টানা চার ম্যাচে হাসি মুখে মাঠ ছাড়তে পারেননি ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। দুই লিগ ম্যাচে পয়েন্ট হারানোর পাশাপাশি দুই লেগ মিলিয়ে তাঁর দল আল নাসরকে হেরে বিদায় নিতে হয়েছে এএফসি চ্যাম্পিয়নস লিগ থেকেও। এর মধ্যে চ্যাম্পিয়ন লিগে ম্যাচের গুরুত্বপূর্ণ সময়ে অবিশ্বাস্য এক সহজ সুযোগ মিস করে হাস্যরসের শিকারও হন রোনালদো।
সব মিলিয়ে আল আহলির বিপক্ষে মাঠে নামার আগে বেশ চাপেই ছিলেন পর্তুগিজ মহাতারকা। অবশেষে সেই চাপ কাটিয়েও উঠলেন রোনালদো। গোল করে জিতিয়েছেন আল নাসরকে। রবার্তো ফিরমিনোর আল আহলির বিপক্ষে সৌদি প্রো লিগের ম্যাচে আল নাসর জিতেছে ১-০ গোলে। ৬৮ মিনিটে পেনাল্টি থেকে ম্যাচের একমাত্র গোলটি করেন রোনালদো। সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ৫৮ ম্যাচে আল নাসরের হয়ে ৫০ গোল করলেন রোনালদো।
আল আহলির মাঠ কিং আবদুল্লাহ স্পোর্টস সিটিতে গতকাল বসেছিল তারার মেলা। আল নাসরে রোনালদোর পাশাপাশি ছিলেন সাদিও মানে-ওতাবিওর মতো তারকারা। অন্যদিকে আল আহলির স্কোয়াড সেজেছিল ফিরমিনো-রিয়াদ মাহরেজ-ফ্রাঙ্ক কেসিদের নিয়ে। তবে বড় তারকাদের উপস্থিতি সত্ত্বেও প্রথমার্ধের বেশির ভাগ সময় বেশ সতর্কতার সঙ্গে পার করে দুই দল।
৩৬ মিনিটে অবশ্য আল আহলির মেরিহ ডেমিরালের হেড ফিরে আসে বারে লেগে। এরপর ম্যাচের ৪২ মিনিটে ঠিকই গোল আদায় করে নেন রোনালদো। সতীর্থ মানের থ্রু পাস ধরে লেগে থাকা ডিফেন্ডারের ট্যাকল সামলে দারুণ এক গোল করেন ‘সিআর সেভেন’। কিন্তু লম্বা সময় ধরে ভিএআর পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর অফসাইডের কারণে বাতিল করা হয় সেই গোল।
দ্বিতীয়ার্ধ অবশ্য প্রথমার্ধের চেয়ে যথেষ্ট আকর্ষণীয় ছিল। দুই দলই এ সময় গোলের চেষ্টায় আক্রমণে যেতে শুরু করে। স্বাগতিকদের হয়ে ম্যাচের ৫৭ মিনিটে গোলও পেয়ে যান ফিরমিনো। কিন্তু তাঁকেও শেষ পর্যন্ত নিরাশ হতে হয় ভিএআরের কারণে। শেষ পর্যন্ত ৬৮ মিনিটে গোলের উপলক্ষ পান রোনালদো। বক্সের ভেতর আল নাসরের আল নাজেই ফাউলের শিকার হলে পেনাল্টি পায় আল নাসর। স্পট কিকে দারুণ শটে দলকে গোল এনে দেন রোনালদো। এই গোলই শেষ পর্যন্ত জয় এনে দিয়েছে আল নাসরকে।
এ জয়ে প্রো লিগের পয়েন্ট তালিকায় দুই নম্বরে থাকল আল নাসর। ২৪ ম্যাচে ৫৬। এক ম্যাচ কম খেলে শীর্ষে থাকা আল হিলালের পয়েন্ট ৬৫। আর আল নাসরের কাছে হেরে পিছিয়ে পড়া আল আহলি ৪৭ পয়েন্ট নিয়ে আছেন তালিকার তিনে।
জয়ের পর গোল উদ্যাপনের ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করেছেন রোনালদো। সেখানে তিনি লিখেছেন, ‘জয়ের ধারায় ফিরেছি। চলো এগিয়ে যাই।’
Prothom alo