হৃদয়-শুক্কুরের জুটিতে জিতলো নাজমুল একাদশ

হৃদয়-শুক্কুরের জুটিতে জিতলো নাজমুল একাদশ – ছবি : সংগৃহীত


ষষ্ঠ উইকেটে তৌহিদ হৃদয় ও ইরফান শুক্কুরের ১০৫ রানের জুটির কল্যাণে জয় দিয়ে বিসিবি প্রেসিডেন্টস কাপ তিন দলীয় টুর্নামেন্টে যাত্রা শুরু করলো নাজমুল একাদশ। আজ টুর্নামেন্টের প্রথম ম্যাচে মাহমুদুল্লাহ একাদশকে ৪ উইকেটে হারায় নাজমুল একাদশ।

টস হেরে প্রথমে ব্যাট হাতে নেমে ৪৭ দশমিক ৩ ওভারে ১৯৬ রানে অলআউট হয় মাহমুদুল্লাহ একাদশ। জবাবে ৭৯ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়েছিলো নাজমুল একাদশ। এরপর ১০৫ রানের জুটি গড়ে দলের জয়ের তৈরি করে ফেলেন হৃদয়-শুক্কুর।

এ ম্যাচে টস জিতে প্রথমে বোলিং করার সিদ্বান্ত নেন নাজমুল একাদশের অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। ব্যাট হাতে মাহমুদুল্লাহ একাদশের পক্ষে ইনিংস শুরু করেন দুই ওপেনার লিটন দাস ও নাইম শেখ। ৩ ওভার ব্যাট করার পরই বৃষ্টিতে বন্ধ হয় খেলা। এসময় কোন উইকেট না হারিয়ে ১৭ রান করে মাহমুদুল্লাহ একাদশ। ৪২ মিনিট খেলা বন্ধ থাকে।

পরবর্তীতে খেলা শুরু হলে, বিপদেই পড়ে মাহমুদুল্লাহ একাদশ। পরের ১৩ বলে মাত্র ৪ রানে উপরের সারির তিন ব্যাটসম্যানকে হারায় তারা।

লিটন ১১ রান করে নাজমুল একাদশের পেসার তাসকিন আহমেদের ও মোমিনুল হক খালি হাতে আল-আমিন হোসেনের শিকার হন। ৯ রান করে রান আউট হন নাইম।

২১ রানে ৩ উইকেট হারানোর পর চতুর্থ উইকেটে ৭৩ রানের জুটি গড়েন ইমরুল ও মাহমুদুল্লাহ। ইমরুলকে ব্যক্তিগত ৪০ রানে থামিয়ে জুটি ভাঙ্গেন নাইম হাসান।

ইমরুলের বিদায়ে পরের দিকে বড় ইনিংস খেলতে ব্যর্থ হয়েছেন নুরুল হাসান সোহান ও সাব্বির রহমান। এর মাঝে মাহমুদুল্লাহও বিদায় নেন। ফলে ১৬০ রানে সপ্তম উইকেট হারায় মাহমুদুল্লাহ একাদশ। সোহানকে ১৪ রানে থামান অধিনায়ক শান্ত। আর মাহমুদুল্লাহ ও সাব্বিরকে বিদায় দেন মুকিদুল ইসলাম মুগ্ধ। মাহমুদুল্লাহ ৮২ বলে ৩টি চার ও ১টি ছক্কায় ৫১ রান করেন। সাব্বিরের ব্যাট থেকে আসে ২২ রান।

স্বীকৃত ব্যাটসম্যানদের বিদায়ের পর দুই টেল-এন্ডার আবু হায়দার রনি ও রাকিবুল হাসানের ছোট্ট দু’টি ইনিংসের সুবাদে ২শর কাছাকাছি পৌছাতে পারে মাহমুদুল্লাহ একাদশ। ১৫ বল বাকী থাকতে ১৯৬ রানে অলআউট হন মাহমুদুল্লাহ একাদশ। রনি অপরাজিত ১৪ ও রাকিবুল ১৫ রান করেন।

নাজমুল একাদশের তাসকিন ৩৭ রানে-আল আমিন ৪০ রানে ও মুগ্ধ ৪৪ রানে ২টি করে উইকেট নেন। এছাড়া নাইম-সৌম্য সরকার ১টি করে উইকেট নেন।

জয়ের জন্য ১৯৭ রানের টার্গেটে শুরুটা ভালো হয়নি নাজমুল একাদশের। ৭৯ রানে ৫ উইকেট হারায় তারা। সাইফ হাসান ১৭, সৌম্য সরকার ২১, শান্ত ২৮, মুশফিকুর রহিম ১ ও আফিফ হোসেন ৪ রান করে ফিরেন। এর মধ্যে পেসার এবাদত হোসেনের তিনটি শিকার ছিলো।

উপরের সারির ব্যাটসম্যানদের হারিয়ে চাপে থাকা নাজমুল একাদশকে খেলায় ফেরানোর চেষ্টা করেন তৌহিদ হৃদয় ও ইরফান শুক্কুর। মাহমুদুল্লাহ একাদশের বোলারদের দেখেশুনে খেলে রানের চাকা ঘুড়াতে থাকেন হৃদয়-শুক্কুর। দু’জনই হাফ-সেঞ্চুরি তুলে ম্যাচের লাগাম নিয়ে নেন। ষষ্ঠ উইকেটে ১০৫ রানের জুটি গড়েন তারা।

২টি করে চার-ছক্কায় ৬৭ বলে ৫২ রান করে ফিরেন হৃদয়। তবে ৭৮ বলে ৬টি চারে ৫৬ রানে অপরাজিত থেকে মাঠ ছাড়েন শুক্কুর। ছক্কা মেরে দলকে জয় এনে দেন নাইম হাসান। ৪ বলে ৭ রানে অপরাজিত থাকেন নাইম। মাহমুদুল্লাহ একাদশের এবাদত ৪৬ রানে ৩ উইকেট নেন।

মহামারী করোনার কারনে গত মার্চ থেকে দেশের ক্রিকেট বন্ধ ছিলো। ক্রিকেটকে মাঠে ফেরাতে এটি ছিলো বিসিবির ধারাবাহিক উদ্যোগের একটি বড় অংশ।

মাহমুদুল্লাহ একাদশ : ১৯৬/১০, ৪৭.৩ ওভার (মাহমুদুল্লাহ ৫১, ইমরুল ৪০, সাব্বির ২২, তাসকিন ২/৩৭, আল আমিন ২/৪০, মুগ্ধ ২/৪৪)।

নাজমুল একাদশ : ১৯৭/৬, ৪১.১ ওভার (শুক্কুর ৫৬*, হৃদয় ৫২, শান্ত ২৮, এবাদত ৩/৪৬)।
ফল : নাজমুল একাদশ ৪ উইকেটে জয়ী।