এমনিতেই চলছে দুর্দশা, ক্লাব বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচেও মেলেনি জয়। সব মিলিয়ে একটু চাপেই ছিল রিয়াল মাদ্রিদ। সেই চাপ আরো বাড়ে ম্যাচের শুরুতেই ১০ জনের দলে পরিণত হলে।
এমন সুযোগে একের পর এক আক্রমণে যায় পাচুকা। তবে মেক্সিকোর দলটির সামনে বাধার দেয়াল হয়ে দাঁড়ান থিবো কোর্তোয়া। তার কল্যাণেই ক্লাব বিশ্বকাপে প্রথম জয় তুলে নিয়েছে লস ব্লাঙ্কোজরা।
নর্থ ক্যারোলাইনার শার্লটে রোববার ‘এইচ’ গ্রুপের ম্যাচে পাচুকার বিপক্ষে ৩-১ গোলে জিতেছে রিয়াল মাদ্রিদ। যা নতুন কোচ জাভি আলোনসোর অধীনে দলটার প্রথম জয়।
ড্র দিয়ে ক্লাব বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচ শেষ করে রিয়াল মাদ্রিদ। গতরাতে দ্বিতীয় ম্যাচে মাঠে নেমেই খায় ধাক্কা। সাত মিনিটের মাথায় প্রতিপক্ষের একজনকে ফেলে দিলে সরাসরি লাল কার্ড দেখেন রাউল আসেন্সিও।
অর্থাৎ প্রায় পুরোটা সময় ১০ জনের দল নিয়ে খেলতে হয় রিয়াল মাদ্রিদকে। একজন কম থাকার সুযোগে চাপ বাড়ায় পাচুকা। করতে থাকে একের পর এক আক্রমণ।
সেই আক্রমণ সামলে যান গোলরক্ষক কোর্তোয়া। ম্যাচে গোলের জন্য মোট ২৫টি শট নিয়ে ১১টি লক্ষ্যে রাখতে পারে পাচুকা। যার ১০টিই সেভ করেন কোর্তোয়া।
অষ্টাদশ মিনিটে দুর্দান্ত ডাবল সেভে রিয়ালকে রক্ষা করেন। কেনেদির শট ঠেকানোর পর কাছ থেকেই বাতিস্তার প্রচেষ্টা এক হাতে আটকে দেন এই বেলজিয়ান গোলরক্ষক।
এর মাঝে ৩৫ মিনিটে এগিয়ে যায় রিয়াল। দারুণ এক গোল করেন বেলিংহ্যাম। ভিনিসিউসের পাস ধরে বক্সের ভেতরে ঢুকে, প্রতিপক্ষকে কোনো সুযোগ না দিয়েই ঠিকানা খুঁজে নেন এই ইংলিশ মিডফিল্ডার।
সাত মিনিট পর ব্যবধান দ্বিগুণ করে দলটি। ডান দিক থেকে অ্যালেকজান্ডার-আর্নল্ডের পাস বক্সে পেয়ে প্রথম স্পর্শে গন্সালো গার্সিয়া বল দেন গিলেরকে। নিচু শটে গোলটি করেন তুরস্কের তরুণ মিডফিল্ডার।
২-০ তে এগিয়ে থেকেই বিরতিতে যায় রিয়াল মাদ্রিদ। দ্বিতীয়ার্ধের প্রথম ১৫ মিনিটের মধ্যে আরো তিনটি চমৎকার সেভ করে দলের ব্যবধান ধরে রাখেন কোর্তোয়া।
৭০তম মিনিটে স্কোরলাইন ৩-০ করেন ভালভার্দে। ভিনিসিউসের পাস থেকে ব্রাহিম দিয়াসকে বল দিয়ে ভেতরে ঢুকে পড়েন তিনি। এরপর ছুটে গিয়ে দারুণ ভলিতে বল জালে পাঠান ভালভার্দে।
তবে ৮০তম মিনিটে ব্যবধান কমান মন্তিয়েল। বক্সের বাইরে থেকে তার শট রেয়ালের এক ডিফেন্ডারের পায়ে লেগে দিক পাল্টে জালে জড়ায়। কিছুই করার ছিল না কোর্তোয়ার।
তবে প্রতিপক্ষকে আর সুযোগ দেয়নি রিয়াল। ব্যবধান ধরে রেখে এগিয়ে যায় জয়ের পথে। ২ ম্যাচে একটি করে জয় ও ড্রয়ে ৪ পয়েন্ট নিয়ে ‘এইচ’ গ্রুপের শীর্ষেই আছে লস ব্লাঙ্কোজরা।