মায়ের কথা তুলে ধরতে গিয়ে এ সময় শ্যারন বলেন, লিফশিৎজসহ ২৪ জনকে সুড়ঙ্গের ভেতরে নেওয়া হয়েছিল। সেখানের মাটি নরম ও স্যাঁতসেঁতে। এর দুই–তিন ঘণ্টা পর কিবুৎজ এলাকা থেকে জিম্মি করা পাঁচজনকে আলাদা করে একটি কক্ষে নেওয়া হয়। সেখানে তাঁদের জন্য নিরাপত্তারক্ষী ও চিকিৎসক ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, সুড়ঙ্গের ভেতরে লিফশিৎজকে যেখানে রাখা হয়েছিল, স্থানটি পরিষ্কার–পরিচ্ছন্ন ছিল। তাঁদের মাদুর (ম্যাট্রেস) পেতে ঘুমানোর ব্যবস্থা করা হয়েছিল। প্রতি দুই–তিন দিনে একজন চিকিৎসক এসে সবাইকে দেখে যেতেন। প্রয়োজনীয় ওষুধ দেওয়া হতো। একজন জিম্মিকে গাজায় নিয়ে যাওয়ার সময় মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় আহত হয়েছিলেন। তাঁকেও চিকিৎসা দেওয়া হয়েছিল।
লিফশিৎজ জানান, প্রতি পাঁচজন জিম্মির জন্য একজন নিরাপত্তারক্ষীর ব্যবস্থা রেখেছে হামাস। জিম্মিদের ‘খুঁটিনাটি বিষয়ে’ খোঁজখবর রাখা হচ্ছে। নারীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার বিষয়ে জানাশোনা আছে এমন নারীদেরও সেখানে দায়িত্বে রেখেছে হামাস।
জিম্মি থাকার সময় তাঁদের পনির (চিজ) ও শসা খেতে দেওয়া হয়েছিল বলে জানান লিফশিৎজ। তিনি বলেন, একই খাবার হামাস সদস্যরাও খেয়েছেন। এ সময় শ্যারন বলেন, তাঁর মা মনে করেন ‘সব জিম্মি মুক্তি না পাওয়া পর্যন্ত এই গল্পটা শেষ হবে না।’
এদিকে নতুন করে মুক্তি দেওয়া দুজনকে নিতে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু প্রথমে রাজি ছিলেন না বলে জানিয়েছেন হামাসের মুখপাত্র ওসামা হামদান। আল-জাজিরাকে তিনি বলেন, এখন তাঁদের গ্রহণ করা হয়েছে, সম্ভবত ইসরায়েলের রাজপথ থেকে আসা চাপের কারণে।
বন্দীদের নিরাপত্তা নিয়ে হওয়া সমঝোতার শর্ত ইসরায়েল লঙ্ঘন করার পরও তাঁদের মুক্তি দেওয়া হয়েছে বলে জানান হামদান। তিনি বলেন, ‘আমরা বলেছিলাম, অন্তত তাঁদের মুক্তি দেওয়ার সময় যেন হামলা বন্ধ করা হয়। যাতে তাঁদের রেডক্রসের মাধ্যমে কর্তৃপক্ষের হাতে তুলে দেওয়া যায়; কিন্তু ইসরায়েল মানেনি। এতে বোঝা গেল, আপনি ইসরায়েলকে বিশ্বাস করতে পারেন না।’