আমাদের অভিভাবক। তিনি আমাদের শাসন করেন, আবার আদরও করেন। এটি একটি অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা।’

ঐ পতিভক্তা বোকা মেয়েকে তিরস্কারের জন্যে তসলিমা নাসরিনের মত অনেকেই রয়েছে । কিন্তু মন্ত্রীভক্ত এমপিকে তিরস্কারের জন্যে কেউ নেই ।

আজকের লেখার শিরোনামটি নেয়া হয়েছে শ্যাম সুন্দর বৈষ্ণব এবং শেফালী ঘোষের দ্বৈত কন্ঠে গাওয়া একটি জনপ্রিয় গানের ভাব ও ভাবনা থেকে । শ্যাম সুন্দর বৈষ্ণবের যুক্তি ছিল , ” আমার বউরে আমি কিলামু , আমি খাওয়ামু তুই তাতে নাক গলাস ক্যান ?” শেফালী ঘোষও কোমড়ে শাড়ী প্যাচিয়ে পর্দার স্বামীকে সমর্থন জানিয়ে বলে , হ্যা হ্যা , তুই তাতে নাক গলাস কেন ?

শ্যাম সুন্দর বৈষ্ণব ও শেফালী ঘোষ দুজনই প্রয়াত হয়েছেন । তাদের সেই গানের কিছুটা স্বাদ আস্বাদনের সুযোগ এনে দিয়েছেন সেতু মন্ত্রী ও মন্ত্রীভক্ত এমপি ।

ঘটনা সম্পর্কে ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘আমি এমপি মো. ছানোয়ার হোসেনকে শাসন করেছি। এটা আমাদের আওয়ামী লীগ পরিবারের বিষয়। দলের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে এটা আমি করতেই পারি।’

অর্থাৎ তিনি বলতে চাচ্ছেন , আমাগর এমপিরে আমি কিলামু , আমি খাওয়ামু মিডিয়া তাতে নাক গলায় কেন ?

আসলেই এই দৃশ্য উপভোগ করা ছাড়া আমজনতার অন্য কিছু করার নেই । কারণ এরা জনতার ভোটে পাশ করা এমপি না । এরা ওবায়দুল কাদেরদের বদান্যতায় রকিবদের ফ্যাক্টরিতে তৈরি বিশেষ পদার্থ দিয়ে তৈরি এমপি । এদের ভেতরে ঘিলা কলিজা ঘেন্না পিত্তি না থাকারই কথা ।। এমপি বদিরা আবার সরকারী কর্মকর্তা বা স্কুলের শিক্ষকদেরকে একই কিছিমে শাসন/সোহাগ করে । বদরুলরা শাসন করে খাদিজাদের ।
সত্যি সেলুকাস !কি বিচিত্র এই দেশ !

Exit mobile version