জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল অ্যাডভোকেট এহসানুল মাহবুব জোবায়ের বলেছেন, আগামী ১৯ জুলাইয়ের জাতীয় সমাবেশ হবে জাতীয় রাজনীতির গতিপথ ও জনগণের ভাগ্য নির্ধারণী সমাবেশ। তাই এ সমাবেশকে সর্বাত্মকভাবে সফল করতে যুবসমাজকে অগ্রসৈনিকের ভূমিকা পালন করতে হবে।
সোমবার (১৪ জুলাই) সকালে রাজধানীর একটি মিলনায়তনে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগর উত্তরের যুব বিভাগ আয়োজিত আগামী ১৯ জুলাইয়ের জাতীয় সমাবেশ বাস্তবায়ন উপলক্ষ্যে যুব বিভাগের দায়িত্বশীল সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
যুব বিভাগের সভাপতি ডা. মঈন উদ্দিনের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি হাসানুল বান্না চপলের সঞ্চালনায় সমাবেশে প্রধান আলোচকের আলোচনা পেশ করেন কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগর উত্তরের আমির মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন কেন্দ্রীয় মজলিস শূরা সদস্য ও ঢাকা মহানগর উত্তরের সহকারী সেক্রেটারি ডা. ফখরুদ্দিন মানিক ও মাওলানা ইয়াছিন আরাফাত।
উপস্থিত ছিলেন মহানগর শূরা সদস্য কলিম, জি এম হাফিজুর রহমান, মহানগর উত্তর যুব বিভাগের সহ সভাপতি নাসির উদ্দিন খান সজল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এস এম আরাফাত হোসাইন, সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ ইসমাইল হোসেন পাটোয়ারী, অর্থ সম্পাদক আপু তোরাব পান্না ও আইন সম্পাদক কবির হোসেন প্রমুখ।
অ্যাডভোকেট জোবায়ের বলেন, আগামী ১৯ তারিখে দেশ ও জাতির জন্য অতি গুরুত্বপূর্ণ সমাবেশ। সেই ঐতিহাসিক সমাবেশের মাধ্যমে জাতীয় জীবনের গতিপথ ও করণীয় নির্ধারিত হবে। আমরা ৭ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে এ জাতীয় সমাবেশের ডাক দিয়েছি। দাবিগুলো আদায় হলে দেশে গণতন্ত্র,গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ ও সুশাসন ফিরে আসবে এবং দুর্নীতিমুক্ত ইনসাফপূর্ণ সমাজ গঠনে সহায়ক হবে। আর জুলাই সনদ ঘোষণা ও তা বাস্তবায়ন করা গেলে রাজনীতিতে দুর্বৃত্তায়ন বন্ধ হবে।
তিনি বলেন, জুলাই বিপ্লবীরা দেশ ও জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান এবং জাতীয় বীর। তাই তাদের যথাযথভাবে রাষ্ট্রীয় সম্মাননা দিতে হবে। জুলাই গণহত্যার বিচার, শহীদ পরিবারের প্রতি রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতা ও আহতদের সুচিকিৎসার ব্যবস্থা; একইসঙ্গে পুনর্বাসন করতে হবে।
আগামী দিনে জনপ্রতিনিধিত্বশীল সরকার গঠনে পিআর পদ্ধতির মাধ্যমে নির্বাচনের আহ্বান জানিয়ে জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল বলেন, মূলত সুশাসনের অভাবেই আমাদের দেশের যুবসমাজের মধ্যে অবক্ষয়ের জয়জয়কার শুরু হয়েছে। যুবসমাজের একটি বৃহৎ অংশ আজ মাদকাসক্ত। জামায়াত মাদকমুক্ত দেশ গড়তে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এক্ষেত্রে আমাদের যুবসমাজকেই অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে। আমাদের অবক্ষয়িত যুবসমাজের ধর্মীয় শিক্ষা ও মূল্যবোধ সৃষ্টিতে কাজ করতে হবে নিরলসভাবে।
জাতীয় সমাবেশ বাস্তবায়ন প্রসঙ্গে যুব সমাজের উদ্দেশে অ্যাডভোকেট জোবায়ের বলেন, আজকের যুবসমাজই আগামী দিনের ভবিষ্যৎ। তাই সমাবেশের দিনে কারো ঘরে বসে থাকার সুযোগ নেই, বরং ময়দানে সর্বশক্তি নিয়োগ করে জাতীয় সমাবেশ বাস্তবায়নে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালাতে হবে। তিনি সমাবেশ বাস্তবায়নে নগরীর প্রতিটি ঘরে ঘরে দাওয়াত পৌঁছাতে সবার প্রতি আহ্বান জানান।
প্রধান আলোচকের আলোচনায় ঢাকা মহানগর উত্তর জামায়াতের আমির মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন বলেন, ঢাকা শহরের অলিগলিতে যে চাঁদাবাজি শুরু হয়েছে তা প্রতিরোধ করার জন্য যুবসমাজকে এগিয়ে আসতে হবে। নগরবাসীর নিরাপত্তার জন্য ঢাকা মহানগরী উত্তরের প্রত্যেকটি ওয়ার্ডে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে যুবকদের সংগঠিত করে চাঁদাবাজ সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। আগামী দিনের বাংলাদেশে তরুণ সমাজ নেতৃত্ব দেবে। তাই দেশ ও জাতির এ ক্রান্তিকালে যুবসমাজকেই কাণ্ডারির ভূমিকা পালন করতে হবে।
তিনি জাতীয় সমাবেশ বাস্তবায়নে যুবসমাজকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার আহ্বান জানান।