- খেলাধুলা প্রতিবেদক
অবশেষে দীর্ঘ ৯ বছরের প্রতীক্ষার অবসান ঘটল। ২০১৬ সালের এশিয়া কাপের পর এই প্রথম আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে পাকিস্তানকে হারাল বাংলাদেশ। ঘরের মাঠ মিরপুরে তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথমটিতে সালমান আগার দলকে ৭ উইকেটের বিশাল ব্যবধানে পরাজিত করেছে লিটন দাসের দল। এই জয়ে সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল টাইগাররা, যা আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে পাকিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশের চতুর্থ জয়।
লক্ষ্যটা ছিল মামুলি, মাত্র ১১১ রানের। তবে সেই সহজ লক্ষ্যে পৌঁছাতে গিয়ে শুরুতেই হোঁচট খায় বাংলাদেশ। ইনিংসের প্রথম ওভারেই তানজিদ হাসান তামিম (১) এবং পরের ওভারে অধিনায়ক লিটন দাস (১) সাজঘরে ফিরলে ৭ রানে ২ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে স্বাগতিকরা। সেখান থেকে দলকে টেনে তোলেন তাওহিদ হৃদয় ও পারভেজ হোসেন ইমন। তৃতীয় উইকেটে তাদের ৭৩ রানের দৃঢ় জুটি জয়ের ভিত গড়ে দেয়। হৃদয় ৩৭ বলে ৩৬ রান করে আউট হলেও, একপ্রান্ত আগলে রাখেন ইমন। ফাহিম আশরাফকে ছক্কা মেরে ৩৪ বলে নিজের অর্ধশতক পূরণ করেন তিনি। শেষ পর্যন্ত ৩৯ বলে ৫৬ রানের এক অসাধারণ ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন এই বাঁহাতি ওপেনার। তাকে যোগ্য সঙ্গ দিয়ে জাকের আলি মাত্র ১০ বলে ১৫ রান করে দলের জয় নিশ্চিত করেন। তাদের দুজনের ১৮ বলে ৩২ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে বাংলাদেশ ২৭ বল হাতে রেখেই লক্ষ্যে পৌঁছে যায়।
এই সহজ জয়ের মঞ্চ মূলত তৈরি করে দিয়েছিলেন বাংলাদেশি বোলাররা। টসে জিতে ফিল্ডিংয়ে নেমে তাসকিন আহমেদ ও মুস্তাফিজুর রহমানের নিখুঁত বোলিংয়ে শুরু থেকেই পাকিস্তানি ব্যাটিং লাইনআপকে চেপে ধরে বাংলাদেশ। মিরপুরের মন্থর উইকেটে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকা পাকিস্তান ১৯.৩ ওভারে মাত্র ১১০ রানেই গুটিয়ে যায়। এটি বাংলাদেশের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টিতে পাকিস্তানের সর্বনিম্ন দলীয় সংগ্রহ। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৪৪ রান করেন ফখর জামান।
বাংলাদেশের হয়ে তাসকিন আহমেদ ২২ রানে ৩টি এবং মুস্তাফিজুর রহমান মাত্র ৬ রান দিয়ে ২টি উইকেট নেন। এছাড়া শেখ মেহেদী ও তানজিম সাকিব একটি করে উইকেট শিকার করেন।
এই ম্যাচে দুর্দান্ত বোলিংয়ের সুবাদে এক নতুন রেকর্ড গড়েছেন মুস্তাফিজুর রহমান। ৪ ওভার বোলিং করে মাত্র ৬ রান দিয়ে তিনি আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের হয়ে সবচেয়ে মিতব্যয়ী বোলিংয়ের নজির স্থাপন করেন। এর আগে ৪ ওভারে ৭ রান দেওয়ার রেকর্ড ছিল রিশাদ হোসেন, তানজিম হাসান এবং মুস্তাফিজের নিজের।