স্টাফ রিপোর্টার
(১৪ ঘন্টা আগে) ৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, শনিবার, ৬:১৭ অপরাহ্ন
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার হিরো আলমের কাছেও অসহায়। আজকে রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহার করে হিরো আলমকে পরাজিত করা হয়েছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় একজন ব্যক্তিকে জেতাতে প্রার্থীকে গুম করা হয়েছে। এই হচ্ছে আওয়ামী লীগের বর্তমান পরিস্থিতি। শনিবার বিকেলে রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে পূর্বঘোষিত ঢাকা বিভাগের সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
বিদ্যুৎ, গ্যাস ও নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য কমানো এবং সরকারের দমন নিপীড়ন বন্ধ, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াসহ গ্রেফতারকৃত নেতাকর্মীদের মুক্তি, গণতন্ত্র বিরোধী দুর্নীতিবাজ সরকারের পদত্যাগ, অবৈধ সংসদ বাতিল, নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনসহ ১০ দফা দাবিতে যুগপৎ আন্দোলনের অংশ হিসেবে সারাদেশে ১০টি সাংগঠনিক বিভাগীয় সদরে পঞ্চম ধাপের কর্মসূচি পালন করলো বিএনপি ও সমমনা দল এবং জোটগুলো।
ফখরুল বলেন, আমাদের জাতির অস্তিত্ব রক্ষার আন্দোলন। আমাদের সার্বভৌমত্ব রক্ষার আন্দোলন। সেই লক্ষ্যেই আমরা দশ দফা ও ২৭ দফা প্রণয়ন করেছি। এর মধ্য দিয়েই দেশের মানুষ প্রমাণ করেছে যে তারা একটি দাবিতে আন্দোলন করছে। সেটা হলো এই অবৈধ ভোটারবিহীন সরকারের পদত্যাগ। আমরা বলে আসছি অনির্বাচিত সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচন হতে পারে না।
আমরা এই সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচনে যাবো না।
তিনি বলেন, আজকে সরকার টিকে আছে চাপার জোরে। গ্যাসের দাম বাড়িয়েছে। বিদ্যুতের দাম বাড়িয়েছে। তারা একদিকে ঋণ করছে আরেকদিকে জনগণের পকেট কাটছে। আজকে তারা জনগণের দিকে তাকায় না। দেশ এখন লুটেরাদের কবলে পড়েছে। যার নেতৃত্ব দিচ্ছে আওয়ামী লীগ। তারা যখনই ক্ষমতায় এসেছে তখনই গণতন্ত্র হত্যা করেছে। দেশকে পেছনের দিকে ঠেলে দিয়েছে। সব গণমাধ্যম বন্ধ করে একদলীয় বাকশাল প্রতিষ্ঠা করেছিল। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। আজও আমাদের নেতাকর্মীদের নামে মামলা দিয়ে জেলে নিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু আমাদেরকে দমাতে পারবে না।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, আজকে হাজার হাজার ভুলে ভরা পাঠ্যপুস্তক তৈরি করেছে। তারা প্রতিনিয়ত আমাদের কৃষ্টি কালচার নষ্ট করছে। সরকার সংসদ থেকে শুরু করে সবকিছু ধ্বংস করে একটি ব্যর্থ জাতি তৈরি করতে চায়। তারা প্রতিনিয়ত জনগণের ঘৃণা কুড়াচ্ছে।
মির্জা ফখরুল বলেন, এখনো সময় আছে খালেদা জিয়া, রুহুল কবির রিজভী, খন্দকার আবু আশফাকসহ সকল নেতাকর্মীর মুক্তি দিন। নেতাকর্মীদের নামে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করতে হবে। আন্দোলনের মাধ্যমেই ফ্যাসিস্ট সরকারের পতন ঘটানো হবে। এরপরে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠিত হবে। আমরা ধীরে ধীরে চলছি। মানুষের অধিকার আদায়ের জন্য বিভিন্ন ধরনের কর্মসূচি পালন করে আসছি।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আবদুস সালামের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনু এবং আমিনুল হকের পরিচালনায় আরও বক্তব্য দেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন, আহমেদ আযম খান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, কেন্দ্রীয় নেতা শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খায়রুল খবির খোকন, ড. আসাদুজ্জামান রিপন, আবদুস সালাম আজাদ, মীর সরফত আলী সপু, মীর নেওয়াজ আলী নেওয়াজ, তাবিথ আউয়াল, প্রকৌশলী ইশরাক হোসেন, আফরোজা আব্বাস, সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, মোনায়েম মুন্না সহ বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠন ও ঢাকা বিভাগের কয়েকটি জেলার সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকবৃন্দ।
আরো উপস্থিত ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা প্রকৌশলী আশরাফ উদ্দিন বকুল, নজরুল ইসলাম আজাদ, মোস্তাফিজুর রহমান সহ বিভিন্ন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের হাজারো নেতাকর্মী।
নতুন কর্মসূচি
এসময় যুগপৎ আন্দোলনের অংশ হিসেবে ষষ্ঠ ধাপের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। নতুন কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে- আগামী ১১ই ফেব্রুয়ারি সারাদেশে ইউনিয়ন পর্যায়ে “গণপদযাত্রা”।