Site icon The Bangladesh Chronicle

স্বজন হারানোর বেদনার গল্পে নেটদুনিয়া তোলপাড়!

প্রকাশিত: ২১:৪২, ৪ মার্চ ২০২৫

ছবিঃ সংগৃহীত

তোতা পাখির মতো এখন পর্যন্ত স্বজন হাারনোর বেদনার বুলি আওড়াচ্ছেন শেখ হাসিনা। যেন তিনি ছাড়া পৃথিবীতে আর কারো কোনো স্বজন নেই। ভারতে বসে দিনের পর দিন জুম কলে নেতাকর্মীদের সেই একই গল্প শুনিয়ে চলছেন। তার স্বার্থান্বেষী আচরণে ক্ষুব্ধ তৃণমূল থেকে শুরু করে প্রবীণ নেতাকর্মীরাও। আদালতে কাঁদতে কাঁদতে প্রবীণ নেতা কামাল মজুমদার বলেছেন আর রাজনীতি করবো না। আওয়ামী লীগ থেকে অব্যাহতি নিয়েছি।

একসময়কার মহা প্রতাপশালী হাসিনার যেকোনো খবরই এখন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে হাস্যরসের জন্ম দিচ্ছে। তার স্বজন হারানোর বেদনাও এতটাই বিতর্কিত হয়ে উঠেছে যে নেটিজেনরা তার বক্তব্য নানাভাবে ট্রল করছেন। ক্ষমতা থেকে অপসারিত হওয়ার পর থেকে শেখ হাসিনার অবস্থান ও ভবিষ্যৎনিয়ে নানা গুঞ্জন চলছে।

বাংলাদেশের নতুন সরকার দায়িত্ব নেয়ার পর থেকেই ভারত থেকে হাসিনাকে ফেরাতে চিঠি চালাচালি হয়েছে সত্যি তবে তাতে ভারত সরকারের পক্ষ থেকে স্পষ্ট কোনো মন্তব্য আসেনি।

তবে পর্দার আড়ালে এ বিষয়ে আলোচনা চলছে এ বিষয়ে আন্তর্জাতিক শক্তিগুলোর ভূমিকা থাকতে পারে৷ বিশেষ করে শেখ হাসিনার ভারতে পলায়ন ও সেখানকার অবস্থান নিয়ে বিতর্ক অব্যাহত রয়েছে। অনেকে মনে করছেন, বাংলাদেশ সরকারের সাথে দিল্লির সম্পর্ক এতটাই গভীর যে, তাকে ফেরত পাঠানো হবে না। আবার কেউ কেউ বলছে, ভারতও হাসিনাকে দীর্ঘ মেয়াদে রাখতে চায় না এবং কৌশলগত কারণে তাকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে।

এদিকে আমেরিকার ভূমিকাও প্রশ্নবিদ্ধ, নির্বাচন পূর্ব সময়ে ওয়াশিংটনের অবস্থান ছিল গণতন্ত্র ও সুষ্ঠু নির্বাচন নির্বাচন নিশ্চিত করা। কিন্ত নির্বাচনের পর তারা বাংলাদেশের নতুন সরকারের সাথে কূটনৈতিক সম্পর্ক বজায় রেখেছিল। আর হাসিনাকে ফেরত পাঠানোর বিষয়ে আমেরিকা কোন ভূমিকা রাখবে কিনা তা স্পষ্ট নয়। বিশ্লেষকদের মতে হাসিনার ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে ভারতের কৌশল, বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের অবস্থানের উপর। নির্বাচিত সরকার কী সিদ্ধান্ত নেয় এবং দিল্লি এতে কী ভূমিকা রাখে সেটাই দেখার বিষয়।

তবে এতটুকু অনুমান করা যাচ্ছে যে, নির্বাচিত সরকার ক্ষমতায় না আসা পর্যন্ত হাসিনা ও বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে স্পষ্ট কোন উদ্যোগ নিবে না মোদি সরকার। প্রায় মাস তিনেক আগে ভারতের সেনাপ্রধান স্পষ্ট করেছেন, বাংলাদেশের সঙ্গে আলোচনা যা হবে সেটা নির্বাচিত সরকারের সঙ্গেই হবে। ভারতীয় সেনাপ্রধানের এমন কথাতেই স্পষ্ট যে, অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে কোন দেনাপাওনা বা লেনদেনে যাবে না ভারত।

Exit mobile version