৩ হাজার কোটি টাকা লেনদেন চায় বিএসইসি

Daily Nayadiganta


২০১০ সালে পুঁজিবাজারের মহাধসের এক দশক পর পুঁজিবাজারে সাম্প্রতিক উত্থান ও লেনদেনে যে গতি এসেছে, তাকে আরো এগিয়ে নিয়ে যেতে চায় বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। পাশাপাশি পুঁজিবাজারে দৈনিক লেনদেন তিন হাজার কোটি টাকার ঘরে নিয়ে যেতে চায় সংস্থাটি।

স্থিতিশীল পুঁজিবাজার গঠনে মিডিয়ার ভূমিকা শীর্ষক কর্মশালাটির আয়োজন করা হয় গাজীপুরের রাজেন্দ্রপুরের ব্র্যাক সিডিএমএতে।

গত বছরের মাঝামাঝি সময়ে নেতৃত্বে পরিবর্তন আনার পর বেশ কিছু নীতি পরিবর্তন ও নতুন ধরনের সিদ্ধান্ত নেয় বিএসইসি। এতে গত ডিসেম্বর থেকেই বাজার ঊর্ধ্বমুখী। নিষ্ক্রিয় বিনিয়োগকারীরা সক্রিয় হচ্ছেন, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরাও লেনদেন বাড়াচ্ছেন।

ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহ থেকে জানুয়ারির মাঝামাঝি পর্যন্ত পাঁচ দিন লেনদেন হয়েছে দুই হাজার কোটি টাকার ঘরে। এক দিন লেনদেন হয়েছে আড়াই হাজার কোটি টাকার বেশি, যা ২০১০ সালের পর সর্বোচ্চ।

বিএসইসির কমিশনার বলেন, ‘পুঁজিবাজার বিগত সময়ে অনেক পিছিয়ে ছিল। নিয়ম নীতি সংশোধনের মাধ্যমে পুঁজিবাজারকে বিনিয়োগবান্ধব করা হচ্ছে। উন্নয়নের এ ধারা অব্যাহত রেখে বিনিয়োগকারীদের আস্থা অর্জনে কাজ করছে কমিশন।’

বিএসইসি নির্বাহী পরিচালক সাইফুর রহমান বলেন, ‘কর্মশালার মাধ্যমে দক্ষতা উন্নয়নে যে উদ্যোগ নেয়া হয়েছে, তা প্রশংসনীয়। প্রশিক্ষণে পুঁজিবাজারের বিভিন্ন তথ্য বিশ্লেষণ করা হয়েছে, যা বিনিয়োগকারীদের সঠিক তথ্য প্রকাশে সহায়ক হবে।’

রেজাউল করিম বলেন, ‘ব্যাংকের ঋণের সুদের হার এখন বিগত সময়ের তুলনায় অনেক কম। এতে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের সম্ভাবনা বেড়েছে।’

তিনি বলেন, ‘পুঁজিবাজারকে অটোমেশনের যে উদ্যোগ নেয়া হয়েছে, ইতোমধ্যে পরামর্শক নিয়োগ দেয়া হয়েছে। বিও হিসাব খোলা, আইপিও আবেদন করাসহ বিভিন্ন কার্যক্রম হাতে নেয়া হয়েছে। ডিমিউচুয়ালাইজেশন যে কারণে করা হয়েছে প্রকৃতপক্ষে তা এখনো পুরোপুরি বাস্তবায়ন হয়নি। চেষ্টা করা হচ্ছে যাতে এর সুফল পাওয়া যায়।’

কর্মশালায় এ ছাড়া উপস্থিত ছিলেন আয়োজক সংগঠন সিএমজেএফ’র সভাপতি হাসান ইমাম রুবেল, সহ-সভাপতি এম এম মাসুদ ও সাধারণ সম্পাদক মনির হোসেন।