- অনলাইন প্রতিবেদক
- ২১ আগস্ট ২০২০
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব এডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ২১ আগষ্ট মিটিং হওয়ার কথা ছিল মুক্তাঙ্গনে কিন্তু সেই মিটিং জোর করে আওয়ামী লীগ নিয়ে গেছে তাদের পার্টি অফিসের সামনে। পুলিশকেও ঠিকমত অবহিত করা হয়নি সেরকম আরো অনেক ঘটনা আছে। তাই বলছি উনি নিজে তা জানতেন এবং ওনার বিশ্বস্ত কোনো শক্তি বা ব্যক্তি এটার সাথে জড়িত ছিল। বিএনপির ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হলে আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় নেয়া যাবে সেজন্য এ হামলা চালানো হয়েছে। এত বোমা ফুটল, কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর কিছু হয়নি। আমরা এই ঘটনাকে অবশ্যই একটি মর্মান্তিক ঘটনা মনে করি, যারাই করুক তারা দুরাচার। কিন্তু এখানে বিএনপিকে জরানো তারেক রহমানকে জড়ানোর একটি মাস্টারপ্ল্যান। সেটা শেখ হাসিনা জানতেন।
তিনি বলেন, একটি দেশে কত ধরনের চক্রান্ত হতে পারে ওয়ান এলিভেন আমেরিকায় নাইন এলিভেন হয়েছে সেটা তবু সে সময় হয়েছে। তারা কি বলে বুশ এর সাথে জড়িত ছিল? এইযে বিডিআর হত্যাকান্ড আওয়ামী লীগ আসার পরে হয়েছে এখন আমরা যদি বলি এটার জন্য শেখ হাসিনা দায়ী, শেখ হাসিনা এই ঘটনা ঘটিয়েছে।
শুক্রবার সকালে বিএনপির নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের নিচে ঢাকার জেলা বিএনপি আয়োজিত বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক মন্ত্রী আবদুল মান্নান এর স্মরণ সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
রিজভী বলেন, আমার কাছে একটা জিনিস খুব খটকা লাগল প্রধানমন্ত্রী বলেছেন ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় তারেক রহমান জড়িত। তাহলে আপনাদের আন্দোলনের ফসল মঈনউদ্দিন-ফখরুদ্দিন সরকার চার্জশিটে তারেক রহমানের নাম কেন দেয়নি? আপনার রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করে আইন-আদালত কব্জা করে তারপর তার নাম দিতে হলো। তাতে কি প্রমাণিত হয় না এই মামলায় আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান এর নাম প্রতিহিংসামূলক ভাবে দেয়া হয়েছে। আপনার লোকরাও দিতে পারিনি আপনি এসে দিলেন। আপনার মনের মধ্যে ছটফট করছিল কখন ক্ষমতায় আসবে আর তারেক রহমানকে ধরবো।
তিনি বলেন, আমি একজন আইনজীবী হিসেবে যতটুকু দেখেছি কোথাও কোনো ভাবে ন্যূনতম কারণে সেখানে তারেক রহমানকে জড়ানোর কোন স্কোপ নেই। জোর করে তার নাম বলানো হয়েছে মুফতি হান্নানকে দিয়ে সেই মুফতি হান্নান আবারো ১৬৪ এ কিভাবে টর্চার করা হয়েছে তার উপর, আঙ্গুলের নখ তোলা হয়েছে, পায়ের নখ তোলা হয়েছে সেগুলোর বর্ণনাও দিয়েছেন। জনমনে প্রশ্ন ২১ আগষ্ট গ্রেনেড হামলা নিয়ে প্রশ্ন এই হামলার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী নিজেও জানতেন। এই ঘটনার সাথে উনার কোন ব্যক্তি বিশেষ লোক জড়িত আছে কারণ কোন দলকে চাপে তারা ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় বিরোধীদলের উপর এরকম একটা হামলা হোক? এরকম হামলা হলে তো সরকারেরই ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হবে। এই কাজ কখনই তারা করবে না বরং সর্বাত্মক নিরাপত্তা দেয়ার চেষ্টা করবেন।